তেরখাদা প্রতিনিধি
গতকাল তেরখাদায় এক পুলিশ কসস্টেবল কর্তৃক ৪য় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং ঐ ছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের উত্তর মোকামপুর গ্রামের ফুল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল আলমগীর শিকদার এর পুত্র পুলিশ কনস্টেবল রেজাউল শিকদার একই গ্রামের ৪র্থ শ্রেণীতে পড়–য়া কন্যাকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতনের সময় তার আতœচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

উল্লেখ্য কনস্টেবল রেজাউল নাটোর জেলা পুলিশ লাইনে দায়িত্বরত আছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে তিনি ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। এঘটনায় রেজাউল কে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রেখেছে। তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজ হয়েছে। যার নং ০১। তারিখ-১৪/০৯/২০২০ইং। এঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) দক্ষিণ বিএম আবুল কালাম আজাদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সার্কেল এম রাজু আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তেরখাদায় আইন অমান্য করে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন
তেরখাদা প্রতিনিধিঃ
তেরখাদার উপজেলার নাচুনিয়া গ্রাম আইন অমান্য করে নবম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রীর বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এঘটনায় করোনা পরিস্থিতির ভিতরেও বৃহৎ আকারে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সূত্র মতে জানা যায়, উপজেলার নাচুনিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের নবম শ্রেণীতে পড়–য়া কন্যার কয়েকদিন পূর্বে গোপনে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তার অনুষ্ঠান মহা ধুমধামে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিয়ে বাড়িতে কোন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিয়ের আগের দিন রাতে ছোট খাটো সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে তেরখাদা থানার টহলরত এসআই মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন এবং বাল্য বিবাহের ব্যাপারে জানতে পেরে বিয়ে টি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপরের দিন গতকাল বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার সময় বিভিন্ন সোর্স থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহাকে অবহিত করলে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ বেগম কে সেখানে যেতে বলেন। সহকারী কমিশনার ঘটনাস্থলে না গিয়ে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারলেন বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে বর কন্যা নেই। তাই সেখানে আর কোন পদক্ষেপ নেন নাই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান ১৮ বছর দিয়ে জন্ম সনদ দিলে বিয়ের জন্য আইনগত কোন বাধা থাকেনা। তবে পুরো বিষয়টি আমি দেখছি।