তোপের মুখে ঠিকাদার: শরণখোলায় ভবন নির্মানে নিম্ন মানের উপকরন

43
Spread the love

শরনখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলায় দাতা সংস্থার অর্থায়নে একটি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণে নি¤œ মানের উপকরন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা ডিএসকের বিরুদ্ধে। নির্মান কাজে ব্যবহৃত ইট, বালু, রড ও সিমেন্ট সহ নানা উপকরনের গুনগত মান সঠিক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ১৪টি সরকারী স্কুল জরাজীর্ন হয়ে পড়লে তা পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে জার্মানী একটি দাতা সংস্থার অর্থায়নে ওই স্কুল গুলোর মধ্য থেকে চলতি বছরের ১১ মার্চ ঢাকাস্থ বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকের) শরণখোলা উপজেলা শাখার তদারকিতে ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার ৬১ নং বড় রাজাপুর নেছারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টারের) দুই তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্রাইটাস বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং ওই কাজ চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ দিকে কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সংস্থা ডিএসকের পাশাপাশি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ তদারকির দায়িত্ব থাকলেও প্রকল্প এলাকায় এদের কোন প্রতিনিধি না থাকার সুযোগে নির্মাণ কাজে পুকুর চুরি শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ওই ঠিকাদার। কাজে অনিয়মের বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে ১০জুলাই (শুক্রবার) নির্মান কাজ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহন করেন তারা। এ সময় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নাছির মুন্সী, স্কুলের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মোঃ নান্না মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা যুবলীগ নেতা শামীম মুন্সী ও বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুস খান সহ এলাকাবাসীর অনেকে বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার স্কুলের শিক্ষক কিংম্বা ম্যানেজিং কমিটি কাউকেই কোন কাগজ পত্র দেখান না । তাদের ইচ্ছা মতো খারাপ মালামাল (নি¤œ মানের উপকরন) দিয়ে দায়সারা ভাবে রাতা-রাতি কাজ শেষ করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ভবনটি নির্মান করলে তা বেশি দিন টিকবে না। লাখ-লাখ টাকা পানিতে যাবে এবং ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা এর সু-ফল বেশি দিন পাবে না। তাই সিডিউল অনুসারে ভবন নির্মানের দাবী জানান বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে প্রকল্পটি তদারকির দায়িত্বে থাকা ডিএসকের প্রকল্প ব্যাবস্থাপক মোঃ আব্দুস ছাত্তার বলেন, আমরা নির্মাণ কাজের দিকে সব সময় নজর রাখছি। ফলে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া ভবন নির্মান পরবর্তী ১০বছরের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার পুনঃরায় তা কোন টাকা পয়সা ছাড়াই ঠিক করে দিতে বাধ্য বলে ডিএসকের সাথে চুক্তি আছে। তবে, স্থানীয়রা না বুঝে অভিযোগ করেছেন। জানতে চাইলে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোঃ বশির আহম্মেদ বলেন, এই নির্মাণ কাজের মুল ঠিকাদার ডিএসকে তাই অনিয়মের বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নাই। অপরদিকে, এব্যাপারে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।