সারা খুলনা অঞ্চলের খবর

7
Spread the love

রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ ঘোষণা করায় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী’র ক্ষোভ প্রকাশ

খবর বিজ্ঞপ্তি


বিজেএমসি’র আওতাধীন ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ ঘোষণা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর নেতৃবৃন্দ। শনিবার বিকেল ৪টায় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংগঠনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইমতিয়াজ আলী খোকনের সভাপতিত্বে এক জরুরী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেনÑসংগঠনের সহ-সভাপতি কবি সৈয়দ আলী হালিম, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, ডাঃ আঃ সালাম, শেখ হেদায়েত হোসেন হেদু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ রাজা, এস এম মিজানুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের মনির হোসেন সোহেল, ছাত্র ফেডারেশনের মোঃ আল আমিন, ফারহান রুদ্র, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর মুন্সী আহমেদ হোসেন, মোঃ সবুজুল ইসলাম, কাজল খান, জেসান ভুট্ট, শেখ মনির হোসেন, নূর ইসলাম, মিকাইল হোসেন, আফতাব হোসেন, সজীব প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের সমস্ত দাবীকে উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ বেআইনী ও অমানবিকভাবে মিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের দাবী ছিল, মিল বন্ধ না করেই সমস্ত অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে মিলগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। শ্রমিক ঐক্য পরিষদÑস্কপ প্রস্তাবিত উপায় মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সকল রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলোকে লাভজনকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। কিন্তু সরকার সে প্রস্তাবনাকে অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে মিলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে। একদিকে মহামারী করোনা সেই সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের অবস্থা দারুণভাবে বিপর্যস্ত দিশেহারা। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন বেকার হয়ে পড়েছে। ঠিক এমনই সময়ে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে মিলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে। নেতৃবৃন্দ এভাবে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ ঘোষণা করায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানান।

আজ জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার ত্রাণ বিতরণ


খবর বিজ্ঞপ্তি
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ, খাদ্যসামগ্রী, নগদ অর্থ ও ঘরনির্মান সামগ্রী বিতরণ করবেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর নেতৃবৃন্দ। শনিবার পরিদর্শনের জন্য তিন সদস্যের একটি প্রতিদিন দল কয়রার রওনা হয়েছেন।
আজ মহানগর সভাপতি মুফতী গোলামুর রহমান এর নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণে রওনা হবেন, থাকবেন মুফতী মাহবুবুর রহমান, মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, মুফতী আলী আহমাদ, মুফতী ফখরুল হাসান কাসেমী, মুফতী জাকির হুসাইন, মুফতী ইমরান হুসাইন, মুফতী আবু সালেহ, মুফতী জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, মুফতী আব্দুল্লাহ, মাওলানা আসাদুল্লাহ, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম।

ইসলামী যুব আন্দোলন খুলনা মহানগর শাখার মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপন উদ্বোধন


খবর বিজ্ঞপ্তি
ইসলামী যুব আন্দোলন এর উদ্যোগে সারাদেশে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ চলছে, মহানগরীতে আজ বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন পরবর্তী প্রজন্মের বাসযোগ্য পরিবেশের জন্য একটি করে গাছ লাগাতে, আসুন আমরা সুন্দর পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখি। আমরা আন্তরিক হলে সব কিছুই সম্ভব, নিজেরা গাছ লাগবো সাথে অন্যদের কে উৎসাহিত করবো। উপস্থিত হতে মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, এইচ এম জুনাইদ মাহমুদ, মোঃ মেহেদি হাসান, আব্দুস সালাম জায়েফ, মোঃ নাসিব ইসলাম, মুফতী আমানুল্লাহ, হাফেজ মোঃ আরিফ, মোঃ নিয়ামতুল্লাহ, মোঃ আব্দুল্লাহ সহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থেকে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থেকে দুলাল চন্দ্র ঘোষ নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের ঝড়গাছা গ্রামের মুকুন্দ ঘোষের বেলতলা থেকে উক্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুলাল চন্দ্র ঘোষ(৫০) ঝড়গাছা গ্রামের পদ্ম চন্দ্র ঘোষের ছেলে।
পাটকেলঘাটার ধানদিয়া ইউপি সদস্য বিশ্বজিৎ ঘোষসহ নিহতের স্বজনরা জানান, সকালে ঝড়গাছা গ্রামের মুকুন্দ ঘোষের বেলতলায় কৃষক দুলাল ঘোষের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন। তারা জানান, নিহত দুলাল ঘোষের মাথা ও মুখমন্ডল থেতলানো এবং গলায় কাটার চিহ্ন রয়েছে। তারা আরো জানান, গত বছর একই স্থানে গোপাল ঘোষ নামের আরও এক ব্যক্তি খুন হন।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, দুলাল চন্দ্র ঘোষকে রাতের কোন এক সময় পিটিয়ে ও শ^াসরোধ রোধ হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে,হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান।

ঘরে ঘরে জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনী


খবর বিজ্ঞপ্তি
শনিবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধকল্পে গত মার্চ ২০২০ থেকে কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়ার তত্ত্বাবধানে বরগুনা ও মংলায় টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাদের বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণরোধে নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং জন সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে নৌ সদস্যরা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মোতায়েনকৃত নৌ কন্টিনজেন্ট বরগুনা জেলা সদর, বামনা, বেতাগী ও পাথরঘাটা এলাকায় সচেতনতামূলক টহল পরিচালনা করে। উপজেলাসমূহের বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সর্ম্পকিত ১১০টি লিফলেট বিতরণ করে। পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে কমপক্ষে ৩ ফুট সামাজিক দূরত্ব নিশ্চতকরণ, গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারী নীতিমালা অনুসরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট মোংলা উপজেলার খানজাহানহাট, চিলারহাট, দিগরাজ বাজার, বুড়িরডাঙ্গা, আপাবাড়ি, হাসপাতাল চত্ত্বর, ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত সচেতনতামূলক টহল প্রদান করে। এছাড়া উপজেলাসমূহের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ প্রতিরোধমূলক লিফলেট বিতরণ করে। নৌ কন্টিনজেন্ট দু’টি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানসহ নিয়মিত টহল ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে কৃষি ও মাছচাষের বিকল্প নেই; সুজিত


স্টাফ রিপোর্টার
মৎস্যখাতের গুরুত্ব দিন দিন আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। আমিষের চাহিদা পূরণ এবং স্বল্পমূল্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য যোগাতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য মৎস্য খাতের কোনো বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হলে মাছ চাষের কোন বিকল্প নেই। মাছ দেশের জাতীয় সম্পদ। সকলের মাছচাষ করে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হবে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আয়োজনে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী এসব কথা বলেন।
সুজিত অধিকারী বলেন, দেশে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। কয়েক বছরের মধ্যে দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। এছাড়া কৃষি কাজের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহযোগিতায় খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার মোস্তফার মোড়ে জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। পরে পুকুরপাড় ও মসজিদের আঙিনায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারারোপণ করা হয়।
গাছের চারা বিতরণের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মো. জলিল তালুকদার, মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি কাজী তারিক আহমেদ, বিকাশ চন্দ্র বিশ^াস, মো. তুহিনুল ইসলাম, রাশিদুল হাসান রাজা, বুদ্ধদেব হালদার জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুজ্জামান লাবু, অর্থ সম্পাদক শেখ শাকিল হোসেন, শিল্প ও বানিজ্যিক বিষয়ক সম্পাদক মো. তারেক বিশ^াস, শিক্ষা ও মানবকল্যাণ সম্পাদক জুলফাত উল্লাহ আগা, মহিলা বিষয় সম্পাদীকা বুলু রাণী ম-ল, সহসম্পাদীকা সঞ্চিতা রায়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন মাসুদ রানা, ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শাহীন, মৎস্যজীবী লীগ নেতা বঙ্কিম অধিকারী, তরিকুল ইসলাম, নিরুপমা গোলদার, রাজু ম-ল, শ্রীদাম বালা, ঝর্ণা রায়, শেখ ফেরদাউস হোসেন প্রমূখ। কর্মসূচির আওতায় দুইটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ২০০টি করে গাছের চারা এবং ঘূণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ১৫ জন মৎস্য চাষিকে ৩‘শ কেজি মাছের পোনা ও প্রত্যেক চিংড়ি চাষিকে ৩০০০টি করে রেণুরপোনা দেয়া হবে।

পাইকগাছার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে ইউএনও জুলিয়া সুকায়নার অনন্য উদ্যোগ


পাইকগাছা প্রতিনিধি
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সময়, জাতির ইতিহাসের অবস্মরণীয় ঘটনা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে সর্বস্তরের বাঙালি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বিপুল আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিজয় লাভ করে। পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত হয় বাঙালি জাতি, রচিত হয় ইতিহাসের অমর কাব্য “স্বাধীনতা”। যে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা এবং লাল সবুজ পতাকা, স্বাধীনতার অর্ধশতবছর পূর্ণ হতে চললেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে জাতীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও উপজেলা পর্যায়ের ইতিহাস সংরক্ষণে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে অনন্য উদ্যোগ নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না। তিনি নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি নানা ব্যস্ততার মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিজ সম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন “মুক্তিযুদ্ধে পাইকগাছা” নামক গ্রন্থ। ১৬০ পৃষ্ঠার বইয়ে ৪০জন মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ সমরের অভিজ্ঞতা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়কার স্মৃতিকথা তুলে ধরেছেন। রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য দুর্লভ আলোকচিত্র। শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। অনুষ্ঠানে ডিসি হেলাল হোসেন বলেন, আমরা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফসল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমরা গর্ববোধ করি। পাইকগাছার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত একটি স্থান। এখানে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কপিলমুনির রাজাকার হত্যা এখানকার ঐতিহাসিক একটি ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের এ ইতিহাস সংরক্ষণ ও তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রকাশনার কোন বিকল্প নাই। অনেক কর্মকর্তা মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও হৃদয়ে ধারণ করে না। ইউএনও জুলিয়া সুকায়না “মুক্তিযুদ্ধে পাইকগাছা” গ্রন্থের মাধ্যমে এলাকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও প্রকাশিত গ্রন্থের সম্পাদক ইউএনও জুলিয়া সুকায়না বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় পাইকগাছার বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন, অনেকে যোদ্ধাহত হয়েছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এক একজন মুক্তিযোদ্ধা এক একটি ইতিহাস। এমন একদিন আসবে সেদিন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলার মত একজন মুক্তিযোদ্ধাও জীবিত থাকবেন না বা জীবিত কোন মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেদিনও যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস থেকে বঞ্চিত বা বিভ্রান্ত না হয়, সে লক্ষেই “মুক্তিযুদ্ধে পাইকগাছা” গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রন্থটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে একটি দালিলিক সংকলন হয়ে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইউএনও’কে মুক্তিযোদ্ধাদের মা সম্বোধন করে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ রকম উদ্যোগ দেশের প্রতিটি উপজেলায় গ্রহণ করা হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস খুঁজে বের করা সম্ভব। তিনি বীরঙ্গনাদের তালিকা সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাইকগাছা গ্রন্থের মাধ্যমে এলাকার ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধের কথা জানতে পারবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তয়কী ফয়সাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ওসি (তদন্ত) আশরাফুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম, সমাজসেবা অফিসার সরদার আলী আহসান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, খালেকুজ্জামান, রহিমা আক্তার শম্পা ও মিলিজিয়াসমিন। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিসি মোহাম্মদ হেলাল হোসেন উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই বিতরণ করেন।

বিএনপি’র মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বিবৃতির প্রতিবাদে আ’লীগ নেতৃবৃন্দ: শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে সকল মানবিকতার মধ্যে রেখেই মিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে


খবর বিজ্ঞপ্তি
প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত এবং বিএনপি’র মিথ্যা বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে পাট শিল্পকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় আনতে মিলগুলিকে জাতীয় করণ করেন। বঙ্গবন্ধু’র পরিকল্পনা অনুযায়ী পাটকলগুলি অল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত এটিও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছিলো। এমনই একটি সময়ে জিয়া-মোস্তাক-তাহের গংয়েরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এবং জিয়ার নেতৃত্বে সামরিক সরকার গঠণ করে দেশ শাসন করে। জিয়ার পরে এরশাদের স্বৈরশাসন। জিয়ার প্রেত্মাতারা দীর্ঘ সময় ধরে চালাতে থাকে পাটশিল্পে একাধারে লুটপাট আর শোষণ। জিয়ার প্রেত্মাতারা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও সর্বশেষ ২০০৬ সাল পর্যন্ত লুট চালায়। রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয় পাটশিল্প। সর্বশেষ খালেদা জিয়া বন্ধ করে আদমজি, পিপলস ও দৌলতপুর সহ দেশের সুনামধন্য পাটকলগুলি। নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাফনের কাপড় পরা শ্রমিকের ছবি এবং বাচ্চাদের না খেয়ে থাকা সহ পড়ালেখা করতে না পারার দৃশ্য দেখে খালেদা জিয়ার বন্ধ করা মিল পুনরায় চালু করেন। আবার শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটে, শিশুরা স্কুলে যেতে শুরু করে। কিন্তু ঘাপটি মেরে থাকা ওই সকল ষড়যন্ত্রকারীদের ছোবলে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েও সচল রাখা সম্ভব হয়নি। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শেখ হাসিনা মানবতার মা “মাদার অব হিউম্যানিটি”। তিনি শ্রমিকের সম্পূর্ণ টাকা এককালীন পরিশোধের ব্যবস্থা করেই মিল বন্ধ ঘোষনা করেছেন। তিনি ২ লাখ টাকা পর্যন্ত শ্রমিকের মুজুরীকে নগদ এককালীন এবং এর উর্দ্ধের পাওনাকে দু’ভাগে প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। অর্ধেক এককালীন নগদ এবং অপর অর্ধেককে সঞ্চয় পত্রের মাধ্যমে প্রতি তিন মাসে লভ্যাংশ পরিশোধের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া সকল মিলের শ্রমিকদের সন্তানদের কথা বিবেচনা করে প্রত্যেক মিলে প্রাইমারিকে সরকারি, নি¤œ মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলকে এমপিও ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া মিলের যে সকল শ্রমিক চাকুরী সংক্রান্ত মামলার জটিলতায় ভুগছেন তাদের মামলা নিরসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যা অতীতে বিএনপি সহ কোন সরকারের মাথায় আসেনি। নেতৃবৃন্দ বিএনপি’র উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নয়; বরং বিএনপিই অতীতে মাথা ব্যথার কারনে পুরো মাথাটাই কেটে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা মাথা ব্যথার কারন নির্নয় করে মাথা ব্যথার ওষুধ দিয়ে পুরো মাথাকে ভালো করার সেই অপারেশন করে উর্বর মাথায় পরিণত করেছেন। ইনশাল্লাহ মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা এ অপারেশনেও বিজয়ী হবেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এখানে কোন শ্রমিক বেকার হবে না। কম বয়সী দক্ষ শ্রমিকের জন্য নতুন মিলে চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে। তাদেরকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চাকুরী দেয়া হবে। সুতরাং বিএনপি যে সস্তা জনপ্রিয়তা নেয়ার যে ষড়যন্ত্র করছে সেটি জনসম্মুখে খুবই স্পষ্ট হয়ে গেছে। নেতৃবৃন্দ বিএনপি’র নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, খালেদা জিয়া যখন খালিশপুরকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিলো তখন বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের এ মায়াকান্না কোথায় ছিলো? কোন শ্রমিকের উপর বজ্রপাত নয়; বরং আর্শিবাদ হিসেবে এককালীন নগদ ও মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে। আপনারাই শ্রমিকদের উপর বজ্রপাত বর্ষন করেছিলেন। মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সেই বজ্রপাত থেকে শ্রমিকদের রক্ষা করেছিলেন। বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত যদি খারাপই হতো তাহলে শ্রমিকরা মেনে নিলো কেন এবং শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো কেন? শ্রমিকরা নিশ্চয়ই তাদের স্বার্থ আপনাদের চেয়ে ভালো বোঝেন। শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে সকল মানবিকতার মধ্যে রেখেই মিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপি’র ষড়যন্ত্রের জালে পা না রাখার জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, সাবেক সহ-সভাপতি এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন, কাজী আমিনুল হক, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, শেখ হায়দার আলী, কাজী এনায়েত হোসেন, আজমল আহমেদ তপন, বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. রজব আলী সরদার, নুর ইসলাম বন্দ, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, মো. আশরাফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জামাল, মো. নুরুজ্জামান, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সৈয়দ আলী, একেএম সানাউল্লাহ নান্নু, মো. আবিদ হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম বাশার, তসলিম আহমেদ আশা, শহিদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিছুর রহমান সহ জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতার বাবার মৃত্যুতে আ’লীগের শোক


খবর বিজ্ঞপ্তি
২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুন্নার বাবা, মো. মোশাররফ হোসেন (৭১) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে …………….. রাজেউন)। গত বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শনিবার বিকেল পৌনে ৩টায় মৃত্যুবরণ করেন। মরহুমের নামাজে জানাযা বাদ মাগরিব শেখপাড়া কাশেমুল উলুম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে মরহুমকে বসুপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে মো. মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, তসলিম আহমেদ আশা, চ. ম. মুজিবর রহমান, মীর মো. লিটন সহ জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনার সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হবে: সিটি মেয়র


খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক শনিবার দুপুরে নগরভবনের জি আই জেট মিলনায়তনে খুলনাঞ্চলের পাটকল সমূহের সিবিত্র ও নন সিবিত্র নেতৃবৃন্দের সাথে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় পাটকল শ্রমিকনেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
সভায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনার সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হবে। সরকার সারা দেশের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পঞ্চাশ শতাংশ নগদ এবং বাকি অর্ধেক মুনাফাভিত্তিক সঞ্চাপত্রের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। সিটি মেয়র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার মা হিসেবে অভিহিত করে বলেন তিনি সব সময় শ্রমজীবি মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। শ্রমিকদের বৃহত্তর স্বার্থেহ তিনি পাটকল গুলো আপাত বন্ধ ঘোষনা করেছেন। এ জন্য মিলগুলো সাময়িক বন্ধ থাকবে বটে। তবে অচিরেই তা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সুপরিকল্পিত ভাবে চালু করা হবে। তখন কর্মহীন সক্ষম শ্রমিকদের নিয়োগ দান করা হবে। সিটি মেয়র বলেন বর্তমান সরকারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সুপরিকল্পনার কারনেই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তরান্বিত হচ্ছে। দেশ দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধান মন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
সভায় সিটি মেয়র আরোও বলেন সরকার এবং প্রাইভেট পাবলিক পাটনারশিপ (পিপিপি) এর মাধ্যমে মিলগুলো চালু থাকবে। পিপিপি’র আওতায় মিল গুলিকে আধুনিকায়ন করে আবারো উৎপাদনমুখী করা হবে। সক্ষম ও সুস্থ্য শ্রমিক গণ পাটকলে চাকুরীর সুযোগ পাবেন। শ্রমিকদের গ্রাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ চাকুরিবিধি অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ মনিরুল ইসলাম বাশার, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, ক্রিসেন্ট জুটমিলের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ দীন ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোঃ মুরাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি মোঃ আবু জাফর আলী, পিজেজেএম লিঃ এর সভাপতি সাহানা শারমীন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ন কবীর, আলীম জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটু, দৌলতপুর জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ হেমায়েত উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন, ইষ্টান জুটমিল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন, শ্রমিক নেতা মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ আব্দুল হাদী সরদার, মোঃ কওছার আলী মৃধা, মোঃ মিন্টু মিয়া, মোঃ শামসুল হক, মোঃ আয়ুব আলী, মোঃ গাজী জাহিদুল, মোঃ মোল্লা মিজানুর রহমান, মোঃ সোবাহান, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আল মামুন, মোঃ মতিয়ার, হাফেজ আব্দুল ছালাম, মোঃ ইসমাইল হোসেন, আবুল হোসেন হারুন, গাজী রফিকুজ্জামান, মতিয়ার রহমান প্রমুখ বক্তিতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন।

দাকোপে কারোনার উপসর্গ নিয়ে দুই দিনে ৩জনের মৃত্যু


দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ প্রায় সব উপসর্গ নিয়ে খুলনার দাকোপে দুইদিনের ব্যবধানে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় চালনা বাজারের বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও উপজেলা আ‘লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষযক সম্পাদক শিবপদ পোদ্দার (৫৮) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। শুক্রবার দিবাগত গভির রাতে চালনার আরোও এক ব্যবসায়ী ও পৌর কাউন্সিলর অসিত কুমার সাহার ভাই জয় গোপাল সাহা (৫২) নিজ বাসবভনে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এছাড়া ওই দিন রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার তিলডাঙ্গা এলাকার প্রাক্তন শিক্ষক অরবিন্দু হালদার (৮২) উপসর্গ নিয়ে খুলনা সার্জিকেল কিনিকে মারা যান। দুই দিনের ব্যবধানে প্রথম করোনায় ৩জনের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল শনিবার দুপুরে গোপাল ও অরবিন্দুর লাশের স্ব-স্ব পারিবারিক শশ্মানে দাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
চালনা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুন্দ্রিনাথ বিশ^াস মাখন বলেন শিবপদ মারা যাওয়ার পরে তার করোনার রিপোর্ট পজেটিভ আসলে তিনি উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে পৌরসভার ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বানিজ্যিক এলাকা লকডাউন দিতে গলে সার ব্যবসায়ী ইবাদত শেখ তাকে বাধা দেয়। বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ইবাদতকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হক নিজামী জানান গোপাল ও অরবিন্দু দুই জনের কারোনার উপসর্গ ছিলো। তাদেরকে করোনা টেস্ট করার কথাও বলেছিলেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল ওয়াদুদ বলেন আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে স্বাস্থ্য বিধি এবং লকডাইন মেনে চলতে হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তিনি কঠোর ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

মোংলায় ১৫ কেজি হরিণে মাংস, মাথা ও পা উদ্ধার, নৌকাসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ, মামলা দায়ের

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলার পশুর নদীর চিলা এলাকা থেকে হরিণের মাংস, মাথা ও পা উদ্ধার এবং নৌকা জব্দসহ শিকার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে বনবিভাগ। শনিবার সকালে সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা বাজার লাগোয়া পশুর নদীতে একটি নৌকা দেখতে পেয়ে সেটিকে চ্যালেঞ্চ করে বনপ্রহরীরা। এ সময় নৌকা ফেলে হরিণ শিকারী ও পাচারকারীরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে ১৫ কেজি হরিণের মাংস, একটি মাথা ও চারটি পা উদ্ধার এবং ফেলে যাওয়া নৌকা, নৌকায় থাকা দুইটি ধারালো অস্ত্র ও ফাঁদ জব্দ করে বনবিভাগের সদস্যরা। পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: আজাদ কবির চিলা মোবাইল টহল ফাঁড়ির সদস্যদের সাথে নিয়ে এ যৌথ অভিযান চালিয়ে হরিণের মাংস, মাথা, পা ও নৌকাসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করেন। হরিণ শিকার করে পাচারের সময়ে পালিয়ে যাওয়া মোংলার চিলা এলাকার মিলন শেখ, শাহ আলম ও উত্তম বিশ্বাসের নামে শনিবার দুপুরে বন আইনে মামলা দায়ের করেছে বনবিভাগ।

খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের নিন্দা


খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন বাবু করোনা পজেটিভ হওয়ায় দির্ঘ্যদিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় বসে চিকিৎসা নিয়ে কয়েক দিন হলো করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। শারীরিক ভাবে তিনি এখনও খুবই অসুস্থ। এরই মধ্যে আওয়ামী পুলিশের প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ হিসেবে আবু হোসেন বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন অসুস্থ মানুষ এবং একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের পদধারী নেতাকে বাসা থেকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু, সিনিঃ সহ সভাপতি তারেক হাবিবুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের সিনিঃ সহ সভাপতি জুলকার নাঈম, ইফতেখার জামান নবীন, শামীম আশরাফ, মুনিমুর রহমান নয়ন, শরিফুল ইসলাম সাগর, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, আব্দুল্লাহ কিমিয়া সাদাত, মফিজুল ইসলাম মিঠু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মল্লিক জাহিদুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, রবিউল আলম, মোঃ ফিরোজ আহমেদ, হুমায়ুন আজিজ ডাবলু, সৈয়দ আব্দুল্লাহ, শাকিল আহমেদ, আশিকুর রহমান আশিক, সোহাগ আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ, শেখ মসফিকুর হাসান অভি, আরিফুর রহমান আরিফ, মাহিম আহমেদ রুবেল, হেলাল উদ্দিন, আশিকুজ্জামান তুফান, আজিজুর রহমান, মামুনুর রহমান, রাজিবুল আলম বাপ্পী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহমুদুল হাসান মুন্না, রাজু শেখ, আতাউর রহমান তাজ, ইমরান হোসেন, আব্দুল আহাদ শাহীন, ইসরাফিল বাবু, ইসমাইল হোসেন খান, মাসুদ রানা, রাজু আহমেদ রাজ, আরিফুর ইসলাম, শরীফ চৌধুরী সোহেল, হৃদয় হোসেন রিপন, মিজানুর রহমান শাকিল, শামীম রেজা, আশিক মাহমুদ নকিব, ফারহান শিকদার, কৃষ্ণ বিশ্বাস, হাফিজুর রহমান সাগর, মোঃ ইমরান খান, শেখ আল আমিন হোসেন, শাহিন আলম, খালিদুর রহমান, আলী আজগর অন্তু, আবু হানিফা সুমন, মোঃ নাজিম উদ্দিন, মশিউর রহমান তুষার, তুহিন ইসলাম, শেখ আল মামুন, এবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন, মাহমুদুল আলম লোটাস, তানভীর আলম, সাব্বির খান, রায়হান খান, মোঃ আলী নেওয়াজ, রুবেল ফকির, আতাউর রহমান, আবরার হোসেন সৈকত, বায়েজিদ হোসেন প্রমুখ।

করোনা আক্রান্ত ও তার পরিবারকে মানবিক চিকিৎসা সহায়তায় মহানগর বিএনপি’র কল সেন্টার উদ্বোধন


খবর বিজ্ঞপ্তি
করোনা আক্রান্ত রোগী ও পরিবারকে মানবিক চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে খুলনা মহানগর বিএনপি’র গঠিত কমিটি শনিবার (০৪ জুলাই) বেলা ১২টায় নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডের ৫৭নং রহমান ভিলায় কলসেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় করোনা আক্রান্ত পরিবারকে ডাক্তারী পরামর্শ, অক্সিজেন সহায়তা, খাদ্য সামগ্রী সহায়তা ও অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা ও সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
কলসেন্টার পরিচালনার জন্য সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, আসাদ্জ্জুামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু ও গিয়াস উদ্দিন বনিকে দায়িত্ব অর্পন করা হয়। এছাড়া অক্সিজেন, খাদ্য সহায়তা, ডাক্তারী পরামর্শ ও অ্যাম্বুলেন্স কার্যক্রম পরিচালনায় পৃথক চারটি টিম গঠন করা হয়। সভা থেকৈ পাঁচ থানায় পাঁচটি মনিটরিং টীম গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সভায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিকে দাফন কার্যক্রম হাতে নেবার জন্য প্রস্তুতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাঁচ থানায় মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ হলেন- খালিশপুরে এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান ও শাহীনুল ইসলাম পাখী, খুলনা সদর থানায় অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু ও ইউসুফ হারুন মজনু, দৌলতপুর থানায় সিরাজুল হক নান্নু ও সাজ্জাত হোসেন তোতন, সোনাডাঙ্গা থানায় আসাদুজ্জামান মুরাদ ও সাজ্জাত আহসান পরাগ এবং খানজাহান আলী থানায় আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস ও এনামুল হাসান ডায়মন্ড।
সভা শেষে কল সেন্টার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মনিরুজ্জামান মনি, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, স ম আঃ রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, কামরুজ্জামান টুকু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, মুহিবুজ্জামান কচি, শাহিনুল ইসলাম পাখী, এ্যাড. গোলাম মওলা, গিয়াসউদ্দীন বনি, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, আল জামাল ভুঁইয়া, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, বদরুল আনাম, শরিফুল ইসলাম জনি, মেজবাউদ্দিন মিজু, সেখ কামরান হাসান, কাজী মাহমুদ আলী, মোঃ আলী খান, শহিদুল ইসলাম, কেএম মাহবুব আলম, জিএম রফিকুল হাসান, সিরাজুল ইসলাম লিটন, ডাঃ ফারুক হাসান ও কওসারী জাহান মঞ্জু প্রমুখ।

কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাতশ’ ছাড়ালো

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা সাতশ’ ছাড়িয়েছে। শুক্রবার (৩ জুলাই) নতুন করে ৩০ জন শনাক্ত করা হয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার ডা. নজমুল মনির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্তের মধ্যে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় ২৪ জন, দৌলতপুর উপজেলায় একজন, কুমারখালী উপজেলায় চার জন এবং ভেড়ামারা উপজেলায় একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন এবং নারী নয় জন। এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় এখন পর্যন্ত ৭০৮ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হলো। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৫৯ জন। এ ছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৩ জন।
এ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে সদর উপজেলায় সাত জন, কুমারখালীতে তিন জন, দৌলতপুরে একজন এবং ভেড়ামারায় একজন রয়েছেন। সবশেষ বৃহস্পতিবার কুমারখালীর পান্টির বাসিন্দা একজন পুরুষ (৫০) রোগী মারা যান। জেলায় করোনা আক্রান্ত মৃতদের ১১ জন পুরুষ ও একজন নারী।