করোনার সুযোগে জেলা পরিষদের চেক দিয়ে ৬ লাখ টাকা চুরি!

3
Spread the love

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি               

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সরকারি চেক বইয়ের তিনটি পাতা চুরি করে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয়েছে। জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম খলিলুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক লি. সাতক্ষীরা শাখায় জেলা পরিষদের নামে ২৮১৮২০০০৬১২৩২নং একটি হিসাব পরিচালিত হয়ে আসছিল। যা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়। উক্ত হিসাবের বিপরীতে যাবতীয় চেক বই ও কাগজপত্র হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবু হুরাইয়া সংরক্ষণ করে থাকেন। গত ২৭ আগস্ট উক্ত হিসাবের বিপরীতে আবুল হোসেন নামীয় এক ব্যক্তির পক্ষে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকার একটি চেক ব্যাংকে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু চেকে থাকা স্বাক্ষর দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পাশাপাশি চেকটি জেলা পরিষদ থেকে ইস্যু করা হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপনকারী ব্যক্তি এরইমধ্যে সটকে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, উক্ত হিসাবের বিপরিতে চ.হি. গঙ/৫০ নম্বর চেক বইয়ের সর্বশেষ ০১৮২৩০০, ০১৮২৩৪৯ ও ০১৮২৩৫০ নম্বরসহ মোট ৩টি পাতা চেক বইতে রক্ষিত নেই। করোনাকালে জেলা পরিষদের কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ায় অনিয়মিত অফিস পরিচালিত হওয়ার ফাঁকে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এরপর ২৭ আগস্ট সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার টেলিফোনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে অবহিত করার পর বিষয়টি তাদের নজরে আসে।

এর আগেও ২৩ জুলাই ০১৮২৩০০নং চেকের পাতা ব্যাংকে জমা দিয়ে ৬ লাখ টাকা উঠিয়েছেন এক ব্যক্তি। কে বা কারা এই চেকের পাতা চুরি বা টাকা উত্তোলন করতে পারে তা নিয়ে জেলা পরিষদের অভ্যন্তরে বেশ জল্পনা কল্পনা চলছে। এ বিষয়ে গত ২৯ জুলাই মামলা হয়েছে।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শেখ হাবিবুর রহমান জানান, মামলা রুজু করার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তথ্য প্রযুক্তির বিষয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, জেলা পরিষদ থেকে চেকের পাতা চুরি এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় বাইরের কেউ থাকতে পারে। তবে জেলা পরিষদের ভেতরের কেউ আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। জেলা পরিষদ থেকে ব্যাংকে প্রেরিত চেকের সঙ্গে প্রদত্ত অ্যাডভাইসও নকল করা হয়েছে। জেলা পরিষদের অভিজ্ঞ কোনো লোক না থাকলে টাকা ওঠানো সম্ভব নয়। ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। চোরেরা রক্ষা পাবে না।