স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন আটরা পশ্চিম পাড়ায় স্ত্রী অনন্ত চৌধুরী হীরা ( ৩২) কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় গ্রেফতার স্বামী এম কে আই জিয়াম (৪২) কে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নৃপেন্দ্র বিশ্বাস আসামি জিয়ামকে আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমা-ের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমা- শুনানির দিন আগামি সোমবার ধার্য করেছেন। নিহত হীরা ফুলতলা থানার দামোদার কলোনীর মো. আমির হোসেন চৌধুরীর মেয়ে এবং জিয়াম আটরা পশ্চিম পাড়ার মৃত. নুরুল ইসলামের ছেলে।
গতকাল নিহত হীরার ভাই মো. আকাশ চৌধুরী বাদী হয়ে এম কে আই জিয়ামসহ ৫জনের বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন যার নং-১২। মামলার অপর ৪ আসামি হলেন জিয়ামের বড় ভাবী মৃত. আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী মোসা. হেলেনা বেগম (৪২), হেলেনা বেগমের মেয়ে রিয়া বেগম (২৪), রিয়া বেগমের স্বামী মো. জাফরের ছেলে মো. বাবু (২৭) ও হেলেনা বেগমের মেয়ে মো. মেহেদীর স্ত্রী ইভা বেগম (২২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, খানজাহান আলী থানাধীন আটরা পশ্চিম পাড়ার মৃত. নুরুল হকের ছেলে এম কে আই জিয়ামের সাথে ২০১০ সালে বিয়ে হয় ফুলতলা থানার দামোদার কলোনীর মো. আমির হোসেন চৌধুরীর মেয়ে অনন্ত চৌধুরী হীরার। তাদের সংসারে মরিয়ম খাতুন (১০) ও মো. এহসানুল তামিম (৫) নামের ২ টি বাচ্চা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী জিসান বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী হীরাকে নির্যাতন করতো তকে সন্তানদের কথা ভেবে স্বামীর নির্যাতন মেনে নিয়ে সংসার করছিলো হীরা। ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় একাধিকবার জিডি ও অভিযোগ ও করা হয়। ১৮ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে হীরা ফুলতলায় বাপের বাড়িতে যায়। রাতে জিয়ামের জন্য ভাত নিয়ে বাড়ি ফিলে আসে। রাত দেড়টার দিকে হীরা ফোনে বাসায় জানায় জিয়াম ও তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধোর করতেছে। ১৯ আগস্ট সকাল পৌনে ৯টার দিকে হীরার বোন বন্যা জিয়ামের কাছে ফোন দিয়ে হীরা কেমন আছে জানতে চাইলে জিসান বলে সে বাড়িতে নেয় কোথায় গেছে খুজে পাচ্ছিনা, এ কথা বলার পর পাশে থাকা হীরার ছোট ছেলে তামিম বলে মা তো মারা গেছে, মোবাইলে এটা শোনার পর
হীরার বাড়ির লোকজন হীরার শশুর বাড়িতে গিয়ে দেখে তার স্বামী ঘরে রয়েছে। জিসান এর কাছে হীরা কোথায় আছে জানতে চাইলে সে বলে তাকে খুজে পাচ্ছিনা, এর পর পার্শবর্তী ঘরে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ার সাথে হীরার গলায় ওড়না প্যাচানো লাশ ঝুলানো রয়েছে। খবর পেয়ে খানজাহান আলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং স্বামী জিসানকে আটক করে। এঘটনায় হীরার ভাই মো. আকাশ চৌধুরী বাদী হয়ে এম কে আই জিয়ামসহ ৫জনের বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন যার নং-১২।