কাছে ভেড়েননি স্বজনরা, হিন্দুর মরদেহ সৎকারে মুসলিম আট যুবক

6
Spread the love

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

যশোরের মণিরামপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ ঘোষাল (৭০) নামে এক পান ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৫ জুলাই) বেলা এগারোটার দিকে উপজেলার খানপুর ইউপির ঘুঘুদাহ গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
করোনায় মৃত্যু হয়েছে ভেবে ভয়ে লাশের পাশে ভেড়েননি স্বজনদের কেউ। ফলে বিকাল পর্যন্ত বারান্দায় লাশ পড়ে ছিল। অবশেষে খবর পেয়ে দেবেন্দ্রনাথ ঘোষালের সৎকারে এগিয়ে আসেন তাকওয়া ফাউন্ডেশনের একদল যুবক।
তারা নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে মৃতদেহ সাতগাতী শশ্মানের চিতা পর্যন্ত পৌঁছে দেন। পরে তার সৎকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।


গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক কাঞ্চন ঘোষাল বলেন, একসপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বরে ভুগছিলেন আমার কাকা। আজ (শনিবার) সকালে অবস্থা অবনতির দিকে যায়। অবশেষে বেলা ১১ টার দিকে মারা যান তিনি। করোনার আতঙ্কে লাশের পাশে কেউ যায়নি। পরে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর টিমের সহায়তা চাওয়া হলে তারা সহযোগিতার হাত বাড়ান।


তাকওয়া ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর টিমের সমন্বয়ক নাসিম খান বলেন, সকালে মারা গেলেও আমরা খবর পাই বিকেলে। যেয়ে দেখি লাশ বারান্দায় পড়ে আছে। আশপাশে কেউ নেই। তখন আমরা টিমের আশরাফ ইয়াছিন,আজাদ মৃধা, কাজী সবুজ, বিএম আতাউল্লাহ, ইউসুফ আলী, মাহমুদুল হাসান ও তাহমিদ খান মিলে ভ্যানযোগে লাশ সাতগাতী শ্মশানে নিয়ে যাই। সেখানে সনাতন ধর্মীয় রীতি মেনে মরদেহের গোসল দেওয়া হয়। ততক্ষণে চিতা সাজানোর কাজ শেষ হয়। পরে আমরা লাশ চিতার উপর তুলে দিয়ে সৎকারে সহায়তা করি।