কেশবপুরে হরিহর নদ কচুরিপানায় ভরা

2
Spread the love

আলমগীর হোসেন, কেশবপুর

যশোরের কেশবপুরের হরিহর নদ তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে কচুরিপানার কারণে। নদটি কেশবপুরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পাশ্ববর্তী মণিরামপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে ঝিকরগাছায় গিয়ে মিশেছে। শুধু হরিহর নদ নয় এর শাখা খোঁজাখালী খালেরও একই অবস্থা। কচুরিপানায় নদের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় এলাকাবাসীর ভেতর তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নদ তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীসহ সচেতন মহল নদের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুত কচুরিপানা অপসারণের দাবি করেছেন।

সরেজমিন হরিহর নদের কেশবপুর বাজারের হাবিবগঞ্জ ব্রিজ ও খোঁজাখালী খালের মধ্যকুল সুইচ গেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কচুরিপানায় ভরে রয়েছে। এতে নদ ও খালের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। মধ্যকুল সুইচ গেটের পাশে গেলে কথা হয় মর্জিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর সঙ্গে। তিনি বলেন, খালে কচুরিপানায় ভরে থাকায় গোশল করারও উপায় নেই। কচুরিপানার কারণে খালের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে পড়েছে। হরিহর নদের হাবিবগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী আব্দুর রহমান বলেন, যখন নদে কচুরিপানা থাকে না তখন নদের সৌন্দর্যে মানুষের মনও মুগ্ধ হয়ে উঠে। স¤প্রতি কচুরিপানার কারণে নদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রæত কচুরিপানা অপসারণ করার দাবি এলাকার মানুষের। নদ-নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা অপসারণের কোন প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন।

কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন বলেন, হরিহর নদ ও খোঁজাখালি খালে কচুরিপানা জমে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। স্রোতে কচুরিপানা ভেসে না গেলে আগামীতে কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ শুরু হলে নদ ও খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ করা হবে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লাহ বলেন, নদ-নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা অপসারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন প্রকল্প নেই। স্রোতে ভেসে গিয়ে কচুরিপানা অপসারিত হলেই নদের সৌন্দর্য ফিরে আসবে।