খুলনাঞ্চল ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীনের হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে দেশটির পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে তদন্তে আদালতের নথিতে প্রথম বিদেশি রাষ্ট্র হিসেবে চীনের নাম দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যদিও বেইজিং এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং তার বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীন হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছে দেশটি। খবর রয়টার্সের
করোনাভাইরাসের উদ্ভব নিয়ে ক্যানবেরা আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানানোর পর দুই শীর্ষ বাণিজ্য সহযোগী অস্ট্রেলিয়া ও চীনের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। ক্ষুব্ধ হয়ে চীন অস্ট্রেলিয়ার ওপর বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগ শুরু করে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া বিদেশি বিনিয়োগের জন্য নিরাপত্তা পরীক্ষা বাড়িয়ে দেয়।
গত ২৬ জুন নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজনীতিবিদ এবং তার কর্মচারীর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
সেসময় চীন দাবি করে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চীনের পদক্ষেপের প্রশংসা করায় মোসেলম্যানের বাসায় গোয়েন্দারা গিয়েছিল।
তবে এ অভিযানের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান সুরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থা (আসিও)।
নিউ সাউথ ওয়েলসের লেবার পলিটিশিয়ান শওকেট মোসেলম্যানের হয়ে কাজ করা জন ঝাং হাইকোর্টকে তার বাড়ি, ব্যবসা এবং মোসেলম্যানের পার্লামেন্ট অফিসে অভিযান চালানোর জন্য ব্যবহৃত সার্চ ওয়ারেন্ট বাতিল করতে অনুরোধ করেছেন।
সুরক্ষার কারণে চীনে কর্মরত অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকদের সতর্ক করার একদিন পরে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল স্টিফেন ডোনাহু স্বাক্ষরিত নথিটি আদালতে দায়ের করা হয়।
এদিকে, চীন অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় কিছু লোক চীন সম্পর্কে গুজব ছড়াচ্ছে। এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।