দুর্নীতি দমনে দরকার আরও কঠোরতা

4
Spread the love

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপকালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভগ্ন দশা দিন দিন প্রকটকারে বেরিয়ে পড়ছে। শুরু হয়েছিল স্বাস্থ্যব্যবস্থাপনার চরম অনিয়ম দিয়ে। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে এই রোগ চিকিৎসার আওতায় আনা যায়নি। প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার ডাক্তাররা চেম্বার বন্ধ করে বসে আছেন। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি পৃথিবীর আর কোনো দেশে আছে কিনা আমাদের জানা নেই।

সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেংকারি এখন মানুষের মুখে মুখে। সরকারের রাঘববোয়ালদের সঙ্গে সম্পর্কিত এইসব ব্যবসায়ী নামের ডনেরা বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রকে আজ লজ্জায় ডুবিয়ে দিয়েছে। দেশের উন্নয়নের যে চিত্র দেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছিল, তা এখন বিষাদে পরিণত। সংসদের এক অধিবেশনে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: কে কোন দলের সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় না। দুর্নীতিবাজদের ছাড়া হবে না। কিন্তু দুঃখজনক আমরা চোর ধরেই চোর হয়েছি। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেই ক্ষমতা কুক্ষিগত করবার জন্য এরা মানুষকে দুর্নীতি শিখিয়েছে, কালো টাকা শিখিয়েছে, ঋণখেলাপ শিখিয়েছে, তারা সমাজকে কলুষিত করে দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর দলমত নির্বিশেষে দুর্নীতিবাজদের ধরছে। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন: হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ, প্লাজমা ডোনেশন, সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ স্বাস্থ্যখাতে নানান অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছ এবং তা অব্যাহত থাকবে। ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, যারা জনগণের অসহায়ত্ব নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করছে, প্রতারণা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। আমরা মনে করি অতীতের ন্যায় এইসব কথা যেনো শুধু কথার কথা না হয়। আমরা চাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতিও কঠোরভাবে দমন করতে হবে। কেবল তখনই দেশ তার কাঙ্খিত উন্নয়নের সড়কে উঠতে পারবে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন রাজনৈতিক মাফিয়ার জন্য দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। সরকার প্রধান নিশ্চয় চাইবেন না তার এতদিনের ত্যাগ শ্রম কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ কেবল দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্যে পরিণত হোক। আমরা আশা করি সরকার কঠোর হাতে দুর্নীতি দমন করে দৃষ্টান্ত রাখবেন দেশের মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনবেন।