স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর ৪৬/১, আহসান আহমেদ রোডের বাসিন্দা মৃত. ডা. আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. হোসেন সাকের (৫৫) হত্যা মামলার দু’আসামি দু’দিনের রিমা- শেষে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম এ আদেশ প্রদান করেছেন।
দু’আসামি হলেন নিহত সাকেরের ভাগ্নে আব্দুল হামিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১) ও বসুপাড়া কবরস্থানের মেইন গেটের সামনে তসলিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া তৈয়ব আলি শেখের ছেলে মো. সেকেন্দার শেখ (৪৮)। গত ৩০ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল আলম জেলহাজতে থাকা ৭আসামির ৭দিনের রিমা-ের আবেদন করেন আদালতে। এর আগে ২৮জুন আদালত আসামি নিহত সাকেরের বড় ভাই হাবিব হোসেন শাহিন (৬০), সাইফুল ইসলাম (২১) ও মো. সেকেন্দার শেখ (৪৮) এর ২দিনের এবং শাহিনের স্ত্রী হাসিনা হাবীব (৫৫) ও মো. ফরহাদ হোসেন (৪৪)এর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৪জুন সকালে নগরীর আহসান আহমেদ রোডের বাসিন্দা মো. হোসেন সাকের (৫৫) ‘র মৃতদেহ তার বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা। এরপর তারা লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করেন। এরপর ২৬জুন তার স্ত্রী স্বামীর মৃত্যু কারন জানতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। একই সাথে খুলনা থানায় একটি জিডি করেন নিহতের স্ত্রী সাজিয়া আফরিন
হোসেন। এঘটনায় পুলিশ ২৭জুন রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর সোয়া ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৭জনকে গ্রেফতার করে। ২৮জুন এঘটনায় খুলনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন নিহত সাকেরের বড় ভাই হাবিব হোসেন শাহিন (৬০), তার স্ত্রী হাসিনা হাবীব (৫৫), কেয়াটেকার সাইফুল ইসলাম (২১), সেকেন্দার (৪৮), শাহিনের ছেলে লামিম
হোসেন (২১), ব্যবসায়ীক পার্টনার শরিফুল ইসলাম (৫৫) ও সোনাডাঙ্গাস্থ শাহিনের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. ফরহাদ হোসেন (৪৪)।