ফল না ফলের রস-কোনটি খাবেন

3
Spread the love

মিলি রহমান

ফল বেশি পুষ্টিকর না ফলের রস- এ নিয়ে নানা তর্ক রয়েছে। ব্যায়ামের পর , খেলার সময় কিংবা  খুব বেশি ব্যস্ততা থাকলে অনেকে ফলের রস খেয়ে নেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে,স্বাস্থ্যগুণ বজায় রাখতে রস নয়, অবশ্যই গোটা ফল খাওয়া উচিত। কোনো কোনো ফল খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এমন অনেক ফল আছে যেগুলোর খোসায় গোটা ফলের চেয়ে পুষ্টিগুণ বেশি। খোসা ছাড়িয়ে রস করে খেলে পুষ্টিগুণ কমে যায় অনেকটাই। জেনে নেওয়া যাক ফল আর ফলের রসে কী ধরনের পুষ্টিগুণের পার্থক্য থাকে।

ফলের খোসা : আপেল, আঙুর, পেয়ারা, শশা, স্ট্রবেরি জাতীয় ফলগুলো খোসাসহই খাওয়া যায়। ফলের খোসা সরাসরি সূর্যের আলো পায়।  এ কারণে এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আঙুরের খোসা ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। ফলের রস বের করার সময় বেশির ভাগ সময়ই খোসা ফেলে দেওয়া হয়। এ কারণে শরীর খোসার পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হয়।

ফলের শাঁস  : ফলের শাঁসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফাইবার পাওয়া যায়। কমলার শাঁসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাভোনয়েডস রয়েছে। সেই সঙ্গে ভিটামিন সিও থাকে। এই দুটিই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কমলার রস করার সময় উপকারী ফাভোনয়েডস বেরিয়ে যায়। ফাইবার :  রস বের করে নিলে ফাইবার নষ্ট হয়ে যায়। যেমন- আপেলের মধ্যে ৩ দশমিক ৭৫ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। আট আউন্স আপেলের রস তৈরি করতে লাগে তিন থেকে চারটে আপেল। সেই হিসেবে আপেলের রসে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকার কথা। অথচ অ্যাপল জুসে ফাইবার প্রায় থাকে না বললেই চলে।

ক্যালরি : ফলের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফল খেলে অতটা বাড়ে না। পরীক্ষায় দেখা গেছে ,পরিমাণ মতো আপেল খেলে শরীর ১২০ ক্যালরি শক্তি পায়, সেই পরিমাণ আপেলে ২৪ গ্রাম চিনি থাকে। অন্যদিকে, যে পরিমাণ অ্যাপল জুস থেকে শরীর ১২০ ক্যালরি শক্তি পায়, সে পরিমাণ জুসে চিনির পরিমাণ থাকে প্রায় ৩০ গ্রাম। বাজারেরে অধিকাংশ ফ্রুট জুসেই ফলের রসের পরিমাণ কম থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব জুসে কৃত্রিম সুইটেনার যোগ করা থাকে।