খুলনাঞ্চল ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়েছে। আর নবেম্বরেই চীনা ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভারতে একদিনে প্রায় এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফ্রান্সে ফের করোনার ঢেউ শুরু হয়েছে। যেজন্য হাসপাতালগুলো দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিশ্বে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে তিন কোটি ৭৬ হাজার ৪২৯ জন হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৫ জনে। সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৩১৯ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ৭৩ লাখ দুই হাজার ২৬৫ জন। যাদের মধ্যে ৬১ হাজার ২৮৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৮ হাজার ২৯৮ জন যা একদিনে সংক্রমিত হওয়া রোগীর সংখ্যায় বিশ্ব রেকর্ড। এদিন মারা গেছেন ছয় হাজার ২২৮ জন। খবর বিবিসি, সিএনএন, এএফপি, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটার ডট ইনফোর। করোনার চীনা ভ্যাকসিন জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য নবেম্বরেই বাজারে আসতে পারে। এ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসির এক কর্মকর্তা। চীনের তৈরি কোভিড-১৯ এর চারটি ভ্যাকসিন কিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত তিনটি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে জুলাই মাসে ‘ইমার্জেন্সি ইউজ প্রোগ্রাম’ এর আওতায় জরুরী সেবাদাতা কর্মীদের জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে। নবেম্বর বা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চীনা ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিডিসির চীফ বায়োসেফটি এক্সপার্ট গুইঝেন উ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন। উ জানান, এপ্রিল মাসে তিনি নিজেই পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন কিন্তু এর অস্বাভাবিক কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে তিনি কোন ভ্যাকসিনের কথা বলেছেন, তা উল্লেখ করেনি। চীনের জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক বায়োটেক তিনটি ভ্যাকসিন তৈরি করছে। চতুর্থ ভ্যাকসিনটি তৈরি করছে ক্যানসিনো বায়োলজিক্স। যা জুনে চীনের সামরিক বাহিনী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।