স্থগিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

8
Spread the love

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় বসার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ার পথে।
বিশ্বকাপের আয়োজক ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে। এমনটাই জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। আগামী ১০ জুলাই আইসিসির একটি বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে টেলিগ্রাফকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন, এ অবস্থাতে কোনোভাবেই বিশ্বকাপের মতো মহাযজ্ঞ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত নয় অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকি নিতেও রাজী নয় তারা।
এদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান আর্ল এডিংস বলেছেন,‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৬ দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজন করা অবাস্তব। এরকম মহামারিতে বিশাল আয়োজন করা উচিত নয়। আমাদের খেয়াল করা উচিত এখনও বেশির ভাগ দেশেই কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে গত ১০ জুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল আইসিসির। এর আগে ২৮ মেও আইসিসি বিশ্বকাপ নিয়ে সভা করেছিল। প্রত্যেকবারই তারা বিশ্বকাপ নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বারবার সময় পিছিয়েছে। এবার পাক্কা এক মাস পর বসতে যাচ্ছে আইসিসি সভা। গণমাধ্যমে আসার খবর অনুযায়ী এবার চূড়ান্ত নেবে আইসিসি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইচ্ছা ২০২১ সালেই বিশ্বকাপটি আয়োজন করার। কিন্তু আগামী বছর আগে থেকেই ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০২২ সালে হতে পারে এবারের বিশ্বকাপ।
১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার সূচি রয়েছে। প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে এ প্রতিযোগিতার মূল আসরে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ড। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি ও শ্রীলঙ্কা। দুই গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল যাবে পরের রাউন্ডে। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে শুরু হবে আসল লড়াই। র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আট দল সরাসরি নিশ্চিত করেছে দ্বিতীয় রাউন্ড।

‘হালি’ দিয়েই জয়ে ফিরল বার্সেলোনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এই সপ্তাহে সব দিক দিয়েই চেনা ছন্দে দেখা যায়নি বার্সেলোনাকে। ভিয়ারিয়ালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কাতালানরা। এই জয়ের ফলে শিরোপা লড়াইয়ে আপাতদৃষ্টিতে এখনও টিকে থাকলো মেসিরা।
মূলত শেষ দুটি ম্যাচে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদের হাতেই মোমেন্টাম তুলে দিয়েছে বার্সা। এই জয়ের পরও শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সার পয়েন্ট ব্যবধান থেকে যাচ্ছে চারে। ৩৪ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৭। আবার সমান ম্যাচে বার্সার সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। তাই বার্সার শিরোপা জয় এখন নির্ভর করছে রিয়ালের ওপরই!
পুরো সপ্তাহ জুড়ে নানা কারণে মাঠের বাইরের ইস্যুতে বার্সাকে নিয়ে আলোচনা চলছিল। মেসির বার্সা ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জন তো ছিলই। কোচ সেতিয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়েও রয়েছে নানা কথা। তার ওপর আন্তোয়ান গ্রিজমানকে মূল একাদশে না খেলানোয় তোপের মুখে পড়তে হয়েছে বার্সা কোচকে। এই ম্যাচে অবশ্য প্রথম একাদশেই জায়গা হয়েছে ফরাসি তারকার। আর জায়গা পেয়েই প্রমাণ করে ছাড়লেন বসে থাকার পাত্র তিনি নন। লুইস সুয়ারেজ, আনসু ফাতিদের সঙ্গে নাম তুলেছেন স্কোর শিটে। অবশ্য মেসির অবদানও কম নয় এই পরিপূর্ণ পারফরম্যান্সে। দুটি অ্যাসিস্টই ছিল তার। তবে সব মিলিয়ে সপ্তাহের সেরা পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছে বার্সা।
এই ম্যাচে গ্রিজমান যেমন ফিরেছেন, বেঞ্চে বসতে হয়েছে রিকি পুইজ। তার বদলে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে ছিলেন সের্জি রবের্তো। আর এই রবের্তোর কল্যাণেই আসে প্রথম গোল। দারুণ এক মুভে বল নিয়ে ছুটে বল দিয়ে দেন জর্ডি আলবাকে। তিনি গ্রিজমানের উদ্দেশে ক্রস করেছিলেন ঠিকই। তখন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার পাউ তোরেস পা বাড়ালে কপাল পোড়ে তাদেরই। আত্মঘাতী গোলের সুবাদে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তবে আত্মঘাতী গোলের পর বার্সাকে কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ করে দিয়েছিল তারা। ১৩ মিনিটে মোরেনোর গোলে স্কোর লাইন হয়ে যায় ১-১।
বার্সেলোনা অবশ্য পাল্টা জবাব দেয় কিছুক্ষণ পর। ২০ মিনিটে মেসির বানিয়ে দেওয়া বল থেকে দলকে এগিয়ে নেন সুয়ারেজ। তৃতীয় গোলটি অবশ্য আরও সহজেই পেয়ে যেত তারা। আর্তুরো ভিদাল ঠিকমতো লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বল। অবশেষে বার্সা তৃতীয় গোলটি পায় বিরতির কিছু আগে। ৪৫ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত এক ব্যাক হিলে অসাধারণ এক চিপে জালে বল জড়ান গ্রিজমান।
এক ঘণ্টার মাথায় প্রথম দুটি পরিবর্তন আনেন সেতিয়েন। সুয়ারেজের বদলে নামে রাকিতিচ। আর সেমেদোর বদলে রিকি পুইজ। তাতে আধিপত্যে সেভাবে পরিবর্তন দেখা যায়নি। নতুন পরিবর্তনে এবার গ্রিজমানের বদলে নামেন আনসু ফাতি ও বুসকেৎজের বদলে ব্র্যাথওয়েট। ৮৬ মিনিটে আনসু ফাতির গোলেই স্কোর দাঁড়ায় ৪-১। তবে ৬৯ মিনিটে মেসি গোল করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির কারণে বাতিল হয়ে যায় তা। এছাড়া তার ফ্রি কিকসহ তিনটি শট সেভ করেছেন ভিয়ারিয়ালের গোলরক্ষক অ্যাসেঞ্জো।

করোনায় সাবেক ফুটবলার হানিফের ইন্তেকাল : বিভিন্ন সংস্থার শোক

খবর বিজ্ঞপ্তি

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুলনা জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সোনালী অতীত কাবের সদস্য সাবেক কৃতি ফুটবলার মো. হানিফ শেখ (৪৬) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…..রাজিউন)। গতকাল সোমবার সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কৃতি ফুটবলার হানিফের মত্যুতে রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন খুলনা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি, সোনালী অতীত কাব ও এসবিআলি ফুটবল একাডেমির নেতৃবৃন্দ।
খুলনা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন : অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গোলাম রহমান বাবু ও মুস্তাফিজুর রহমান বাবলু, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কোষাধ্য নুরুল ইসলাম খান কালু, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা, এ মনসুর আজাদ, মো.মোতালেব মিয়া, সুজন আহমেদ, মনিরুজ্জামান বাবু, মনিরুজ্জামান মনসীন, জামিল আখতার লেলিন ও শেখ হেমায়েত উল্লাহ।
খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি : সমিতির সভাপতি মো. আব্দুস ছালাম ঢালী, সহ-সভাপতি মোসাব্বির মোশের্দ চঞ্চল, কামরুজ্জামান সেলিম, তরিকুল ইসলাম বাবু, হাসান ইমাম রিক্ত, মো. বাবর আলি, লুৎফর রহমান নয়ন, মো. এজাজ আহমেদ ও প্রাণতোষ দাস, সাধারণ সম্পাদক মিনা মামুনুর রহমান মামুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরোজ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, আশিকুল ইসলাম জুয়েল, মো. খালিদ সাইফুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম রিপন ও লিটন পাল। সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আশরাফ হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মহাসিন ও মো. কামাল রেজা সুজা, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল হোসেন ও মো. আসাদুজ্জামান মুরাদসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ।

সোনালী অতীত কাব : কাবের সহ-সভাপতি এ মনসুর আজাদ, এস এম মনির ও শেখ হেমায়েত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আহমেদ রাজ, যুগ্ম-সম্পাদক এস এম সোহরাব হোসেন ও শাহ্ আসিফ হোসেন রিকু, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন আবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান ফয়েজ, প্রচার সম্পাদক এম এ জলিল, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. খায়বার হোসেন সমেরু, গোলাম দস্তগীর নিরা, তরিকুল ইসলাম সোহান, মিনা মামুনুর রহমান মামুন, মুন্না, বাবুল, মনির শেখ ও মো. জাহিদ হাসান ডানোসহ কাবের সকল সদস্যবৃন্দ।
এসবিআলি ফুটবল একাডেমি : একাডেমির উপদেষ্টা মো. ইউসুফ আলি, সভাপতি বাবুল হোসেন বাবলা, সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, কোচ শহিদুল হক শুভ্রসহ একাডেমির সকল সদস্যবৃন্দ।

১০০ ফুটবলারকে অনুদান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে জাতীয় দলের কিছু ফুটবলার ছাড়া বাকি সবারই কষ্টের জীবন কাটছে। তার পরও টনক নড়েনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আর্থিক দৈন্যদশায় থাকা ফুটবলারদের জন্য আলাদা কোনো পরিকল্পনা করেনি ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। উল্টো হাস্যকর ফান্ড নিয়ে ফুটবলারদের সহযোগিতা করতে নিয়ে এসেছে আরকিউব ফাউন্ডেশনকে।
রবিবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মোট ১০০জন বয়সভিত্তিক ফুটবলারদের (পুরুষ ৭০ ও নারী ৩০ জন) প্রত্যেককে মাত্র এক হাজার টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যা দিয়ে একজন ফুটবলারের পকেট খরচও হবে না। তার পরিবারকে সাহায্য করা তো দূরের কথা। এক হাজার টাকা অনুদানের সঙ্গে হ্যান্ড সেনিটাইজার ও গ্লাভস বিতরণ করেছে বাফুফে। করোনাকালীন ফিফার কাছ থেকে পেয়েছে কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা কোথায় খরচ হবে তার হিসাব কষতে গিয়েই সময় পার ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

দাফনকার্যে অ্যাম্বুলেন্স দিলেন সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বেশ কিছু জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে অন্যতম মাস্তুল ফাউন্ডেশন। যাদের রয়েছে নিজস্ব একটি স্কুল। এছাড়াও দেশের অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দিয়ে নিয়মিত সহায়তা করে আসছে তারা।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের ক্রান্তিকালেও এ ফাউন্ডেশনটি সরব ভূমিকা পালন করছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফনের কাজ করে যাচ্ছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। এ কাজের জন্য তারা নিজেদের অর্থ খরচ করে ভাড়ায় নেয়া অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। এটি জানতে পেরে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ফাউন্ডেশন। সাকিবের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মাস্তুল ফাউন্ডেশনকে দেয়া হয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। যা ব্যবহার করা হবে করোনায় মৃতদের দাফনের কাজে।

আইপিএলের আয়োজক হতে চায় নিউজিল্যান্ডও

ক্রীড়া প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে এখনও নিশ্চিত নয়, চলতি বছর আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব হবে কি না। ২৯ মার্চ শুরু করার কথা থাকলেও ভারতব্যাপি লকডাউনের কারণে বেশ কয়েকবার তারিখ পরিবর্তন করার পর এখন অনিশ্চিত টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই চাচ্ছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল আয়োজন করতে।
কিন্তু ভারতে এখনও করোনার যে পরিস্থিতি, তাতে আইপিএল আয়োজন কতটা নিরাপদ হবে, বিদেশি ক্রিকেটাররা আসতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে, আইপিএল আয়োজনের জন্য ভারতকে প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড এবং আরব আমিরাত। যদিও বিসিসিআই, এই দুই দেশের প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছে। এবার বিসিসিআই নিজেরাই জানালো, আইপিএল আয়োজন করার জন্য তাদেরকে প্রস্তাব দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। যত প্রস্তাব কিংবা যত আলোচনাই হোক, আইপিএল আয়োজন তখনই সম্ভব হবে, যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত করার ঘোষণা আসে।

হারল ম্যানসিটি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের ৩১ রাউন্ড শেষেই নিশ্চিত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা। প্রায় ৩০ বছর পর ঘরোয়া লিগের শিরোপা নিশ্চিত করেছে লিভারপুল, গুঁড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের স্বপ্ন।
তবে লিভারপুলের শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার ঠিক পরের ম্যাচেই তাদেরকে নাকানিচুবানি খাইয়ে ছেড়েছিল ম্যান সিটি। নিজেদের ঘরের মাঠের ম্যাচে জিতেছিল ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দেয়ার পরের ম্যাচেই ফের হোঁচট খেল সিটিজেনরা। তাও কি না টেবিলের ১৩ নম্বর দলের কাছে। রবিবার রাতে তুলনামূলক দুর্বল দল সাউদাম্পটনের কাছে ০-১ গোলে হেরে গিয়েছে ম্যান সিটি। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোল হজম করে তারা। সেটি আর শোধ করতে পারেননি গ্যাব্রিয়েল হেসুস, রিয়াদ মাহরেজরা। ফলে সঙ্গী হয় হতাশাজনক পরাজয়।

ঘরের মাঠে জয়ে ফিরেছে লিভারপুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা নিশ্চিতের পর ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল লিভারপুল। সর্বশেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হারের পর অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষেও একই নিয়তি বরণের মুখে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না তারা লিগ চ্যাম্পিয়ন। লিভারপুল জিতেছে ২-০ গোলে। এই হারের পর এটা নিশ্চিত অবনমন অঞ্চলেই থাকছে অ্যাস্টন ভিলা।
শিরোপা জেতার পর ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লিভারপুল। প্রথমার্ধে বল দখলেও এগিয়ে ছিল তারা। ৭২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখলেও লক্ষ্য বরাবর বল রাখতে পেরেছে একবারই। ঘণ্টা খানেক পর বদলি হয়ে মাঠে নামেন হেন্ডারসন, ভিনালদাম, ও ফিরমিনো। এই তিন বদলির ১০ মিনিট পরই ৭১ মিনিটে প্রথম গোলটি করেছেন সাদিও মানে। ৮৯ মিনিটে বদলি নামা কার্টিস জোন্স ব্যবধান ২-০ করেন। তবে এ গোলটি বানিয়ে দিতে ভূমিকা ছিল মোহামেড সালাহর। রবার্টসনের ক্রস থেকে পাওয়া বল হেড করে মাটিতে নামিয়ে জোন্সকে এগিয়ে দেন সালাহ। সেখান থেকে বাম পায়ের শটে গোলটি করেন জোন্স।

আরও ৩ পাকিস্তানি ক্রিকেটার করোনামুক্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

করোনা ভাইরাসে জর্জরিত পাকিস্তানের ঘোষিত দলের আরও ৩ ক্রিকেটার মুক্ত হলেন। এবার কোভিড-১৯ এ নেগেটিভ এসেছেন কাশিফ ভাট্টি, হায়দার আলী ও ইমরান খান। তারা দুই দফা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র পান।
এই তিনজন কাল বুধবার ইংল্যান্ডের ওরচেস্টারে পাকিস্তান মূল দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সফরে থাকবে দুই স্টাফ মালাং আলী ও মোহাম্মদ ইমরান। এর আগে ইংল্যান্ড সফরের জন্য পাকিস্তানের ঘোষিত ২৯ সদস্যের দলের ১০ জন করোনা পজিটিভ হন। এদের মধ্যে মোহাম্মদ হাফিজ, ওহাব রিয়াজ ও শাদাব খানসহ ৬জন করোনামুক্ত হয়ে দ্বিতীয় ধাপে মূল দলের সঙ্গে যোগ দেন। আর একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে হারিস রউফ এখনও ছাড়পত্র পাননি।

রোমাঞ্চকর ম্যাচে ইন্টার মিলানের হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা আগেই ফিকে হয়ে গেছে ইন্টার মিলানের। এবার সিরি’আ লিগের পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানটা ধরে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়েছে নেরাজ্জুরিদের জন্য। কারণ তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আতালান্তা।
আতালান্তাকে এই সুযোগ করে দিয়েছে বোলোনা। পিছিয়ে পড়ার পাশাপাশি দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দল নিয়ে ইন্টারকে তাদেরই মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দল হয়ে পড়েছিল আন্তনিও কন্তের দলও। কিন্তু তা উল্টো তাদের জন্য বিপদই হয়েছে। লওতারো মার্তিনেজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেও ম্যাচের ২২তম মিনিটে ইন্টারকে এগিয়ে দেন রোমেলু লুকাকু। ম্যাচের আধিপত্যটাও ছিল কন্তের শিষ্যদের হাতে। এদিকে বিরতির পর বোলোনাকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেন রবার্তো সোরিয়ানো। ৫৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই ইতালিয়ান মিডফিল্ডার।
কিন্তু ১০ জন নিয়ে উল্টো জ্বলে ওঠে বোলোনা। ৭৪তম মিনিটে তাদের সমতায় ফেরান মুসা জুয়ারা। গোল হজম করার তিন মিনিট পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইন্টারের আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। সেই সুযোগে ব্যবধানটা ২-১ করে নেয় বোলোনা। নিকোলাস ডমিঙ্গোজের পাস থেকে বাঁ-পায়ের শটে ইন্টারের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মুসা ব্যারো।

বার্সাকে অপেক্ষায় রাখলেন জাভি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চলতি মৌসুমে আরনেস্তো ভালভার্দেকে বরখাস্ত করে কিকে সেতিয়েনকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বার্সেলোনা। তার আগে জাভি হার্নান্দেজকে ক্যাম্প ন্যুয়ের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল কাতালানরা। কিন্তু সায় দেননি বার্সার সাবেক মিডফিল্ডার।
ভবিষ্যতে বার্সার প্রধান কোচ হওয়ার ইচ্ছের কথা জানালেও সেই পথে পা বাড়াননি না জাভি। লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি কাতারের কাব আল-সাদেই থেকে যান। এবার কাবটির সঙ্গে আরও এক বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করলেন ৪০ বছর বয়সী কোচ। ২০২১ পযর্ন্ত আল-সাদেই থাকবেন জাভি। বার্সা ছাড়ার পর ২০১৫ সালে খেলোয়াড় হিসেবে আল-সাদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে গত বছর কাবটির প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন জাভি।

মার্সেলোর ৩৫০

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লা লিগায় রবিবার রাতে রামোসের একমাত্র গোলে রিয়াল মাদ্রিদ হারিয়েছে অ্যাথলেটিক কাবকে। টানা সাত ম্যাচে সাত জয় নিয়ে লিগ শিরোপার লড়াইয়ে আরেকধাপ এগিয়ে গেছে রিয়াল। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা দলটিকে ম্যাচের শুরুতেই নিশ্চিত গোল হজমের থেকে বাঁচায় মার্সেলো। কোরডোবার ক্রস থেকে বল পেয়ে ফাঁকায় থাকা উইলিয়ামস শট নিয়েছিলেন। বলের উপর ঝাঁপিয়ে দলকে গোল হজমের থেকে বাঁচান মার্সেলো।
দল জেতায় ব্রাজিলিয়ান এ সুপারস্টার ছুঁয়েছেন এক মাইলফলক। লস ব্লাঙ্কোসের জার্সিতে ৩৫০ ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়েছেন মার্সেলো। এজন্য ম্যাচ শেষে তার হাতে স্মারক জার্সি তুলে দেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফোরেন্তিনো পেরেজ। জার্সিতে নম্বর ছিল ৩৫০। ২০০৭ সালে ফেরল্যান্ড মেন্ডির থেকে দলের লেফট ব্যাকের দায়িত্ব বুঝে নেন মার্সেলো। এরপর টানা ১৩ বছর কাবের জার্সিতে বাজিমাত করে আসছেন। তার ৩৫০ জয়ের ২৪৮টি এসেছে লা লিগায়। ৬৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগে। এছাড়া কোপা ডেল রেতে ২২টি, কাব ওয়ার্ল্ড কাপে আটটি, উয়েফা সুপার কাপে তিনটি এবং সুপারকোপায় চারটি ম্যাচ জিতেছেন।

রামোস-কারভাহাল এক ম্যাচ নিষিদ্ধ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রিয়াল মাদ্রিদের সামনে লিগ শিরোপা জিততে চারটি ফাইনাল বাকি। কিন্তু আলাভেসের বিপক্ষে আগামী ম্যাচের রক্ষণভাগ নিয়ে এরই মধ্যে চিন্তায় পড়ে গেছেন লস ব্লাঙ্কোস কোচ জিনেদিন জিদান। আলাভেজের বিপক্ষে ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার জন্য খেলতে পারবেন না সের্গিও রামোস ও দানি কারভাহাল। হলুদ কার্ডের খড়গে পড়েছেন তারা।
নিয়ম অনুযায়ী কোন ফুটবলার পাঁচটি হলুদ কার্ড পেলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি। অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ সময়ে মৌসুমের পঞ্চম হলুদ কার্ড পান রামোস। তিনি অবশ্য ট্যাকল করে নন বরং এদের মিলাতাওকে ফাউল করার প্রতিবাদ করে হলুদ কার্ড দেখেছেন। অন্য দিকে কারভাহালের চলতি মৌসুমে ২৯ ম্যাচে এটি দশম হলুদ কার্ড। আগের পাঁচ হলুদ কার্ডের জন্য এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেছেন তিনি। এবার পেলেন আরও এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। তাদের নিষেধাজ্ঞা ও ভারান-ন্যাচোর ইনজুরি মিলিয়ে আগামী শুক্রবারের ম্যাচের জন্য মাথা ঘামাতে হবে জিদানকে।