দৌলতপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামি মিরাজের আদালতে স্বীকারোক্তি

0
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার 

নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া ক্রস রোডের আব্দুস সালাম শরীফের বাড়িতে চুরি করতে ডুকে লোহার পাইপ দিয়ে গৃহবধূ শিউলি সালাম হত্যা মামলার আসামি মো. মিরাজ মোল্যা (১৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

গতকাল রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিকাশ বাড়ৈ মিরাজকে আদালতে হাজির করেন। এসময় তার দেয়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম রেকর্ড করেছেন। মিরাজ নড়াইল জেলার কালিয়া থানার নলামারা গ্রামের মৃত. জিল্লুর মোল্যার ছেলে ও নিহত শিউলি সালামের বাসার গৃহকর্মি হেনা বেগমের ভাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিকাশ বাড়ৈ জানান, ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।  জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গ্রামের বাড়িতে ভ্যান চালিয়ে অনেক টাকা দেনা হয়েছে। দেনার দায়ে ভ্যানটি বিক্রি করতে হয়েছে। চুরির করার জন্য আপা যে বাসায় কাজ করে নে বাসার দরজা খোলা পেয়ে ঘরে ডুকে লুকিয়ে থাকি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির মালিক শিউলি সালাম তাকে দেখে ফেলে। তার মাথায় বাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাই।  এ মামলার অপর আসামি কাজের মেয়ে হেনাকে ১অক্টোবর গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত ।            

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া ক্রস রোডের আব্দুস সালাম শরীফের বাড়িতে চুরি করতে যায় ওই বাড়ির কাজের মেয়ে হেনা বেগমের ছোট ভাই মিরাজ (১৯)। ওই সময় বাড়ির লোকজন মিরাজকে দেখে চোর চোর বলে চিৎকার দেয়। চোর মিরাজের হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে বাড়ীর মালিক আব্দুস সালামের স্ত্রী শিউলি সালমকে (৬২) কে মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলি সালমা বেগম মারা যায়। এঘটনায় নিহত শিউলির ছেলে মো. আসল্লা উদ্দিন মামুন বাদী হয়ে কাজের মেয়ে হেনা বেগম ও তার ভাই মিরাজের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায়  প্রথমে চুরি মামলা হলেও পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার হত্যা মামলা দায়ের করেন।