আটচল্লিশ ঘন্টায়ও মামলা হয়নি # হতাহতের ঘটনায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি:
খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামের তিন সহোদর জাকারিয়া-জাফরিন ও মিল্টন বাহিনীর গুলিতে তিনজন নিহত এবং ৭/৮জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত মূলহত্যাকারীদের একজন মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিনকে যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর গ্রাম থেকে ১৮ জুলাই শনিবার বিকাল ৫টায় খুলনা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছে খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ(কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির। জাফরিন আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সর্বস্থরের মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে তাকে সহ জাকারিয়া ও মিল্টনকে ক্রসফায়ারের দাবীতে মিছিল বের করে। গুলিবর্ষণে ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র এখন উদ্ধার করতে পারিনি পুলিশ। এদিকে ঘটনার আটচল্লিশ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি বলে জানাগেছে।
হামলার সময় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং গুলিতে হতাহতের ঘটনায় এলাকার জনজনপ্রতিনিধি আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড মেম্বর বখতিয়ার ঘটনাস্থলে না আসায় তাদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে তবে যে কোন পরিস্থিতির জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মশিয়ালী গ্রামে জাকারিয়া-জাফরিন এবং মিল্টন বাহিনীর হামলায় তিনজন নিহতের ঘটনায় আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা জড়িতদের আটকে তৎপর হয়ে উঠে। ১৮ জুলাই শনিবার বিকাল ৫টায় আটক হয় হত্যাকান্ডের মূল নায়ক মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন হাসানকে গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে তাকে আটক করে। এর আগে শুক্রবার আটক হয় জাফরিন শেখের সহযোগী জাহাঙ্গীর, তাকে পুলিশ যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া থেকে আটক করে। পরবর্তিতে জাকারিয়ার শশুর কোরবান আলী ও শ্যালক আরমানকে পুলিশ আটক করে।
এদিকে জাফরিন আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের সর্বস্থরের মানুষ তাকে সহ জাকারিয়া ও মিল্টনকে ক্রসফায়ারের দাবীতে রাস্তায় মিছিল বের করে। এ সময় গ্রামের আ. রহমান, আলমগীর, জোসনা বেগম, রেহেনাসহ সকলে বলেন নির্মম এই হত্যাকান্ডের ঘটনার আগেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়া এবং এলাকার চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম ও মেম্বর বখতিয়ার এলাকায় না আসা এবং তাদের কর্মকান্ড রহস্যজনক। তারা বলেন হত্যাকান্ডের পিছনে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি সহ বড় জায়গার হাত রয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত এবং এর নেপত্থে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত এবং হত্যাকান্ডের মূলহোতা জাকারিয়া, জাফরিন এবং মিল্টনের ক্রসফায়ার না দেওয়া পর্যন্ত গ্রাম বাসী ঘরে ফিরে যাবে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মুল হোতা জাফরিনকে নিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেয়েছে।