শরণখোলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় আইন অমান্য করে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামে করাত কল পরিচালনের অপরাধে মোঃ নুরুল হক আকন নামের এক ব্যাক্তিকে কারাগারে পঠিয়েছে আদালত।
সোমবার বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট’র আদালত-১ (বন আদালত) এর বিচারক সমির মল্লিক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শরণখোলা উপজেলার বকুলতলা গ্রামের আঃ রশিদ আকনের পুত্র মোঃ নুরুল হক আকন ওরফে নুরুল হক আড়ৎদার বন আইন অমান্য করে বন সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে করাত কল স্থাপন করে কাঠ চেরাই করে আসছিল।
বিষয়টি প্রশাসন ও বন বিভাগের নজরে আসলে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন ও সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদীন মোবাই কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করে করাত কল বন্ধ করে দেন। এব্যাপারে নুরুল হক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আদালতে লাইসেন্স বিহীন আর করাত কল পরিচালনা করবেন না মর্মে মুসলেকা প্রদান করেন। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে আবারো বন সংলগ্ন ওই গ্রামে অবৈধভাবে দুইটি করাত কল স্থাপন করে কাঠ চেরাই করে আসছেন।
এভাবে আইন অমান্য করার কারনে বন বিভাগ সি-(বন) ২০/২০২০ এবং সি-(বন) ২১/২০২০ মামলা রজু করে। ওই মামলায় সোমবার আদালতে হাজির হলে তার জামিন না মঞ্জুর করা হয়।
এ ব্যাপারে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জনান, সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন প্রকার মিল, কল-কারখানা স্থাপন করা সম্পূর্ণ বে-আইনী। কিন্তু মোঃ নুরুল হক আড়ৎদার মাত্র ৩/৪ কিলোমিটারের মধ্যে অবৈধভাবে করাত কল স্থাপন করে পরিচালা করছেন। তাই বন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে করাত কলগুলো বন্ধ করে দেয়ার পরেও আইন অমান্য করে তিনি করাত কল চালিয়ে আসছিল। তাই বন বিভাগের মামলায় তার জামিন না মঞ্জুর হয়েছে। অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধ অভিযান অব্যাহত থাকবে।