দৌলতপুরে জামাল হত্যা মামলার আরো এক আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি

0

 

স্টাফ রিপোর্টার

নগরীর দৌলতপুরে ম্যাচ নিয়ে মাদক সেবনকারীদের মারামারিতে জামাল ওরফে টুটে জামাল (৩৫) হত্যা মামলার আরো এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

গতকাল বুধবার তার দেয়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুস সামাদ পিএইচডি রেকর্ড করেছেন। স্বীকারোক্তি দেয়া আসামি হলেন দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া বৌ-বাজার এলাকার মো. লাল মিয়ার ছেলে মো. আমির হোসেন (৩৮)। এনিয়ে মামলার ৪আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করল। এর আগে গত ১৮জুলাই মহেশ্বরপাশা সাহেব পাড়ার মো. হোসেনের ছেলে মো. হিরু(২৪) ও  মানিকতলা সিএসডি গোডাউনের সামনের বাসিন্দা মৃত. সুলতান ফকিরের ছেলে মো. বিপ্লব ফকির (২২) এবং ২১জুলাই মানিকতলা পশ্চিম সেনপাড়ার  আব্দুল হাই সিয়ালীর ছেলে মো. মাসুম সিয়ালী ওরফে কালা মাসুম (২১) আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি  প্রদান করেন।

কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) কানাই লাল সরকার জানান,

হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত কুমার বাগচী আসামীদের  দেয়া জবানবন্দী পর্যালোচনা করে জানতে পারে মামলার ঘটনার সহিত মাসুম ও মোহন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বিধায় ২০জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে মানিকতলা এলাকা হতে মো. মাসুম শিয়ালীকে গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে ২১জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর জেলায় অভয়নগর থানাধীন নূরবাগ এলাকা থেকে মো. আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা ও মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৪জুলাই  রাত ২টার দিকে বিড়ি খাওয়ার জন্য ম্যাচ নিয়ে কয়েকজন মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারপিঠের ঘটনা ঘটে। এতে জামাল মারা যান। পরে বুধবার ভোর ৪টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে মৃত. অবস্থায় আনা হয়। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয় যার নং-১২। নিহত জামাল ওই এলাকার শামসুর ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকের হেলপার ছিলেন। একইসঙ্গে গোডাউনে শ্রমিকের কাজও করতেন।