ফিরছে ঘরোয়া ক্রিকেট, আনন্দিত ক্রিকেটাররা

4


ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর না হলে দেশের মাটিতে ক্রিকেট ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শিগগিরই শুরু হতে পারে ঘরোয়া ক্রিকেট। মাঠে ক্রিকেট ফেরার আনন্দে ভাসছেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা তুষার ইমরান মঙ্গলবার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা সবাই চাচ্ছিলাম ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হোক। কিন্তু মহামারির কারণে সব কিছুই থমকে গেলো। এখন সব কিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আমরাও আর কতদিন বসে থাকবো! অবশ্যই খুব ভালো উদ্যোগ ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ শুরু করা। এটা সবার জন্য ভালো।’ হার্ডহিটিং ওপেনার শামসুর রহমান শুভ বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে ফিরছে এটা অনেক স্বস্তির খবর। আমরা দীর্ঘদিন গৃহবন্দি। খেলা হলে মন সতেজ হবে, খেলোয়াড়রা অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবে। এটা নিশ্চয়ই ভালো খবর।’ একই সুর ইলিয়াস সানীর। জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পাঁচ উইকেট পাওয়া বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে ফিরছে এর থেকে ভালো খবর আর কী হতে পারে। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। ক্রিকেট খেলবো এটাতেই আনন্দ। বিসিবিকে ধন্যবাদ ক্রিকেটটা ফেরানোর কথা ভাবনার জন্য। আশা করছি দ্রুতই আমরা মাঠে ফিরতে পারব।’ গত মার্চ থেকে প্রতিযোগিতামূলক সকল ক্রিকেট বন্ধ। ১৬ মার্চ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ডের খেলা হয়। তুষারের আবেদন ঢাকা লিগ দিয়েই যেন মাঠে গড়ায় ঘরোয়া ক্রিকেট, ‘যেখান থেকে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু হলেই ভালো হয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমরা মাত্র একটা করে ম্যাচ খেলেছি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে যদি শুরু করে তাহলে সব খেলোয়াড়দের জন্যই ভালো। লিগটা যেন এ বছর হয়, সিঙ্গেল লিগ হলেও যেন শেষ হয়।’ শামসুর রহমানেরও একই দাবি, ‘ঢাকা লিগ দিয়ে মাঠে ফিরলে একটা ধারাবাহিকতা থাকবে। তবে বিসিবি আমাদেরকে যেভাবে ফেরাতে চায় সেভাবেই আমরা খেলতে প্রস্তুত থাকব। বিসিবি নিশ্চিয়ই আমাদের খারাপ চাইবে না। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অনুশীলনের ফিরলেও স্থানীয় ক্রিকেটাররা মাঠে ফেরেননি। কয়েকজন ব্যক্তিগত অনুশীলন করলেও বেশিরভাগ এখনও গৃহবন্দী। চারদেয়ালে চলছে তাদের ফিটনেস ট্রেনিং। বিসিবি লিগ শুরুর ঘোষণা দিলে খুব বেশি প্রস্তুতির সময় লাগবে না বলে মনে করছেন তুষার ও শামসুর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ হাজারেরও বেশি রান করা তুষার বলেন, ‘আমি মনে করি অনেক বেশি সময় দরকার হবে না প্রস্তুতির জন্য। স্বল্প সময়ের নোটিশেই প্রস্তুত হতে পারবো আশা রাখি। আমরা যারা অনুশীলনের বাইরে আছি তাদেরকে ১৫ থেকে ২০ দিন যদি অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয় সেটা পর্যাপ্ত। ’ শামসুরের ভাষ্য, ‘আমাদেরকে ১৫-২০ দিনের জানালা দিলেই হবে। এ সময়ে অনুশীলন করে ম্যাচ ফিটনেস পাওয়া সম্ভব। ’

১২০ দেশে সরাসরি দেখানো হবে আইপিএল, বাদ পাকিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এবছরও আইপিল দেখতে পাবেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা। গোটা বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশে এই মেগা টুর্নামেন্ট লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করলেও পাকিস্তানের কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেনি স্টার স্পোর্টস। ফলে পাকিস্তানে এবছরও আইপিএল লাইভ দেখা যাবে না। তবে, তাতেও আইপিএলের সার্বিক ভিউয়ারশিপে তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই ধারণা স্টারের। কারণ, এবারের টুর্নামেন্ট পৌঁছে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের প্রতিটি কোণে। করোনা মহামারী ক্রিকেটীয় ক্যালেন্ডার থেকে প্রায় ৬টা মাস কেড়ে নিয়েছে। মহামারীর আবহে সেই মার্চ মাস থেকেই বন্ধ ছিল ক্রিকেট। মাস দেড়েক আগে থেকে ধাপে ধাপে কয়েকটি দেশে ক্রিকেট ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও, মেগা টুর্নামেন্ট বলতে যেটা বোঝায়, তেমন কিছু এখনও হয়নি। ফলে নিয়মিত ক্রিকেটের টান টান উত্তেজনা উপভোগ করার জন্য বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের ক্রিকেট ভক্তরা অপেক্ষা করে আছে আইপিএলের জন্য। আর আইপিএলের সম্প্রচারকারী সংস্থাও চাইছে, গত ৬ মাসে তাদের যে পরিমাণ লোকসান হয়েছে তার যতটা সম্ভব পুষিয়ে নিতে। সেজন্যই এবারের আইপিএল ক্রিকেট বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিতে চাইছে স্টার স্পোর্টস। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিশ্বের মোট ১২০টি দেশে এবারের আইপিএল সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস এবং তাঁদের সহকারী সংস্থাগুলো। সব দেশে টেলিভিশন সম্প্রচার সম্ভব না হলেও অ্যাপের মাধ্যমে তা লাইভ স্ট্রিম করা যাবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, আফ্রিকা এমনকি কানাডা, আমেরিকা এবং ইওরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এই মেগা টুর্নামেন্ট দেখানো হবে। বাদ যাচ্ছে শুধু পাকিস্তান। উল্লেখ্য, এবছরও ভারতে আইপিএল দেখা যাবে স্টার স্পোর্টসের একাধিক চ্যানেলে। মোট সাতটি ভাষায় শোনা যাবে কমেন্ট্রি। আর ভারতে আইপিএল লাইভ স্ট্রিম করবে ডিজনি ও হটস্টার। সেজন্য অবশ্য গ্রাহকদের ডিজনি ও হটস্টার এর প্রিমিয়াম বা ভিআইপি প্যাক রিচার্জ করতে হবে। আর গোটা বিশ্বে খেলা দেখানোর জন্য স্কাই স্পোর্টস, ফক্স স্পোর্টস সহ একাধিক চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে স্টার।

এলিয়েন মেসির সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করাটা হবে অসাধারণ: পিয়ানিচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বার্সেলোনার ফুটবলার হিসেবে ক্যাম্প ন্যু’তে মঙ্গলবার নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন মিরালেম পিয়ানিচ। যেখানে তিনি লিওনেল মেসিকে ‘এলিয়েন’ (ভিনগ্রহের প্রাণী) হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা ও খেলতে পারাটা হবে অসাধারণ কিছু। এই মৌসুমেই জুভেন্টাস থেকে ৬৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সায় পাড়ি দেন বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনার এই মিডফিল্ডার। আর কাতালানদের হয়ে তিনি ৮ নাম্বার জার্সি গায়ে জড়াবেন। বার্সায় যোগ দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে পিয়ানিচ বলেন, ‘এখানে খেলতে পারাটা সম্মানের। এটা আমার স্বপ্নে ছিল। এখানে দারুণ সবকিছু হয়। এখানে আসতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমি এমন এক কাবে যোগ দিয়েছি যেটি সেরাদের সেরা এবং এটা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করেছিলাম, আমি দেখলাম তাদের ইতিহাস, শিরোপাগুলোৃএটা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ। এখানের সবাই গ্রেট খেলোয়াড় এবং আমি আশাকরি আমার অভিজ্ঞতা ও ফুটবল জ্ঞান ঢেলে দিতে পারবো। বার্সেলোনা আমার জন্য একটা মানদ- ও ফুটবলেরও। ’ সাংবাদিকরা পরে মেসি সম্পর্কে পিয়ানিচের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি থেকে যাওয়াতে খুবই খুশি হয়েছেন। ‘বাহির থেকে আমি চিন্তা করলেও, আমি কখনোই তাকে অন্য কোথাও কল্পনা করতে পারি না। সে খুবই বড় মাপের খেলোয়াড়। তাকে হাতছাড়া করাটা খুবই হতাশার, তবে এটা তারই ঘর। তাকে অন্য জার্সিতে দেখাটা আমার কাছে খুবই কঠিন হবে। ’ ‘সে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় এবং এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, সে এখনও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি তাকে লম্বা সময় ধরে চিনি না। আমি এর আগে টট্টি (ফ্রান্সিসকো), ক্রিস্টিয়ানোর (রোনালদো) সঙ্গে খেলেছিৃএটা তাৎপর্যপূর্ণ যে তাদের মতো ফুটবলারদের আমি পাশে পেয়েছি। তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এবং আমার কাছে তারা এক একটা উদাহরণ। আর মেসির মতো এলিয়েনের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করাটা হবে অসাধারণ কিছু। তবে পুরো দলটাই গুরুত্বপূর্ণ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন রশিদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
১৬ বছর আগে আইসিসির সঙ্গে পথচলা শুরু আফগানিস্তান ক্রিকেটের। ইচ্ছাশক্তি আর একাগ্রতা দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি এরই মধ্যে পেয়েছে টেস্ট স্ট্যাটাস। স্বপ্ন এখন তাদের আরও বড়। দেশটির সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান, ক্রিকেট বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খেলে বেড়ানো এই লেগ স্পিনার জানালেন, তাদের স্বপ্ন এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর ইতিমধ্যে চার ম্যাচ খেলে ফেলেছে আফগানিস্তান। পেয়েছে দুটি জয়, যার একটি অভিজ্ঞ বাংলাদেশের বিপক্ষে। দেশটির সেরা খেলোয়াড়রা ক্রিকেট বিশ্বে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন বিভিন্ন ঘরোয়া লিগে খেলে। তাদের মধ্যে সব থেকে বড় নাম রশিদ। আফগান অধিনায়কের বিশ্বাস, তার দলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব। দরকার শুরু আত্মবিশ্বাসের। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার স্বপ্ন ছিল আফগানদের। সেটি পূরণ হয়েছে। সামনে আরও বড় লক্ষ্য স্থির করেছেন রশিদ। ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের উপস্থাপনায় এক ইউটিউব অনুষ্ঠানে আফগান তারকা বলেছেন, ‘গোটা দেশের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল (আইসিসির) পূর্ণ সদস্য হওয়া এবং টেস্ট খেলা। এটা নিয়ে আমরা সবাই আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি চলে আসবে সত্যি প্রত্যাশা করিনি। ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাটিতেই টেস্ট খেলা, সত্যি সবার জন্য স্বপ্নের চেয়ে বেশি কিছু।’ টেস্ট খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে, এখন তাহলে আফগানরা কী স্বপ্ন দেখেন? রশিদ বললেন, ‘এই মুহূর্তে দল যেটা চাইছে, যে স্বপ্ন দেখছে দেশ, সেটা হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। কারণ আমাদের দক্ষতা আছে, দরকার শুধু আত্মবিশ্বাসের যে আমরা এটা করতে পারবো। প্রতিভার দিক থেকে আমরা দারুণ। আমাদের আছে স্পিনার, আছে ফাস্ট বোলার, একই সঙ্গে আছে দক্ষ ব্যাটসম্যান।’ তবে স্বপ্ন পূরণের জন্য আরও বেশি ম্যাচ চাই রশিদের, ‘যখন আমরা বেশি সিরিজ খেলতে পারবো, তখন আমরা আরও ভালো দল হয়ে উঠবো। আমাদের নামি সব টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় আছে। আমার নিজের ও দেশের স্বপ্ন একদিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা। আর সেটা হবে আফগানিস্তান ক্রিকেট ও আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।’

নারী ফুটবলার উন্নতিকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
উদীয়মান নারী ফুটবলার উন্নতি খাতুনকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলনে কক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত ৫ লাখ টাকার চেক উন্নতির হাতে তুলে দেন মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত ২৪ হাজার টাকা মাসিক ক্রীড়া ভাতার চেকও উন্নতির হাতে তুলে দেন। এ সময় যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ, তথ্য কমিশনার আবদুল মালেক ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উন্নতি খাতুন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমি দারুণভাবে উৎসাহিত। আমি দেশের জন্য সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ’ উন্নতি খাতুন গত বছর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।