স্টাফ রিপোর্টার
দীর্ঘ ১০ বছর পর খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল স্কুলের ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পী (১৬) কে পিটিয়ে হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমানের আদালতে যুক্তি-তর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে এ হত্যা মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন এপিপি এ্যাড. কাজী সাব্বির আহম্মেদ। আসামি রকির পক্ষে এ্যাড. নিরঞ্জন কুমার ঘোষ ও আসামি হাসানের পক্ষে এ্যাড. শফিকুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আজ বুধবার ও কাল বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্কের বাকী অংশ শেষে রায়ের জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন আদালত। এর আগে এ হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৮ জনের মধ্যে ১৬জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। ওই সময় তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস মোহাম্মদ আলীর আদালতে আসামি রকি ও নজরুল ঘটনার বিবরণ দিয়ে এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং অন্যান্য আসামিদের জড়িত থাকার বিবরণ দেন।
মামলায় আসামিরা হলেন খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল এলাকার মান্নানের ছেলে রকি, আবু সাঈদের ছেলে আল-আমিন, মৃত. শামসুল হকের ছেলে হাসান ও আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. নজরুল। এছাড়াও পলাতক আসামিরা হলেন একই এলাকার মোমরেজের ছেলে রবিউল, নিছার ওরফে আনছার আলীর ছেলে মিলন, আজিজুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মুজিবর হাওলাদার ও আনসার আলীর ছেলে ইব্রাহিম ওরফে বাহাদুর।
আদালতের এপিপি এ্যাড. কাজী সাব্বির আহম্মেদ জানান, ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় প্লাটিনাম স্কুল মাঠে স্কুলছাত্র বাপ্পী ও তার বন্ধু রাজু একসাথে বসে গল্প করছিলো। ওই সময় পুর্ব শত্রুতার জেরে হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে বন্ধু রাজুকে মারতে আসে আসামিরা। তখন বাপ্পী বন্ধু রাজুকে বাঁচানোর জন্য ঠেকাতে আসলে আসামিরা বাপ্পীর মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। বাপ্পী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এই সুযোগে বন্ধু রাজু পালিয়ে যায়। এরপর আসামিরা তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত ডা. ইসমাইল শেখ ও ডা. সহদেব কুমার দাসের কাছে মৃত্যুকালীন জবানবন্দী দেয় ভিকটিম বাপ্পী। ওই দিন রাত ১১টার দিকে বাপ্পী মারা যায়। এঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-১১। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ খালিশপুর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারী এ হত্যা মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়।