দু’মাসেও কোন সহায়তা মেলেনি: শরনখোলায় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ট্রলার মালিকরা সমুদ্রে যেতে পারছে না

18
Spread the love

শরনখোলা প্রতিনিধিঃ


ইলিশ আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকুলীয় এলাকার শত শত ট্রলার এখন সমুদ্রে। মৎস্য আহরণে সমুদ্র যাত্রা কে ঘিরে শরণখোলা সহ উপকুলীয় এলাকায় চলছে উৎসব মুখর পরিবেশ। কিন্তু শরণখোলা উপজেলার রুশো ঘরামীর এফ.ফি সুমন নামের ট্রলারটি রায়েন্দা বাজারের বলেশ্বর নদীর তীরে পড়ে আছে। গত ঘূর্নিঝড় আম্ফানে প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে তার ট্রলারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ ট্রলারটি নিয়ে পথে বসছে রুশো ঘরামী ও তার পরিবার। একই অবস্থা রায়েন্দা বাজারের ট্রলার মালিক শহিদুল ফকির, কামাল খান, ইউনুচ ফকির সহ আরও অনেকের। ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফান বলেশ্বর নদীর প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন মৎস্য আহরনের ট্রলার গুলো ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রায় দু’মাস অতিবাহিত হলেও আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ এসব ট্রলার মালিকরা কোন সহায়তা পায়নি। তাই তারা তাদের ট্রলার গুলো মেরামত ও সমুদ্রে যাওয়ার উপযোগী করতে পারেনি।

অপর ট্রলার মালিক রায়েন্দা বাজারের শহিদুল ফকির জানান, এমনিতেই মহাজনদের কাছে দায়গ্রস্থ হয়ে আছি এর পরে আম্ফানে ট্রলার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় টাকার অভাবে তা সংস্কার করতে পারিনি তাই আমার মতো ক্ষতিগ্রস্থ ট্রলার মালিকদের এবারের মৎস্য আহরণ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জিলবুনিয়া গ্রামের ট্রলার মালিক কালাম খান বলেন, দু’মাস অপেক্ষা করেছি এখন ধার দেনা করে ট্রলার মেরামতের চেষ্টা করছি। মাছ ধরতে না পারলে আমাদের জীবন চলে না।

ট্রলার মালিক রুশো ঘরামী বলেন, ঘূর্নিঝড় আম্ফানের পরে উপজেলা মৎস্য দপ্তরে আবেদন করেছি। আশা ছিল হয়তো সরকারী বেসরকারী কোন সহায়তা পাবো। কিন্তু দু’মাস অতিবাহিত হলেও আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ট্রলার মালিকরা কোন সহায়তা পায়নি। তাই আম্ফানে ভেঙ্গে চাওয়া ট্রলার মেরামত করা সম্ভব হয়নি। নিষেধাজ্ঞা শেষে শত শত ট্রলার সাগরে গেলেও আমরা যেতে পারছি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ট্রলার মালিকদের তালিকা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ট্রলার মালিকদের তালিকা আমাদের হাতে আছে। সরকারের সহায়তা পেলে তাদের পুর্নবাসনের উদ্যেগ নেয়া হবে।