কলারোয়ায় চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

21
Spread the love

   

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝিকরা গ্রামের প্রভাষক আরশাদ আলী চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে  বলে অভিযোগ উঠেছে।  জানাযায়,  সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নওবেকী ছোটকুপোট গ্রামের মৃত আবু জাফর সরদারের পুত্র আরশাদ আলী (৫০)। বর্তমানে তিনি কলারোয়া উপজেলার ঝিকরা গ্রামে বসবাস করেন।  প্রভাষক আরশাদ আলী কলারোয়া সোনাবাড়িয়া, সোনার বাংলা কলেজে ইসলামিক ইতিহাসে অধ্যায়নরত প্রভাষক হিসাবে চাকুরীরত আছেন। 

অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, কলারোয়া উপজেলার রামচন্দনপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের কন্যা খাদিজা খাতুন (২৫) এর মামা পাটকেলঘাটা বাইগুনি গ্রামের আঃ মজিদ মোড়লের পুত্র করিরুল ইসলামের ২০১৬ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিস সহকারী পদে চাকুরী নিয়োগ দেওয়ার নামে নগদ ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুক্তি মাধ্যমে ৯ লক্ষ ৫০ হাজার আমি পরিশোধ করি বাকী ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে না পারায়  জমির দলিল ও স্বর্ণের  গহনা জমা রাখি পরবর্তীতে এক মাসের মধ্যে  নগদ ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। এবং জমির দলিল ও গহনা আমি ফেরত নেই। ছাত্রী-শিক্ষক সম্পর্ক থাকায় খাদিজার নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করেন প্রভাষক আরশাদ আলী। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাকরি নিয়ে বিভিন্ন তালবাহনা করে,এবং চাকরি নিয়োগের বিষয় ঢাকা সাতক্ষীরা যাতায়াতে নাজেহাল হয়ে পড়ি,তার পরে জানতে পারি এই প্রতারক টাকা নিয়ে সাতক্ষীরা যশোর সড়কে দুই টা যাত্রীবাহী মিনি বাস ক্রয় করেছে।

খাদিজা খাতুন ২০১৭ সালের ৯ই আগষ্ট বাদী হয়ে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে কলারোয়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে বাদীকে নগদে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং বিবাদী প্রভাষক আরশাদ আলী বাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু প্রভাষক আরশাদ আলী পরবর্তীতে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় বাদী  ২০১৮ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান আবারও দুপক্ষের মাঝে মিমাংসা করে দেয়, এ সময় বিবাদী প্রভাষক আরশাদ আলী নগদে ২ লক্ষ টাকা দেয় এবং বাকী টাকা আবারও দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার নামে তালবাহানা করলে, পরে  বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু কাছে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বিবাদী ৭ দিনের সময় নিয়ে ব্যার্থ হয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন। বাদী খাদিজা খাতুন ৩০শে মার্চ ২০২০ কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগ এর ভিত্তিতে কলারোয়া থানায় এস আই ইসরাফিল  উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মাধ্যমে মিমাংসা করে দেন। এতে বিবাদী নগদে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও সময় নিয়ে ৭৫ হাজার টাকার পূবালী ব্যাংকের ০৬৬০৫৯৯ কলারোয়া শাখার একপাতা চেক বাদীকে প্রদান করেন। চেকের টাকা ৩০/৮/২০ তারিখে উত্তোলনের প্রতিশ্রুতি দিলেও রাখতে আবারও বার্থ হলেন প্রভাষক আরশাদ আলী। এ বিষয় এস আই ইসরাফিলের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উভায় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বিযয়টি মিমংসা করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে প্রভাষক আরশাদ আলীর কাছে মুঠো ফোন নং০১৭৬১৭০৮০৬৮ জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,  আমি বাদীকে ৭৫ হাজার টাকার চেক দিয়েছি কিন্তু এখন আমি ২৫ হাজার টাকা দিবো বাকি টাকা আমি দিতে পারবো না?  এতে যদি সে আমার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয় তাতে আমার কিছু করার নেই।