খুলনায় ডেডিকেটেট করোনা হাসপাতাল ও আর একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে হবে: জনউদ্যোগ

34
Spread the love

খবর বিজ্ঞপ্তি

করোনা মহামারির মধ্যে দেশের স্বাস্থ্য খাতে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কারা জড়িত, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে না, বরং একে অপরকে দোষারোপ করে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর দায় এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের। করোনার সময়ে সেটি বেশি করে ধরা পড়ছে। সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে হাসপাতাল ও কিনিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের ফলে কিছুদিন আলোচনা হয়, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। স্বাস্থ্য খাতকে জনবান্ধব করতে হলে জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ,খুলনার মানববন্ধনে নাগরিক নেতৃবৃন্দ।

বুধবার বেলা ১১ টায় জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে নগরীর শহীদ ডা: মিলন চত্বরে খুলনায় জনগণের চাহিদা অনুসারে করোনা ভাইরাসের অপর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ, শনাক্ত ও পরবর্তীতে এর রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তার কারণে জনগণের ভোগান্তির অবসান কল্পে আর একটি পিসিআর ল্যাব এবং পর্যাপ্ত্ অক্সিজেন সরবরাহসহ আর একটি ডেডিকেটেট করোনা হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনের অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্বে করেন বিএমএ’র সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষকনেতাও কৃষি ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম মহসীন, খুলনা উন্নয়ন ফোরারমের চেয়ারম্যান শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন,  বাংলাদেশ মানবাধিকার সংসবথ্র সমন্বয়কারী এ্যাড,মোমিনুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির  মহানগর কমিটির সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম,সিপিবি’রজেলা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান বাবু, বাসদের সমন্বয়কারি জনার্দন নান্টু, গণ সংহতি আন্দোলনের আহবায়ক মনির হোসেন চৌধুরী, নিরাপদ সড়ক চাইএর সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সম্মিলিত বিরোধী জোটেরএম এ কাশেম, আগুয়ান ৭১ এর সভাপতিমো: আব্দুল্লাহচৌধুরী,জাতীয় পার্টির শাহ লায়েকউল্লাহ,ক্ষুধা মুক্ত আন্দোলন এর আহসান হাবিব,সোনালী প্রতিবন্ধী সংস্থা ইসরাত আরা হীরা,সম্মিলিত রাইটারস ফোরামের নূরুন নাহান হীরাখোন্দকার হুমায়ুন কবির, নান্দিক একাডেমীর জেসমিন জামান,মাসাসের কৃষ্ণা দাস রূপসার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডল,নজরুল গবেষক সৈয়দ আলী হাকিম, আব্দুল হালিম, সঞ্জয় কুমার মল্লিক,মো:রেজাউল করিম,জান্নাতুল আক্তার দোলন , আজিজুর রহমান,কাকলী আক্তার, সুরাইযা আক্তার আবিদ শান্ত, মুশফিক আজাদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নগরীতে করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট নিয়ে জনগণকে পরতে হচ্ছে বিপাকে। সময়মত রিপোর্ট পাচ্ছে না, কারোর রিপোর্ট আবার তারা জানতেও পারছে না। এভাবে ঝুঁকির মধ্যে কাটছে নগরবাসী । এ থেকে পরিত্রাণ চায়। করোনা হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ঠিকমত না হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। হাসপাতালে আসন সংখ্যা সিমীত হওয়ায় সংকট বাড়ছে। লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য কিনিক নগরীতে চলছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যে যন্ত্রপাতি তাও অধিকাংশ জায়গায় মেয়াদ উর্ত্তীণ যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে । বক্তারা স্বাস্থ্যখাতে এ অনিয়ম দূর করতে কঠোর আইন প্রনোয়নের দাবী জানান।