দগ্ধদের ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়

2
Spread the love

নারায়ণগঞ্জ শহরে পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে অনেকে তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ হওয়াতে তাদের পরিবার মারাত্মক বিপাকে পড়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ। অবস্থা বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকারের করা জনস্বার্থমূলক রিটের শুনানিতে ৩৭ জনের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে তিতাস গ্যাস কোম্পানির প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতের আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে ভুক্তভোগীদের মাঝে এই টাকা বিতরণ করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি সময়োপযোগী। কারণ ইতিমধ্যে ৩৭ জনের মধ্যে ২৮ জন নিহত হয়েছে, আর অন্যসবার অবস্থাও খুবই সঙ্কটময়। চিকিৎসাধীন একেকজনের শরীর ৫০% থেকে ৯০% পুড়ে গেছে। ক্ষতিপূরণের এই সিদ্ধান্ত তাদের পরিবারের কিছুটা উপকার হবে বলে আমরা মনে করি।

দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরণের স্থাপনায় নিয়ম না মানার বিষয়টি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। গ্যাস-বিদ্যুত-পানির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখে অবকাঠামো নির্মাণের নিয়ম ভাঙ্গা হচ্ছে প্রায় সব জায়গায়। বাস্তব প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অবকাঠামোতে এই অনিয়মের বিস্তার আরো বেশি বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়। নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ তার জলন্ত প্রমাণ, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতীয় সংসদে কথা বলেছেন। আমরা মনে করি, এইসব দিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত।

মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত চলাকালে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে আগাম দায় এড়ানোর নানা ধরণের কথাবার্তা উঠে আসছে গণমাধ্যমে। বিষয়টি খুবই নেতিবাচক বলে আমাদের মনে হয়েছে। ভয়াবহ ও মর্মান্তিক এই ঘটনার তদন্তে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে সঠিক কারণ বের করা উচিত। যাতে করে সামনের দিনগুলিতে এধরণের ঘটনা দেশের আর কোথাও না ঘটে। এছাড়া বিস্ফোরণে নিহত-দগ্ধদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবার হাইকোর্টের নির্দেশ যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্টরা মনোযোগী হবেন বলে আমাদের আশাবাদ।