শরণখোলায় সরকারী স্কুল ভাড়া দেয়ার অভিযোগ

2
All-focus
Spread the love


শরনখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:


বাগেরহাটের শরণখোলায় শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে। করোনা দূর্যোগের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে সম্প্রতি উপজেলার ২৯নং সাউথখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোতালেব হোসেন হাওলাদার শতাধিক নির্মাণ শ্রমিকের কাছে ওই বিদ্যালয়টির ৩টি ভবনের একাধিক কক্ষ (মাসিক) ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেন। এছাড়া বিদ্যালয় সংলগ্ন গাবতলা বাজারের ব্যাবসায়ী মোঃ পাভেজ খান পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ অবৈধভাবে (মিটারবিহীন) নামিয়ে তা ওই শ্রমিকদের মাঝে মাসিক ৫ হাজার টাকা সরবারহ করেছেন ।


খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ৩৫/১পোল্ডারের অনুকুলে বলেশ্বর নদীতে রিং-বাঁধের নির্মাণ কাজের জন্য জনৈক এক ঠিকাদারের মাধ্যমে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার শতাধিক শ্রমিক গত ১৫দিন পুর্বে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ওই এলাকায় আসেন। এর পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী পারভেজ খানের সহযোগীতায় ২৯নং সাউথখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতালেব হোসেন ও সংশ্লিষ্ট স্কুলের সভাপতি আঃ খালেক খানের মধ্যস্থতায় বিদ্যালয়ের ৩টি ভবনে শ্রমিকদের থাকার জন্য (মাসিক) ১০ হাজার টাকায় চুক্তি করে গোপনে ভাড়া দেন।

All-focus


এছাড়া অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে ৫হাজার টাকা আদায়ের চুক্তি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী পারভেজ খান। এ ব্যাপারে, শ্রমিকদের এক সহকারি সর্দার বলেন, মাসিক দশ হাজার টাকায় ভাড়া হয়েছে কি ? না তা আমি জানি না। তবে আমরা (শ্রমিকরা) স্কুলের যে টয়লেট ব্যাবহার করছি তার বাবদ পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে বলে আমি জানি। তবে, পরিচয় গোপন রাখার শর্তে, স্থানীয় এক সমাজ সেবক বলেন, কারো কোন অনুমতি ছাড়া প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি শিক্ষা কর্তার সাথে যোগসাজশ করে সরকারি ওই সম্পদ ভাড়ায় খাটিয়ে তারা (নিজেরা) লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু বিষয়টি সম্পুর্ন নিয়ম বর্হিভুত। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন খান বলেন, স্কুলটি ভাড়া দিয়েছেন কি? না তা জানি না।
তবে, শ্রমিকরা চলে যাওয়ার সময় কিছু টাকা দিবেন।

যা দিয়ে স্কুলটি পরিস্কার পরিছন্ন করা হবে। তবে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতালেব হোসেন বলেন, স্কুলে থাকার জন্য আমি কাউকে অনুমতি দেই নাই। বিষয়টি জানেন সভাপতি। অন্যদিকে, স্কুলটির সভাপতি আঃ খালেক খান বলেন, স্কুল ভাড়া দেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ন গুজব। দুর্যোগ থেকে সাউথখালী বাসীকে রক্ষার্থে বাঁধের কাজের জন্য ওই সকল শ্রমিকদের সাময়ীক ভাবে থাকতে দেয়া হয়েছে। তবে, শ্রমিকরা চলে যাওয়ার সময় তারা কিছু টাকা দিবেন। ওই টাকায় পরবর্তীতে টয়লেট গুলো পরিস্কার করা হবে। এছাড়া বিষয়টি শিক্ষা অফিসার অবগত।

এ ব্যাপরে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম সহ বাজার ব্যবসায়ী পারভেজ খানের মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।