তালায় এম এন ভাটার দুষনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী

2

 খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা

তালার কুমিরায় এম এন ভাটার পরিবেশ দুষনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকাবাসী, প্রতিকার চেয়ে সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ । বছরে ১১ মাস ধুলাবালির সাথে বসবাস করতে হয় ৩৯ পরিবার ৩০০ জন মানুষের।

সরেজমিনে দেখাযায়, তালা উপজেলার ৪ নং কুমিরা ইউপি ৫ নং ওয়ার্ডের ৩৯ পরিবারের ৩০০ জন মানুষের বসবাস। এখানে এম এন ভাটার শব্দ ও পরিবেশ দুষনে বছরে ১১ মাসই মাটি বহনকারী ট্রাকটার ও বাতাসে মিশে থাকা  ধুলাবালি প্রভাবে এলাকায় শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগের সংক্রমন বেড়েই চলেছে। সরকারি নিতিমালা অনুযায়ী স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির সহ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনবসতির ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটের ভাটা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

কিন্তু সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে নির্বিঘ্নে পরিবেশ দুষন করে চালাচ্ছে এমএন ভাটা। ইতিমধ্যে কুমিরা ইউপির  সচেতন মহল ২টা ওয়ার্ডবাসী একত্রে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে গনস্বাক্ষর পূর্বক এমএন ভাটা অপসরনের দাবীতে অভিযোগ দ্বায়ের করেছে। সংবাদ প্রতিবেদককে  এলাকার একাধিক মানুষ অভিযোগ করে বলেন, কুমিরা গ্রামের শাহাজাহান আলী বলেন, ভাটার দুষনে মরুভূমিতে পরিনতি হয়েছে এলাকা। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। আমরা এর দ্রুত প্রতিকার দাবী জানাচ্ছি।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দে বলেন, দিঘ্যদিন যাবৎ নুর ভাটা ছিল সেটা সরকারি ভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় এখন সুপরিকল্পিতভাবে সেটাকে আবার এমএন ভাটা নাম দিয়ে খায়রুল ইসলাম মনু চালাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে এর প্রতিকারের দাবী জানিয়েছি। অশোক বিশ্বাস বলেন, আমার বাড়ি থেকে ২০ মিটার দুরে ভাটা হওয়ায় ধুলা বালিতে বসবাসে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই।

সুভা রানী বলেন, ভাটা বাড়ির পাশে হওয়ায় আমাদের পরিবারের সকলেই এখন শ্বাসকষ্টে ভুকছি। সরকারের কাছে এর প্রতিকার দাবী জানাচ্ছি।  

এমএন ভাটার মালিক খায়রুল ইসলাম মনু বলেন, আপনারা এসেছেন দেখে যান এখানে কোন পরিবেশ দুষন হয় না। 

কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, এম এন ভাটায় আমি গিয়েছি দেখেছি এবং ভাটার মালিককে বলেছি। কিন্তু সে কিছু বুঝতে চায় না। এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর করা দরখাস্তে আমি সুপারিশ করেছি।

তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগটি তদন্তের জন্য এসিল্যান্ট কে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখছে তদন্তের পরে আমরা সিধান্ত নিবো যে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পরবর্তীতে এটা খুব দ্রুত জেলা ম্যাজিস্টেট এর বরাবর প্রেরণ করবো।