তৃণমূল ফুটবল নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালো বাফুফে

10

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আগেই জানিয়েছিল যে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) অধীনে গ্রাসরুট ফুটবল কার্যক্রমের অংশ নিতে ইচ্ছুক। তারই অংশ হিসেবে দেশের চারটি জেলার ভেন্যুকে নির্বাচন করে এই তুণমূল ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে।
গতকাল রবিবার বাফুফে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কার্যক্রমের বিস্তারিত জানিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ লিখিত এক বক্তব্যের মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়েছেন। ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক আমাদের টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের আওতায় আমরা তৃণমূল ফুটবলে চারটি ভেন্যুতে গ্রাসরুট অ্যাক্টিভিটিজ সম্পাদন করবো। যে ব্যাপারে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক ডিসিশন নেওয়া হয়েছে যে সেই চারটি ভেন্যু হচ্ছে নীলফামারী, মাদারীপুর, ফেনী ও ঢাকা। এই চারটি ভেন্যুতে, বেসিক্যালি প্রতি ভেন্যুতে ৬টি ব্যাচ বা ৬টি গ্রুপকে ফাইনালাইজ করা হবে। ‘সেখানে ব্যাচ গুলো হবে ছেলেদের জন্য ৪টি গ্রুপ এবং মেয়েদের জন্য ২টি গ্রুপ। প্রতি ভেন্যুতে টোটাল ৬টি ব্যাচ। ছেলেদের যে ৪টি ব্যাচ হবে সেখানে ৪টি এইজ ক্যাটাগরি থাকবে। সেই এইজ ক্যাটাগরিগুলো হবে ৮ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে এবং মেয়েদেরও ২টি মাত্র ব্যাচ থাকবে এবং তাদেরও বয়স হবে ৮-১৮ এর মধ্যে (৮-১৩ বছর বয়সী ১টি এবং ১৩-১৮ বছর বয়সী অপর ১টি ব্যাচ)। প্রতি ব্যাচে ছেলেদের সর্বোচ্চ ৫০ জন এবং মেয়েদের ৩০ জন করে খেলোয়াড় থাকবে।’ ‘এই ৬টি ব্যাচ সপ্তাহে ট্রেনিং করবে বাফুফে অ্যাপোয়েন্টেড কোচের অধীনে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩টি করে ব্যাচ ট্রেনিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ব্যাচকে সপ্তাহে এভরি অল্টারনেট ডেতে ট্রেনিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। এভাবে করে দেখা যাবে দুটো ব্যাচ শনি-সোম-বুধ, অপর দুটো ব্যাচকে রবি-মঙ্গল-বৃহস্পতি এভাবে করে ট্রেনিং প্রদান করা হবে। এ জন্য আমাদের যে শুক্রবার দিনটি বাকি রয়েছে, সেই শুক্রবার দিনটা দেখা যাবে আমাদের সমাজের সুবিধাবঞ্চিত যারা রয়েছে অথবা স্পেশালি যারা চ্যালেঞ্জড রয়েছে তাদের জন্য শুক্রবার দিনটা ডেডিকেটেড থাকবে।’
‘সেইদিন বাফুফের অ্যাপোয়েন্টেড কোচ নির্দিষ্ট ভেন্যুতে তাদেরকে নিয়ে কাজ করবেন যারা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত বা স্পেশালি চ্যালেঞ্জড যারা রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে। এ বিষয়গুলোতে কনফার্ম করার জন্য এই ৬টি ব্যাচে সর্বোচ্চ ২৬০ জন যে খেলোয়াড় রয়েছে তাদেরকে নিয়ে বাফুফে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বছরব্যাপী তৃণমূলের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাদেরকে বাফুফে অ্যাপোয়েন্টেড কোচ দিয়ে নির্দিষ্ট ভেন্যুতে তাদেরকে ট্রেনিং প্রদান করা হবে।’

সাউদাম্পটন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শুরুটা ভালো না হলেও শেষটা দুর্দান্ত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই কৃতিত্বেই সাউদাম্পটন টেস্ট জিতেছে ৪ উইকেটে। ম্যাচ জিততে শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন দাঁড়ায় মাত্র ২০০ রানের। কিন্তু সকালের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের।
২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। দলকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করে জয়ের পথ দেখান মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান জেরেমি ব্ল্যাকউড। ৯৫ রান করে দলের জয়ে সেরা ভূমিকাটা রাখেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৫ রানের জন্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি মিস করলেও তার দল যে ততক্ষণে পৌঁছে গেছে একেবারে জয়ের বন্দরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন জয় থেকে মাত্র ১১ রান দূরে। জয়ের সেই আনুষ্ঠানিকতা পুরো করেন জ্যাসন হোল্ডার ও জন ক্যাম্পবেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার ক্যাম্পবেল সকালের শুরুতেই পায়ে চোট নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। দলের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্ল্যাকউড আউট হলে ফের মাঠে নামেন ক্যাম্পবেল। ফিরেন জয় সঙ্গে নিয়ে। করোনাকালে মাঠে ফেরা টেস্ট ক্রিকেটকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় দিয়েই স্মরণীয় করে রাখল।
টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে হার দিয়ে শুরু হলো বেন স্টোকসের। মিডলঅর্ডারে রোস্টন চেজ এবং উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শেন ডারউইচ তাকে কিছুটা সহযোগিতা করেন। রোস্টন চেজের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্ল্যাকউড যোগ করেন ৭৩ রান। ৩৭ রান যোগ করে রোস্টন চেজ দিনের দ্বিতীয় সেশনের শেষভাগে ফিরে গেলে ব্ল্যাকউড আরো দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেন। ডারউইচের সঙ্গে ব্ল্যাকউড পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৬৮ রান। এই দুই উইকেটই শেষ দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ জয়ের আনন্দ বয়ে আনে। দিনের শেষ সেশনে ডারউইচ ৩৭ বলে ২০ রান করে স্টোকসের বলে ফিরে গেলে ব্ল্যাকউডের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডার। সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে ব্ল্যাকউড কিছুটা ধৈর্য্য হারিয়ে বসেন। স্টোকসকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ভুল বলটা বেছে নিলেন। কাভারে লাফিয়ে উঠে ক্যাচটি নেন জেমস অ্যান্ডারসন। ব্ল্যাকউডের সেঞ্চুরি থামাতে পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় আটকাতে পারেনি ইংল্যান্ড।
তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে গেল ১-০ তে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৬ জুলাই, ম্যানচেস্টারে।

তরফদারের প্রস্তাবে ফুটবল অঙ্গনে তোলপাড়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন আগামী মৌসুমেই ঘরোয়া ফুটবলকে বিদেশি খেলোয়াড়মুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিদেশি খেলোয়াড় না থাকলে দেশি খেলোয়াড়েরা গোল পাবে, জাতীয় দল ভালো করবে-এই তার যুক্তি।
সম্প্রতি এক অনলাইন টক শোতে তিনি বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর কাছে এমন প্রস্তাব রেখেছেন। তার এই প্রস্তাব নিয়ে ফুটবল অঙ্গনে তোলপাড়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক চলছে। অনেক সমালোচনা হচ্ছে। ফুটবল সংগঠকেরা তার কথার সঙ্গে একমত নন। উন্নত কোনও বিশ্বেই বিদেশি ফুটবলার ছাড়া লিগ হয় না। এছাড়া পাশের দেশ ভারতের আইএসএলে তো বিদেশি ফুটবলারের ছড়াছড়ি। তারপরেও তারা ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০০ এর আশপাশে থাকছে। তাই হঠাৎ করে তরফদার রুহুল আমিনের মুখে বিদেশি খেলোয়াড়মুক্ত লিগ আয়োজনের কথায় সবাই হতবাক।

সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারে টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের একের পর এক সিরিজ স্থগিত হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইগারদের ফিরতে আরও সময় নিতে হচ্ছে। সর্বশেষ এশিয়া কাপও স্থগিত হয়েছে। ফলে ক্রিকেটে ফেরাটা টাইগারদের জন্য আরও কঠিন হয়ে গেল। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
গতকাল রবিবার এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখন আসবে না। এই সফরের ব্যাপারে প্রাথমিক ভাবে দুই বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এটা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হতে পারে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সাথে আমাদের কথা হচ্ছে, তবে সেটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এদিকে টাইগাররা যদি শ্রীলঙ্কা সফরে যায়, তবে তার আগেই সেপ্টেম্বরেই হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির এক পরিচালক এইচপি দলের এই সফরে কথা আগেই জানিয়েছিলেন।

লড়াইয়ে থাকলো বার্সেলোনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসির পাসে ১৫ মিনিটে করা আর্তুরো ভিদালের দুর্দান্ত গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। রিয়াল ভায়াদোলিদের মাঠ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা।
শনিবারের এ ম্যাচ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। রিয়াল ভায়াদোলিদ শক্ত দল। অনাকাঙ্ক্ষিত করোনা-বিরতির পর আবার শুরু লিগে নিজেদের মাঠে তারা হারেনি। তারওপর অবনমন এড়ানো নিশ্চিত হওয়ায় তারা খেলছে ইউরোপীয় লিগের লক্ষ্য নিয়ে। তবে বার্সেলোনা শুরু থেকেই ছিল দারুণ। লুইস সুয়ারেজকে বিশ্রাম দিয়ে কোচ কিকে সেতিয়েন আক্রমণভাগ সাজান মেসি-গ্রিজমান-ভিদালকে নিয়ে। প্রচলিত ৪-৩-৩ পদ্ধতি পাল্টে শুরু করেন ৩-৫-২ পদ্ধতিতে। ফল পাওয়া যায় নগদ নগদ। সেমেদো-মেসির ওয়ান-টুর পর মেসি পাস দেন ভিদালকে। চিলিয়ান মিডফিল্ডার সংকীর্ণ জায়গা থেকে দূরের পোস্টে অসাধারণ শটে গোল করেন (১-০)। তবে চার মিনিট পর নেলসন সেমেদোর পাস থেকে আন্তোয়ান গ্রিজমান যেভাবে গোল নষ্ট করেছেন তা তার মতো ফরোয়ার্ডের নামের সঙ্গে যায় না। সেমেদো ও রিকি পুইজও গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিলেন। বার্সার আক্রমণে ভায়াদোলিদের রক্ষণ একটু হড়বড় করলেও ব্যবধান আর বাড়তে দেয়নি তারা। তবে বিরতির খানিক আগে কিকে পেরেজ বার্সেলোনা-বক্সে বল নিয়ে গিয়ে পড়ে না গেলে সমতায় ফিরতো ভায়াদোলিদ।

রোনালদোতে জুভেন্টাসের রক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
জুভেন্টাসকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল আতালান্তা। প্রতিপক্ষ দুইবার এগিয়ে গেলেও ভাগ্যের ছোঁয়ায় দুই পেনাল্টিতে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে জুভেন্টাস।
এই মৌসুমে সিরি আ’য় অন্য যে কোনও দলের চেয়ে বেশি ১৯ গোল করার দৃষ্টান্ত রেখেছে আতালান্তা। জুভেন্টাসের বিপক্ষে শুরু থেকেই তার ছাপ রাখার চেষ্টা করেছে তারা। আক্রমণের সুবাদে এর ফলটাও তারা পেয়ে যায় ১৬ মিনিটে। দারুণ দক্ষতায় প্রথম গোলটি করেন জাপাতা। মূলত আলেহান্দ্রো গোমেসের চতুর টার্নই গোলের সুযোগ তৈরি করে দেয় জাপাতাকে। এই অর্ধে আর কিছু করে দেখাতে পারেনি সারির দল। তবে বিরতির পর খেলায় ফিরতে মরিয়া জুভেন্টাস গোলের দেখা পেয়েছে স্পট কিকের সৌজন্যে! বিপজ্জনক অঞ্চলে হ্যান্ডবলের শিকার হন মার্টিন ডি রুন। ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি জুভেন্টাসের। ৮০ মিনিটে মিলিনোভস্কির লো ড্রাইভ আবারও এগিয়ে দেয় আতালান্তাকে। এর ফলে একটা সময় হারই দেখতে পাচ্ছিলো টেবিলের শীর্ষে থাকা জুভেন্টাস। কিন্তু ৯০ মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় আবারও পেনাল্টি পায় তারা। যার সুবাদে ২-২ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে সারির দল। এর ফলে মৌসুমে পর্তুগিজ যুবরাজের গোল দাঁড়িয়েছে ২৮।

ম্যানসিটির বড় জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঘরের বাইরে খেলতে গেলেই নিজেদের ছায়া হয়ে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি। সর্বশেষ তিন ম্যাচে ছিল একই দশা। হেরেছে তিনটি ম্যাচেই। তবে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওনের মাঠে খেলতে নেমে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলো তারা। ম্যানসিটি তাদের বিধ্বস্ত করেছে ৫-০ গোলে।
ম্যানসিটিকে ২১ মিনিটে এগিয়ে নিয়েছেন স্টার্লিং। জেসুসের পাওয়া হেড থেকে গোলটি করেছেন তিনি। বিরতির আগে স্কোর ২-০ করেন জেসুস। কর্নার থেকে পাওয়া বলে হেড করেছিলেন রদ্রি। সেখান থেকেই জালে বল জড়ান জেসুস।
দুই গোলে এগিয়ে থাকা সিটি আধিপত্য বিস্তার করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৩ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের ক্রসে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান স্টার্লিং। ৫৬ মিনিটে ৪-০ তরেন সিলভা। ৮১ মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়ায় হ্যাটট্রিক করেন স্টার্লিং। ভাগ্যের ছোঁয়া বলতেই হচ্ছে কারণ আক্রমণ শাণাতে গিয়ে বক্সে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। পড়ন্ত অবস্থায় বল তার মাথায় লেগেই জালে জড়ায়।
অপর দিকে ঘরের মাঠে লিভারপুলের শতভাগ জয়ের আশা অক্ষুন্ণ রাখতে দেয়নি বার্নলি। অ্যানফিল্ডে লিভারপুল ড্র করেছে ১-১ গোলে। শেফিল্ড ইউনাইটেডের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে যাওয়ার পথটা কঠিন করে ফেলেছে চেলসি। কারণ পরের ম্যাচগুলো যদি লিস্টার সিটি ও ম্যানইউ জিতে যায়, তাহলে তৃতীয় স্থানে থাকা চেলসির অবস্থান দাঁড়াবে পাঁচে।

চেলসির লজ্জাজনক হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে থাকার জন্য লড়াই করছে চেলসি, লেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টর ইউনাইটেড। কিন্তু তেমন এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডের মাঠে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করেছে ব্লুজরা। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের শিষ্যরা হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে।
চেলসির পরাজয়ে লাভ হয়েছে ইউনাইটেড ও লেস্টারের। পরের ম্যাচে জিতলেই ব্লুজদের পেছনে ঠেলে যেকোনো একদল ওঠে আসবে তিনে। সেই সুযোগ অবশ্য বেশি লেস্টারের। ৩৪ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে চারে আছে তারা। সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচে রেড ডেভিলরা। হারলেও অবশ্য ৩৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চেলসি। লেস্টার-ইউনাইটেড যদি পরের ম্যাচেই জিতে তবে পাঁচে নেমে যাবে ব্লুজরা। সেক্ষেত্রে লেস্টার ওঠে আসবে তিনে আর ওলে গানার সুলশারের দল দখল করবে চতুর্থ স্থান।

আগস্টে সিপিএল ব্রায়ান লারার দেশে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দিন কয়েক আগেই ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। করোনা সংক্রমণ না কমলেও প্রায় সব দেশই ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর কথা ভাবছে! তার পথ ধরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) শুরু হচ্ছে আসছে মাসেই। করোনার মধ্যে ১৮ আগস্ট থেকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে শুরু হবে সিপিএল।
যতই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ থাকুক কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার দেশে দেখা যাবে তারকার মেলা। থাকবেন রশিদ খান, ডোয়াইন ব্রাভো, অ্যালেক্স হেলস, কাইরন পোলার্ড, ক্রিস লিন, কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের মতো তারকারা। করোনার কারণে গত মার্চ থেকেই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আগস্টে সিপিএল দিয়েই উঠে যাচ্ছে এই নিষেধাজ্ঞা।

করোনা আক্রান্ত ভারতীয় ক্রিকেটার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ভারতের সাবেক এক ক্রিকেটার। ভারতের সাবেক ওপেনার চেতন চৌহানের শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে কি না তা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয় শুক্রবার। শনিবার রিপোর্ট এলো পজিটিভ।
ভারতের জার্সি গায়ে ৪০টি টেস্ট ও ৭টি ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই ওপেনার। ৭০ এর দশকে তিনি জনপ্রিয় হয়েছিল সুনিল গাভাস্কারের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে। ১৯৬৯-১৯৮১ পর্যন্ত ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন চেতন চৌহান। চৌহানের পরিবারের বাকি সদস্যদের শরীরেও করোনা পরীক্ষা করে হয়েছে। আপাতত তারা সেলফ কোয়ারেন্টাইনেই রয়েছেন। তবে করোনা আক্রান্ত চেতন চৌহান ভর্তি হয়েছেন লখনৌয়ের সঞ্জয় গান্ধী পিজিআই হাসপাতালে।

ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন গ্রিজম্যান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইনজুরির কারণে চলতি মৌসুমে লা লিগায় আঁতোয়া গ্রিজম্যানের আর নামা হচ্ছে না। তার ছিটকে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ।
এ মৌসুমে লিগে বার্সার আর দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। তবে ডান পায়ের মাংস পেশিতে চোট পাওয়ায় তিন সপ্তাহের জন্য ফরাসি এই স্ট্রাইকারকে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। শনিবার রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে বার্সার ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে চোট পান গ্রিজম্যান। তিনি দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেও তাকে দ্রুত লুইস সুয়ারেসের বদলি করা হয়। এদিকে গ্রিজম্যানকে লা লিগাতে না পেলেও আগামী আগস্টে চ্যাম্পিয়নস লিগে নাপোলির বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে বার্সা তার আশা করছে।

বিশ্বকাপ জিতলেই বিয়ে করবেন রশিদ খান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেরাদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অলরাউন্ডার রশিদ খান। আফগান রূপকথার মতো রশিদ খানের ছোট এই ক্যারিয়ারটাও রূপকথার চেয়ে কম নয়। সম্প্রতি নিজের বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে। সেখানে বলেছেন, আফগানিস্তান বিশ্বকাপ জিতলেই কেবল বিয়ের ইনিংস শুরু করবেন তিনি।
বিয়ে নিয়ে যে সংকল্পের কথা বলছেন, তাতে হয়তো মনে হতে পারে রশিদের বিয়েটা তাহলে দূরঅস্ত! কিন্তু রশিদ খানের সংকল্প এখন এটাই। আজাদি রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আফগানিস্তান যখন বিশ্বকাপ জিতবে, তখনই আমি বিয়ে করবো।’ তবে রশিদ খানের যে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য তাতে এমন সংকল্পকে মোটেও হেয় করে দেখা উচিত নয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অলরাউন্ডারের সিংহাসনটা এখন তারই দখলে। এখন পর্যন্ত ৭টি টেস্টের পাশাপাশি, ৬৭টি ওয়ানডে খেলেছেন। টি-টোয়েন্টিও খেলা হয়েছে ৪৮টি। সব মিলিয়ে দুশোর ওপর উইকেট নিয়েছেন।