ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতি সামলে যুব ক্রিকেটারদের ক্যাম্প শুরু হচ্ছে আগামী ২২ আগস্ট থেকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভলেপমেন্টের আয়োজনে সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপিতে) চার সপ্তাহের এ ক্যাম্পে মোট ৪৫ জন ক্রিকেটার অংশগ্রহণ করবে। তিন গ্রুপে ভাগ করে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিটি গ্রুপকে ক্যাম্পে প্রবেশের পূর্বে করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
বিসিবি থেকে এরই মধ্যে নির্বাচিত ৪৫ ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মূল ক্যাম্প ২২ আগস্ট থেকে শুরু হলেও ১৫ আগস্ট থেকে ক্রিকেটারদের মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। গ্রুপ ‘১’-এ থাকা ১৫ ক্রিকেটার ১৫ আগস্ট মিরপুরে রিপোর্টিং করবেন। পরদিন ১৬ আগস্ট হবে তাদের কোভিড-১৯ টেস্ট। কোভিড-১৯ টেস্টে নেগেটিভ হওয়া ক্রিকেটাররাই পরদিন ১৭ আগস্ট যোগ দিবেন বিকেএসপিতে। একই ভাবে গ্রুপ ‘২’-এ থাকা ক্রিকেটাররা ১৭ আগস্ট মিরপুরে রিপোর্ট করবেন, ১৮ আগস্ট হবে তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা। তারা বিকেএসপিতে যোগ দিতে পারবেন ১৯ আগস্ট। আর গ্রুপ ‘৩’-এ থাকা ক্রিকেটাররা ১৯ আগস্ট মিরপুরে রিপোর্ট করবেন, ২০ আগস্ট কোভিড-১৯ পরীক্ষা শেষে ২১ আগস্ট বিকেএসপিতে যোগ দিবেন।
সবশেষে আগামী ২২ আগস্ট থেকে বিকেএসপিতে শুরু হবে মূল ক্যাম্প। ৪ সপ্তাহের এ ক্যাম্প শেষ হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। চার সপ্তাহের এ ক্যাম্প শেষে ৪৫ জনের দল থেকে প্রাথমিক স্কোয়াড বেছে নেওয়া হবে।
যুব টাইগারদের ক্যাম্পে জায়গা পেলেন যারা : গ্রুপ (১): মুশফিক হাসান, আরিফ আহমেদ অনিক, ফাহিম হাবিব মোর্শেদ, মো: হাবিবুর রহমান, সানজিদুর রহমান, বায়েজিদ মিয়া, শাহরিয়ার আলম মাহিন, মুস্তাকিম মিয়া, আশিকুর রহমান আশিক, মহিউদ্দিন তারেক, আহসান হাবিব লিওন, নাইমুর রহমান নয়ন, আশরাফুল ইসলাম সিয়াম, মো: আশরাফুল হাসান রোহান ও হাসিব হাওলাদার। গ্রুপ (২): অনিক চাখি, অনিক সরকার সেতু, ইমন আলী, মফিজুল ইসলাম রবিন, হৃদয় দেব, ফারদিন খান, ইফতেখান হোসেন ইফতি, হাবিবুর রহমান মুন্না, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, গোলাম কিবরিয়া, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, মো: জিল্লুর রহমান, আবু বক্কর আহমেদ, জাকারিয়া ইসলাম শান্ত ও আরাফাত ইসলাম। গ্রুপ (৩): সাকিব শাহরিয়ার, সোহাগ আলী, মেহরাব হোসেন অনিম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, খালেদ হাসান, আইচ মোল্লা, সাগর আহমেদ, রিহাদ খান, সিয়াম আল সাকিব, শাহরিয়ার সাকিব, শাওন কাজী সুমন, মিজবাহ আহমেদ, মাকসুদুর রহমান, লিমন হোসেন ও মঈনুল হাসান।
রিয়ালের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে কোয়ার্টারে ম্যানসিটি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রথম লেগের ম্যাচে ঘরের মাঠে হেরে যাওয়ায় প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ব্যতীত অন্যকিছু ভাবার সুযোগ ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। কিন্তু নিজেদের রক্ষণের ভয়াবহ ভুলে জয় দূরে থাক, সান্ত¡নার ড্র’টাও পায়নি জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। দুই লেগেই সমান ব্যবধানে বিদায় নিয়েছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে।
ম্যানচেস্টার সিটির সামনে সমীকরণ ছিল সহজ। দুই গোলের কম ব্যবধানে হারলেই নিশ্চিত হতো কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। তবু ঝুঁকি নিতে চায়নি যেনো পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। নিজেদের ঘরের মাঠে রিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েই পেয়েছে শেষ আটের নিশ্চয়তা। প্রথম লেগে রিয়ালের মাঠ থেকেও তারা জিতে ফিরেছিল সমান ২-১ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলে ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে আগামী ১৫ আগস্ট দিবাগত রাতে সিটিজেনদের প্রতিপক্ষ ফ্রেঞ্চ কাব অলিম্পিক লিও।
শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফেরার উপলক্ষ্যটা রাঙিয়ে নিতে মাত্র ৯ মিনিট সময় খরচ করে ম্যান সিটি। তবে একপ্রকার উপহারই পেয়েছে তারা। রাফায়েল ভারানের ঢিলেমির সুযোগে বল কেড়ে নেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। তার কাছ থেকে পাস পেয়ে অনায়াসেই থিবো কর্তোয়াকে পরাস্ত করেন রহিম স্টার্লিং। চলতি মৌসুমে দারুণ খেলতে থাকা স্টার্লিংয়ের এটি ম্যান সিটির হয়ে শততম গোল। মিনিট দশেক পর গোলের টালিটা আরও বাড়াতে পারতেন তিনি। এবারও গোলরক্ষককে ফাঁকা পেয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাসেমিরোর দুর্দান্ত স্লাইডিং ট্যাকলে সে দফায় গোলবঞ্চিত হয় ম্যান সিটি ও স্টার্লিং। দুই লেগ মিলে তখন ১-৩ গোলে পিছিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। পরের পর্বে যেতে হলে করতে হবে অন্তত আরও ৩ গোল। তাদের আশা দেখান করিম বেনজেমা। ম্যাচের ২৮ মিনিটের সময় রদ্রিগোর ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে ম্যাচে সমতা ফেরান এ ফ্রেঞ্চ তারকা ফরোয়ার্ড।
ম্যাচে সমতা ফিরলেও আধিপত্য বিস্তার করছিল ম্যান সিটিই। প্রথমার্ধের শেষের ঠিক আগে ও দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরপর দারুণ সুযোগ তৈরি করেন কেভিন ডি ব্রুইন ও রহিম স্টার্লিং। রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার দৃঢ়তায় মেলেনি সাফল্য। তবে রিয়ালের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখার কাজটি ঠিকঠিক করতে পারছিল তারা।
যার সুফলও পেয়ে যায় ৬৮ মিনিটের সময়। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন প্রথম গোলের যোগানদাতা গ্যাব্রিয়েল হেসুস। এবারও ভারানের ভুল। দুইবার সুযোগ পেয়েও বল কিয়ার করতে পারেননি এ ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার। সুযোগ পেয়ে বল দখলে নিয়েই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ হেসুস। বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের।
জুভেন্টাসের বিদায়
ক্রীড়া প্রতিবেদক
সমীকরণটা সহজই ছিলো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসের সামনে। ঘরের মাঠে ম্যাচ, ১-০ ব্যবধানে জিতলে হবে টাইব্রেকার, এর বেশি গোলে জিতলে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল। কিন্তু এক গোল হজম করলেই আবার দিতে হবে দুইটি বেশি। এই শেষের সমীকরণটাই মেলাতে পারেনি জুভেন্টাস, ফলে বেজে গেছে তাদের বিদায়ঘণ্টা।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচটি অলিম্পিক লিওর মাঠ থেকে ০-১ গোলে হেরে এসেছিল জুভেন্টাস। তবু দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ ঘরের মাঠে হওয়ায় আশা ছিল সামলে নেয়ার। তা নেয়াও গেছে, কিন্তু ঘরের মাঠে এক গোল হজম করে ফেলায়ই বাঁধল বিপত্তি। নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জেতা লিও জুভেন্টাসের মাঠে হেরেছে ১-২ গোলে। ফলে দুই লেগ মিলে হয় ২-২ ড্র। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে এক গোল করায় অ্যাওয়ে গোল নিয়মে শেষ আটের টিকিট পায় ফ্রেঞ্চ কাব লিও। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ম্যান সিটি। ম্যাচটি হবে ১৫ আগস্ট দিবাগত রাতে।
টাইগারদের দ্বিতীয় পর্বের অনুশীলন শুরু
ক্রীড়া প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট বন্ধ থাকার পর গত ১৯ জুলাই থেকে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক সপ্তাহ অনুশীলন করার পর ঈদের আগে শেষ হয় প্রথম পর্বের অনুশীলন।
ঈদের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হকসহ আরও ৮ জন নতুন ক্রিকেটারকে নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যক্তিগত অনুশীলনের দ্বিতীয় পর্ব। গতকাল শনিবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে সূচি অনুযায়ী প্রথম দিনে ১১ জন ক্রিকেটারের অনুশীলন করার কথা ছিল। তবে প্রথমদিনের অনুশীলনে ছিলেন না সাদমান ইসলাম, সাব্বির রহমান ও তাসকিন আহমেদ। পারিবারিক কারণে অনুশীলন আসেননি তাসকিন। এছাড়া বাকি ৮ ক্রিকেটারই আজ অনুশীলন করেন।
দিনের শুরুতেই অনুশীলন করেন মুশফিকুর রহিম। জিমে অনুশীলন, ইনডোরে ব্যাটিং আর মিরপুরের মূল মাঠে রানিং করেছেন মুশি। এরপর সূচি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন অনুশীলন করেছেন। অন্যদিকে বোলারদের মধ্যে শফিউল ইসলাম, মেহেদি হাসান রানা ও তাইজুল ইসলাম তাদের অনুশীলন করেছেন। তবে বোলারদের রানিংযের জন্য একাডেমি মাঠ নির্ধারিত করা থাকলেও মাঠ প্রস্তুত না থাকায় মিরপুরের মূল মাঠেই রানিং করেন।
মাশরাফির বাবা-মা করোনায় আক্রান্ত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
মাশরাফি বিন মুর্তজার পরিবারে আবারও করোনাভাইরাসের থাবা। মাশরাফি ও তার ভাই মোরসালিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন সুস্থ। তবে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মাশরাফির বাবা গোলাম মোর্তজা ও মা বলাকা মোর্তজা। তাদের সঙ্গে পরিবারের আরও দুজনের শরীরে পাওয়া গেছে প্রাণঘাতী ভাইরাসের অস্তিত্ব। মাশরাফির বাবা-মা আক্রান্ত হলেও মেয়ে হুমায়রা ও ছেলে সাহেল সুস্থ আছে। গত বৃহস্পতিবার করোনা পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ আসে মাশরাফির বাবা-মার।
জানা গেছে, মাশরাফির মামি কামরুন নাহার কুহু ও ছোট ভাই মোরসালিনের স্ত্রী সুমাইয়া তুহা করোনায় আক্রান্ত। আক্রান্ত চারজনই নড়াইলে নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানিয়েছেন বাবলু। গত ২০ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন মাশরাফি। আক্রান্তের ২৪ দিন পর কয়েক দফা পরীক্ষা শেষে করোনা নেগেটিভ হন তিনি। মাশরাফির পর করোনায় আক্রান্ত হন তার ছোট ভাই মোরসালিন ও স্ত্রী সুমনা হক। পরবর্তীতে সাবেক অধিনায়কের ছোট ভাই ও স্ত্রী করোনা পরীক্ষার ফলও নেগেটিভ এসেছে।
আরও দুইবার করোনা টেস্ট করতে হবে ফুটবলারদের
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ে যেন নাটক করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। শুক্রবার পর্যন্ত এমন শিরোনামে ছেয়ে গেছিল, দেশের সব গণমাধ্যম। ফুটবলারদের করোনা নিরূপণে ব্যর্থতা, ২৫ জনের মধ্যে ১৮ জনের করোনায় আক্রান্ত হওয়া। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়ার একদিন পরে আবার পজিটিভ বলে ঘোষণা দেওয়া।
সবমিলিয়ে একটা বিতর্কিত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল বাফুফে। আর তাও ফুটবলারদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে গতকাল শনিবার এক সভার আয়োজন করে বাফুফে। যেখানে বাফুফের প্রধান কাজী সালাহউদ্দীন না থাকলেও ছিলেন বাকি সবাই। আর সে সভা শেষে ফুটবলারদের নতুন করে করোনা টেস্ট করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১০ আগস্ট রাজধানীর দুটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় ফুটবল দলের সকল সদস্যদের একইদিন দুইবার করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও করোনাভাইরাস পরীক্ষা শেষে প্রত্যেক খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে আইসোলেশনে রাখা হবে বলে জানিয়েছে বাফুফে। এর আগে করোনা টেস্টে রিপোর্টের এই জটিলতার জন্য মেডিকেল সেন্টারের যান্ত্রিক ত্রুটিকে দায়ী করেছে বাফুফে।
রেকর্ড ভাঙলেন রোনালদো
ক্রীড়া প্রতিবেদক
রিয়াল মাদ্রিদ থেকে জুভেন্টাসে যোগ দেয়ার পর থেকেই একের পর এক কাব রেকর্ড ভেঙে চলেছেন পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সবশেষ শুক্রবার তার ঝুলিতে যোগ হলো ৮০ বছরের পুরনো এক রেকর্ড।
চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত ৩৭ গোল করেছেন রোনালদো। যা কি না জুভেন্টাসের হয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। অলিম্পিক লিওর বিপক্ষে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের জোড়া গোল করার মাধ্যমে এ রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার। তার এ রেকর্ডের ফলে দুইয়ে নেমে গেছে ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে জুভেন্টাস লিজেন্ড ফেলিস বোরেলের করা ৩৬ গোলের রেকর্ড। সে মৌসুমে সিরি আ এবং মিত্রোপা কাপ মিলে এই ৩৬ গোল করেছিলেন বোরেল। দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়ে ১৯৩৪ সালে ইতালির প্রথম বিশ্বকাপজয়ী দলেও জায়গা পেয়েছিলেন বোরেল।
তার রেকর্ড ভাঙার পাশাপাশি আরেকটি কীর্তিতেও নাম লেখিয়েছেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। অলিম্পিক লিওর বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়েও গোল করেছিলেন সিআরসেভেন।
জুভেন্টাস কোচ সারি বরখাস্ত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে যাওয়ার একদিনের মাথায় চাকরি হারালেন জুভেন্টাসের হেড কোচ মাওরিসিও সারি। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি। গত বছরের জুনে তিন বছরের চুক্তিতে জুভেন্টাসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সারি। তার অধীনে গত মাসে টানা নবম সিরিআ শিরোপাও জেতে জুভরা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন লিগের এক ব্যর্থতাই সাবেক চেলসি ও নাপোলি কোচের সব শেষ করে দিল।
সমীকরণটা মোটামুটি সহজই ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসের সামনে। ঘরের মাঠে ম্যাচ, ১-০ ব্যবধানে জিতলে হবে টাইব্রেকার, এর বেশি গোলে জিতলে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল। কিন্তু এক গোল হজম করলেই আবার দিতে হবে দুইটি বেশি। এই শেষের সমীকরণটাই মেলাতে পারেনি জুভেন্টাস, ফলে হয়ে গেছে বিদায়। আর বড় আশা নিয়ে মাঠে নামা জুভেন্টাস ছিটকে পড়ে শেষ ষোলো থেকেই। এমন ব্যর্থতার পর দায়টা সবার আগে পড়ল হেড কোচ সারির কাঁধেই। ফলে একদিনের মাথায় হলেন বরখাস্ত।
স্থগিত হলো জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
এই আগস্টে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু দেশের করোনা মহামারি পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার প্রেক্ষিতে সিরিজ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট।
করোনাকালে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে ক্রিকেট। এরইমধ্যে ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেট ফিরেছে। বেশ কয়েকটি দেশ ক্রিকেট ফেরানোর পথেই আছে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটও সেই পথেই যেতে চেয়েছিল। এমনকি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সিরিজ আয়োজনের জন্য জিম্বাবুয়ে সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু জিম্বাবুয়ের ক্রীড়া ও বিনোদন কমিশন সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। সিরিজ বাতিল হয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা। কারণ তীব্র অর্থ সংকটে থাকা বোর্ডের জন্য এই সিরিজ হতে পারত অনেক বড় স্বস্তির কারণ। এমনিতেই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ঘাড়ে অনেক বড় ঋণের বোঝা চেপে আছে। বোঝা কমাতে এরইমধ্যে খরচের খাতায় লাগাম টেনেছে বোর্ড। আফগানিস্তান সিরিজ মাঠে গড়ালে আর্থিক ধাক্কা কিছুটা সামাল দেওয়া যেত। কিন্তু এবার সেটাও হাতছাড়া হলো।
রাসেল-নারিনদের শুরু থেকেই পাচ্ছে কেকেআর
ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষ হচ্ছে ১০ সেপ্টেম্বর। তাই অনেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স ভক্ত উদ্বেগে ছিলেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনদের নিয়ে। প্রথম ম্যাচ থেকে নাইট তারকাদের পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। নাইট সূত্র থেকে জানা গেল ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে যাচ্ছেন রাসেল, নারিনদের ও নাইট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে দেখা যেতে পারে নাইটদের ক্যারিবিয়ান তারকাদের।
নাইট শিবিরের বিদেশি ক্রিকেটারেরা কেউ ভারতে আসছেন না। নিজেদের দেশ থেকেই উড়ে যাচ্ছেন আমিরাতে। অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স, ইংল্যান্ডের টম ব্যান্টন সে দেশে পৌঁছে যাবেন ২৫ আগস্টের মধ্যে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে নাইট শিবিরে যোগ দিতে পারেন ইয়ান মরগ্যান।
শুক্রবারই ২৪ জন ক্রিকেটারের তালিকা ঠিক করে ফেলেছে নাইট শিবির। তাদের নিয়েই আবু ধাবির হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা হবে। তবে দেশ থেকে উড়ে যাওয়ার আগে এক বার করোনা পরীক্ষা হবে প্রত্যেকের। শোনা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, কবে প্রত্যেকে তাদের করোনা পরীক্ষা দেবেন। বিদেশি ক্রিকেটারেরা নিজেদের দেশ থেকেই পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আসতে পারেন।