স্টাফ রিপোর্টার
দৌলতপুর কারিকর পাড়ার মতির খাল থেকে রিয়াদুল ইসলাম হৃদয় (১৮) নামের এক কিশোরের মাথা থেতলানো মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামি মো. গোলাম রসুল (২১) আদালতে স্বকিারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
গতকাল শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ মোশারেফ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এসময় তার দেয়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম রেকর্ড করেছেন। গোলাম রসুল দৌলতপুর পাবলা দক্ষিণ কারিকর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে হায়দার সরকারের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ মোশারেফ হোসেন জানান, এ মামলার এজহারভুক্ত ৬আসামির মধ্যে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোলাম রসুল মামলার এজহারভুক্ত আসামি নয়। আসামি সোহাগ এর দেয়া স্বীকারোক্তিতে নাম এসেছে। তাকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কারিকর পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১আগস্ট দৌলতপুর পাবলা দক্ষিণ কারিকর পাড়ার মোড়ল বাড়ির মো. হানিফ মোল্যার ছেলে মো. ইব্রাহিম হাসান ওরফে সোহাগ (২১) আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। ২ সেপ্টেম্বর ৪আসামিকে রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আসামিরা হলেন খালিশপুর থানাধীন গোয়ালখালি মতিঝিল সড়কের আব্দুল আলীমের ছেলে মো. ইমন (২০), পাবলা কারিগর পাড়ার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. হুসাইন (১৯), মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. হাসনাঈন আহমেদ দিহান (১৯) ও মো. ইলিয়াস বিশ্বাসের ছেলে মো. হাসিবুর রহমান শান্ত (১৯)। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। অচিরেই বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, খালিশপুর গোয়ালখালি মেইন রোডের মো. মশিউর রহমানের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম হৃদয় (১৮) কে ২৪আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধুরা। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় পরের দিন খালিশপুর থানায় জিডি করা হয়। ২৮আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতপুর কারিগর পাড়ার মতির খাল থেকে হৃদয়ের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৩আগস্ট বিকেল সোহাগের নারিকেল গাছ থেকে ডাব পেড়ে খায় হৃদয়। এনিয়ে আসামিরা তাকে মারধোর করে। এঘটনায় নিহত হৃদয়ের মা মুর্শিদা বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং- ১২।