বটিয়াঘাটায় খাসজমি দখলকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ

4
Spread the love

 

স্টাফ রিপোর্টার

বটিয়াঘাটা উপজেলার তেতুলতলা গ্রামে খাসজমি দখলকে কেন্দ্র করে আলী আহম্মদ গ্রুপ ও মোফাজ্জেল মুন্সি গ্রুপের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর আকন হত্যা মামলার ৫আসামির আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল সোমবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক নয়ন বিশ্বাস তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেছেন।   

আত্মসমর্পণকারী আসামিরা হলেন বটিয়াঘাটা উপজেলার তেতুলতলা চরা গ্রামের মৃত. আরশাদ আলি হাওলাদারের ছেলে আলী আহম্মদ হাওলাদার (৮২), আলী আহম্মদ হাওলাদারের ছেলে সাইদুল হাওলাদার (২৬), মৃত. আহম্মেদ আলি শেখের ছেলে মো. দাউদ শেখ (৪৮), মৃত. রশিদ গাজীর ছেলে মহারাজ গাজী (৪২) ও মৃত. মান্নান হাওলাদারের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার তেতুলতলা গ্রামে খাসজমি দখলকে কেন্দ্র করে আলী আহম্মদ গ্রুপ ও মোফাজ্জেল মুন্সি গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিক, সাইদুল, দাউদ সাধারণ আঘাতপ্রাপ্ত  বাদশা ও রেজাউলকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য জাহাঙ্গীর আকনকে স্কুটারে তুলে নেয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীর আকনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত. ঘোষণা করা হয়। আসামিরা পরিকল্পিত ভাবে দারোগার ভিটা হতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে যে কোন জায়গায় জাহাঙ্গীর আকনকে হত্যা করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এঘটনায় সিআইডি খুলনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহরুম খান বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-১১, তাং-২৮/৩/২০১৬। চলতি বছরের ১৪মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ-সার্কেল মোহাম্মদ বদিউজ্জামান ১১জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আলী আহম্মদ হাওলাদারের ৩ছেলে মো. রফিক হাওলাদার (৪৫), বাদশা হাওলাদার (৪২) ও রেজাউল হাওলাদার (৩৫),  মৃত. কাশেম খলিফার ছেলে নুরুল হক খলিফা (৪৫), মহারাজ গাজীর স্ত্রী বিউটি বেগম (৩২) ও  মৃত. মান্নান হাওলাদারের ছেলে আশরাফুল আলম (৪০) ।