হত্যাকারী ও যাদের অবহেলা এবং সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পুলিশ কমিশনার

0

মশিয়ালীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা) প্রতিনিধি

খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামের জাকারিয়া-জাফরিন ও মিল্টন বাহিনীর গুলিতে ৩ জন নিহত,৮/৯জন গুলিবিদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হামলাকারীদের একজন নিহতের ঘটনায় কেএমপি কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির(পিপিএম) ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ঘটনায় নিহতদের বাড়ীতে গিয়ে স্বজনদের সাথে কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন, পরে তিনি গ্রামবাসীর সাথে কথা বলেন। অপরদিকে ঘটনায় গঠিত অনুসন্ধানী তদন্ত কমিটি দ্বিতীয় দিনের মতো প্রত্যক্ষদর্শীসহ গ্রামবাসীর সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন।

২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় খুলনা মেট্রোপলিটন(কেএমপি) পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির মশিয়ালীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং নিহত স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে ঘাতক মিল্টনের বাড়ীর সামনে উপস্থিত গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এই হত্যাযজ্ঞ আমাকে সাংঘাতিকভাবে কষ্ট দিয়েছে। ঘটনায় আমি মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি আমি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি দৃড়তার সাথে বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে যেই জড়িত থাক, এখানে আমাদের কোন অন্যায় অবহেলা কিংবা যাদের অপরাধির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবো।

তিনি আরো বলেন আমি এখানে থাকতে ঘটনার সাথে জড়িত একজন অপরাধিও ছাড় পাবেনা এটা আপনাদের কাছে আমার অঙ্গিকার। এ সময় স্বজন হারাদের পক্ষে পারুল বেগম, সাবিনা ও শরিফা তাদের অনুভুতি ব্যক্ত করেন। এ সময় ঘটনায় অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশিনার(অপরাধ) এস এম ফজলুর রহমান, কমিটির সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. আনোয়ার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শিপ্রা রাণী দাস, দৌলতপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বায়জিত ইবনে আকবর, খানজাহান আলী থানার ওসি তদন্ত মোঃ কবির হোসেন এছাড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও খানজাহান আলী থানা যুবলীগের আহবায়ক মো. সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আ. হামিদ সরদার, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কিসমত আলী, ওয়ার্ড মেম্বর বখতিয়ারসহ গ্রামের শতশত মানুষ উপস্থিত ছিল।

অপরদিকে ঘ্টনার অনুসন্ধানী তদন্ত কমিটির কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে প্রত্যক্ষদর্শী এবং গ্রামবাসীর ১৬ জুলাই ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক হত্যাকান্ডসহ হত্যাকান্ডের ঘটনার নেপত্থের ঘটনা বর্ণনা দেন।

উল্লেখ্য খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামে জাকারিয়া-জাফরিন ও মিল্টন বাহিনীর হামলার গুলিতে ৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় খানজাহান আলী থানায় মামলা হয়েছে(মামলা নং-১২, তাং ১৮/৭/২০)। নিহত সাইফুলের পিতা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত সহ-প্রচার সম্পাদক শেখ জাকারিয়া হোসেন জাকার, তার ভাই মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন, অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিল্টনসহ ২২জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫/১৬জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করে । মামলায় গ্রেফতার ৪ আসামী রিমান্ডে রয়েছে।