স্টাফ রিপোর্টার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন সুলতানার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির মামলায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভাগীয় প্রধান এডভোকেট শেখ অলিউল ইসলাম (৫০) কে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রাকিবুল ইসলাম এডভোকেট অলিউলকে আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমা-ের আবেদন করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম রিমা- শুনানির দিন আগামীকাল রবিবার ধার্য করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেছেন। এডভোকেট অলিউল নগরীর বড় বয়রা পালপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনের বাসিন্দা মৃত. শেখ নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন সুলতানার অফিসে যান এডভোকেট অলিউল। তিনি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আজহারুল ইসলাম, মো. সোহাগ হোসেন, মো. সোহাগ আলম ও এটিএম শাহআলমকে দুর্ণীতির অভিযোগ তার অফিসে এসে বক্তব্য দেয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন। সরকারি কর্মকর্তাদের তিনি এভাবে ডাকতে পারেন না। বিষয়টি দুদককে অবহিত করেন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দুদকের একাধিক কর্মকর্তা মানবাধিকার কর্মী এ্যাড. অলিউর রহমানের (খালিশপুরস্থ বাসায়) অফিসে আসে।
কথা-বার্তা একপর্যায়ে এ্যাড. অলিউল ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময়ে হাতেনাতে দুদক তাকে গ্রেফতার করে। এঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় ১৭০/৩৮৫ ধারায় এ্যাড. অলিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যার নং- ৩।