পাইকগাছায় তিন দফা হামলায় খুমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মোস্তাফিজ

3


স্টাফ রিপোর্টার


খুলনার পাইকগাছায় পল্লীতে বির্তকিত মন্তব্য করে দল থেকে বহিস্কার হলেও থেমে নেই আজিজুল হাকিম বাহিনীর তান্ডব। অন্যের পুকুরের মাছ জোর করে ধরাকে কেন্দ্র করে এবার আলোচনায় এসেছেন আজিজুলের ভাই আনোয়ার ও ভগ্নিপতি তোরাব আলী। আনোয়ার, তোরাব আলী ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক মোস্তাফিজুর রহমান।


জানা গেছে, গেল ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের বর্তমান সময়ের বিতর্কিত মন্তব্য করে দল থেকে বহিস্কৃত এম এম আজিজুল হাকিমের ভাই আনোয়ার হোসেন ও তাদের ভগ্নিপতি তোরাব সরদার জনৈক সোহরাব সরদারের মাছ চাষের পুকুরে জোর করে মাছ মারতে যায়। এ সময় সোহরাব সরদারের দুই ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও মাসুম তাদের বাধা দিলে লাঠি সোটা নিয়ে মারতে আসে। প্রানের ভয়ের মোস্তাফিজ ও মাসুম বাড়ি চলে যায়।


এ ঘটনার জের ধরে ১৫ আগস্ট শনিবার সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় সোহরাব সরদারের ছোট ছেলে মাসুম তাদের পুকুরে মাছ ছাড়তে গেলে আজিজুলের ভাই আনোয়ার হোসেন ও তাদের অগ্নিপতি তোরাব সরদার তাকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। এ সময় মাসুমের চিৎকারে বড় ভাই মোস্তাফিজুর ও ভাগ্নে নাঈমুর এসে বাধা দিলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। আজিজুল বাহিনীর সদস্য নজরুল, কামরুল, সাঈদ, তোরাবের ছেলে বাদশাও তাদেরকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। এসময় স্থানীয় মেম্বর লাভলু এগিয়ে এসে আজিজুল বাহিনীর হাত থেকে মোস্তাফিজ ও তার ভাই মাসুমকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু থেমে থাকেনি আজিজুলের ভাই আনোয়ার ও তাদের লোকজন।

পুনরায় মোস্তাফিজদের বাড়িতে ঢুকে দ্বিতীয় দফায় মারপিট ও ভাংচুর চালায়। এমনকি পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। সেখানেও স্থানীয় লাভলু মেম্বার স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে আজিজুল বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে। ওইদিন বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় মারাত্মক অসুস্থ মোস্তাফিজুর রহমান চিকিৎসার জন্য পাইকগাছা গেলে আল-আমিন কিনিকের সামনে তার গতিরোধ করে আজিজুল হাকিমের ভাই আনোয়ার, ভাগ্নে বাদশা, ভাইপো রেজা ও নয়ন তৃতীয় দফায় মারপিট করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে থাকা মোস্তাফিজকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মোস্তাফিজের বাবা সোহরাব আলী জানান, আজিজুলের বাবা মোজাম্মেল মোড়ল জামায়াত ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত এবং তার ছেলে আজিজুল যুবলীগ এবং ছেলে নুর মোহাম্মাদ নুরুল বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় এলাকার কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারে না। এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নেই যার সাথে তারা সম্পৃক্ত নেই। তিনি আরো বলেন, দুইদিন পরে তার ছেলে মোস্তাফিজের জ্ঞান ফিরেছে। এখনও ভালো করে কথা বলতে পারছে না। আজ (সোমবার) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান।


পাইকগাছা থানার ওসি তদন্ত মো. আশরাফুল আলম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের কেউ থানায় আসেনি। থানায় অভিযোগ নিয়ে আসলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।