সারা খুলনা অঞ্চলের খবর

21

খুলনায় আরও দুই হাসপাতালে হবে করোনার চিকিৎসা

স্টাফ রিপোর্টার

নগরীর ডায়াবেটিক হাসপাতালের পর করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে প্রস্তুত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে ওই দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে প্রস্তুত হওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বেসরকারি হাসপাতাল দুটি হলো গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল। সিভিল সার্জনের চিঠিতে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০টি ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালকে ৩০টি শয্যা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ৫ জুলাই থেকে সেখানে করোনা রোগী ভর্তি করা হতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয় করেই সেখানে চিকিৎসা দেয়া হবে।

জানা যায়, খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। ১০০ শয্যার হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১১জন করোনা রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফু কর্নারে রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর খুলনার ডায়াবেটিক হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়।

জেলা বিএনপি নেতা বাবু গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার

খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন বাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রূপসা উপজেলার আইজগাতি গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, করোনায় আক্রান্ত ছিলো বাবু। বুধবার তার করোনার ফলোআপ রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে। বাবু পরিবারের অন্য সবার থেকে আলাদা হয়ে পৃথক রুমে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হোম আইসোলেশনে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৪ দিন পর তার আরও একটি টেস্ট করা লাগবে। এ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করাটা অমানবিক। অবিলম্বে বাবুর মুক্তির জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।

রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, নাশকতাসহ তিনটি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হোম আইসোলেশন থেকে বাবুকে গ্রেফতার করার বিষয়ে ওসি বলেন, ওয়ারেন্ট আছে তাই গ্রেফতার করেছি। এটা তার শারীরিক বিষয়। ওটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা আদালতের নির্দেশ পালন করেছি। কত সালের নাশকতা মামলা জানতে চাইলে ওসি বলেন, যতদূর মনে আছে ২০১৬/১৭ সালের মামলা হবে।

খুলনায় পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার

মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে

১০০গ্রাম গাঁজাসহ দু’মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন লবনচরা থানার নিজখামার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশে কাদেরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. মিজান গাজীর ছেলে মো. সোবহান গাজী (১৯) ও  গ্রীনল্যান্ড আবাসন ব্লক-বি বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা লোকমান শিকদারে ছেলে মো. ইমরাম শিকদার (২৪)। 

কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) কানাই লাল সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মহানগর পুলিশ। এসময় ১০০গ্রাম গাঁজাসহ দু’মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।

ডুমুরিয়ায় জেলা ডিবির অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার

ডুমুরিয়া থানাধীন বেতাগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৫০০গ্রাম গাঁজা ও ১৮০পিস ইয়াবাসহ দু’মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দু’মাদক ব্যবসায়ী হলেন সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার টিকারামপুর গ্রামের কালিপদ মন্ডলের ছেলে সবুজ মন্ডল (৩৫) ও  চমরখালী সরুলিয়া গ্রামের প্রফুল্ল মন্ডলের ছেলে সুশান্ত মন্ডল (৩৫)।

খুলনা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া জানান,  বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে  ডুমুরিয়া থানাধীন বেতাগ্রামে আমার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন এসআই রাজিউল আমিন। এসময় বেতাগ্রামের আজিজ  শেখ এর বাড়ির পাশ থেকে ৫০০গ্রাম গাঁজা ও ১৮০পিস ইয়াবাসহ সবুজ মন্ডল ও  সুশান্ত মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দামুরহুদায় র‌্যাবের অভিযানে ৬৩বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা থানাধীন জয়রামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৬৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ দু’মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার দু’মাদক ব্যবসায়ী হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা থানার জয়রামপুর মল্লিকপাড়া, গ্রামের মো. আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. সুজাউদ্দোলা রাজীব (৩২) ও পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের রবিউল হকের ছেলে মো. আবু সাঈদ (৩০)। 

র‌্যাব-৬ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা থানাধীন জয়রামপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল। এসময়  জয়রামপুর গ্রামস্থ চায়ের দোকান নামক স্থান থেকে ৬৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ  রাজীব ও আবু সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দামুরহুদা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পাইকগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৩জন রক্তাক্ত জখম

পাইকগাছা প্রতিনিধি

পাইকগাছায় জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৩জন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার আহত ২জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি উপজেলার বিরাশী গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিরাশী গ্রামের মৃত পর্বত গাজী ও মৃত যত্তন গাজীর পুত্রদের সাথে মৃত শাহাজান গাজীর পুত্রদের জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন গোলযোগ সহ মনমালিন্য চলে আসছে। ইতোপূর্বে জমি রেকর্ড অনুযায়ী আমিন দ্বারা একাধিকবার জরিপ কার্য পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু জরিপ অনুযায়ী মৃত পর্বত গাজীর পুত্র আনার গাজী এবং মৃত যত্তন গাজীর পুত্র মুছা গাজী মানতে নারাজ। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকালে আনার গাজী ও মুছা গাজী বহিরাগত লোকজন নিয়ে মৃত শাহাজানের পুত্রদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় উজির গাজী (৪৫), রুহুল আমিন (৩০), রোজিনা বেগম (৫০) গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। উজির গাজীর মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। যেখানে কয়েকটি সেলাই লাগে। আবার সবুর গাজীর পুত্র রুহুল আমিনের ডান হাত ভেঙ্গে যায়। আহতদের পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তির জন্য তাদের অবস্থা অবনতি হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আল-আমিন বাদী হয়ে মৃত পর্বত গাজীর পুত্র আনার জন্য, মৃত যত্তন গাজীর পুত্র মুছা গাজী, আনারের পুত্র মহিবুল্লাহ ও আরিফ বিল্লাহ, মৃত শবদাল মোড়লের পুত্র ইবার আলী মোড়ল সহ ৮/১০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ওসি এজাজ শফী জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শোকাহত পরিবারের পাশে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল

খবর বিজ্ঞপ্তি

রূপসা উপজেলার সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আহাদ হাসান বাবুর পিতা মোঃ শাহাজান শিকদার (৭০) বার্ধক্য জনিত কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন (ইন্নালিল্লাহে….. রাজেউন)। তার মৃত্যুর খবর শুনে মরহুমের বাসভবনে শোকাহত পরিবারের পাশে যান খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল। এসময় অন্যাণ্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা জামিল খান, পাপিয়া সরোয়ার, রেজাউল ইসলাম রেজা, আল-মোমিন লিটন, কাউছার আলী, জুয়েল সরদার, মিন্টু মেম্বর, শেখ হাফিজুর রহমান, মোঃ মানিক শেখ, সুমন, মিরাজ প্রমুখ। এ সময় নেতৃবৃন্দ মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় উপকূলীয় অঞ্চলে নৌবাহিনীর টহল চলছে

খবর বিজ্ঞপ্তি

ভয়ানক রূপে বৃদ্ধি পাওয়া কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধকল্পে নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের  উপজেলাসমূহে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং জরুরী উদ্ধারকার্য পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মোতায়েনকৃত নৌ কন্টিনজেন্ট বরগুনা জেলা সদর, বামনা, বেতাগী ও পাথরঘাটা এলাকায় সচেতনতামূলক টহল পরিচালনা করে। উপজেলাসমূহের বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সর্ম্পকিত ২০০টি লিফলেট বিতরণ করে। নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট বেতাগী ইউনিয়নে ৩২৯টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে। নৌ কন্টিনজেন্ট মোংলা উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং জনগণের সচেতনতার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার, বুড়িরডাঙ্গা, বৈদ্যমারী, খানজাহানহাট, হাসপাতাল চত্ত্বর ও ফেরিঘাট এলাকায় টহল পরিচালনা করে। এছাড়া সোনাইতলা এলাকায় ১৬৭টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে। করোনা প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট দু’টি সাধারণ জনগণকে কমপক্ষে ৩ ফুট সামাজিক দূরত্ব নিশ্চতকরণ, গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারী নীতিমালা অনুসরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ে মাস্ক ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পর সকল বাজার, দোকান-পাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলকভাবে বন্ধ নিশ্চিত করতে সহায়তা করে নৌ কন্টিনজেন্ট।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনায় মৃত চিকিৎসকের দাফন দিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে মারা যাওয়া ডা. আব্দুল ওহাবের (৭৮) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২জুলাই) দুপুরে তাকওয়া ফাউন্ডেশন মণিরামপুর শাখার উদ্যোগে দুইদফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এটা ফাউন্ডেশনটির মণিরামপুরে করোনায় মৃত দ্বিতীয় রোগীর দাফন। আজকের (বৃহস্পতিবারের) দাফনকাজে স্বেচ্ছাসেবক টিমটির প্রধান মাওলানা আশরাফ ইয়াছিন, টিমের সমন্বয়কারি নাছিম খান, মাওলানা হাসান আল মামুন, মাওলানা মুহিবুল্লাহ, মাওলানা সামছুজ্জামান, মাহমুদুল হাসান, সাইফুল আতাউল্লা ও আজাদ অংশ নেন।

এরআগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ডা. আব্দুল ওহাবের মরদেহ মণিরামপুরের হাঁসাডাঙায় তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়।

এরপর দুপুর দুইটার দিকে নাগরঘোপ হাইস্কুল ও হাজি মতিউল্লাহ হাফিজিয়া মাদরাসা মাঠে দুইদফা তার জানাজা সম্পন্ন হয়।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, সাবেক চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ নিহতের স্বজন এবং এলাকাবাসী  জানাজায় অংশ নেন।

ডাক্তার আব্দুল ওহাব হাঁসাডাঙা গ্রামের মৃত ফজলুল করিমের ছেলে।

হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক টানা ৩৬ বছর ঢাকা হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। এরপর তিনি ধানমন্ডি এলাকায় ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখতেন।

পরিবার নিয়ে ধানমন্ডিতে থাকতেন ডা. আব্দুল ওহাব। করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসায় গত শনিবার (২৭ জুন) তাকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (১ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সেখানে আইসিইউতে মারা যান তিনি।

তাকওয়া ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর শাখার সমন্বয়ক নাসিম খান বলেন, করোনাকালীন দুর্যোগে যখন দেখলাম করোনায় মৃতদের দাফন কাপনে কেউ এগিয়ে আসছেন না। মৃতদেহ রেখে স্বজনরা বা এলাকাবাসী পালিয়ে যাচ্ছেন, তখন মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের অংশ হিসেবে মণিরামপুরে আমরা ২০ সদস্যর সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করি। যারা বিনা পারিশ্রমিকে করোনায় মৃতের দাফন কাফন করবেন। আমাদের টিমে দুই জন নারী সদস্য আছেন। যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মণিরামপুরে কোন নারীর মৃত্যু হয় তাহলে তাদের গোসলসহ কাফন পরানোর কাজ আমাদের নারী সদস্যরা করবেন।

আদালতে ভার্চুয়াল শুনানী সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত , সুফল পাচ্ছে সাতক্ষীরারবাসী

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা

আদালতে ভার্চুয়াল শুনানী সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ আর এ পদক্ষেপের কারণেই সাতক্ষীরার শত শত হাজতী’র কাছে আজ আশার আলো হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে যখন সকল আদালত বন্ধ তখন সরকারের এই একটি পদ্ধতিই বিচার প্রার্থী মানুষকে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। ভার্চুয়াল শুনানীর মাধ্যমেই সাতক্ষীরায় গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৫২৮ জন  আসামীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এ সময় বিভিন্ন আদালতে ৮৪২টি মামলার শুনানী গ্রহন করা হয়।

সারাদেশে গত ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল শুনানী অনুষ্ঠিত হলে ও ভুল বুঝাবুঝির কারণে সাতক্ষীরার আইনজীবীগণ ভার্চুয়াল শুনানীতে অপারগতা প্রকাশ করে। অবশেষে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের ঐকান্তিক চেষ্টায়  সাতক্ষীরায় গত ১৭ মে হতে আদালতের কার্যক্রম আরম্ভ হয়। ফলে করোনা পরিস্থিতির চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকা আসামী ও তাদের পরিবারের লোকজন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করে। একের পর এক মামলায় জামিন পেতে থাকে আসামীরা। জেলা কারাগারে থাকা আসামীর সংখ্যা কমতে শুরু করে।এমনিভাবে গত ২৯টি কার্যদিবসে জামিনপ্রাপ্ত হয় ৫২৮ জন আসামী। ভার্চুয়াল আদালত চলাকালীন আইনজীবীগন ৩৯১টি মামলায় আবেদন করেন এর মধ্যে ১৯৪টি মামলায় ২৩৮ জন আসামীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

অপরদিকে বেশ কিছুদিন যাবৎ সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে বিচারক পোস্টিং না থাকার কারনে ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক হিসেবে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান গত ১৭ মে হতে ২৮ মে পর্যন্ত ৭টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানী গ্রহন করেন। পরবর্তীতে গত ৩১ মে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে এস, এম নূরুল ইসলাম বিচারক হিসেবে যোগদানের পর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তিনি ১০টি মামলায় ভার্চুয়াল শুনানী গ্রহন করেন। এছাড়া সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত এবং যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ প্রথম ও দ্বিতীয় আদালত সহ সকল সহকারী জজ আদালতেও বেশ কিছু মামলায় ভার্চুয়াল শুনানী গ্রহন করেন বিচারকগন।

অপরদিকে সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন জেলার সর্বোচ্চ সরকারী ভবন হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিতি পেলেও এখনকার সর্বোচ্চ পদে অর্থাৎ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সকল সহকর্মীদের নিয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি হচ্ছেন, মোঃ হুমায়ুন কবীর। এছাড়াও রয়েছেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রেজওয়ানুজ্জামান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার রায়, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মন্ডল, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মোবারক মুনিম। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনের ঝুকি নিয়ে সাতক্ষীরার বিচারাঙ্গনে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ভার্চুয়াল শুনানী করে চলেছেন সকলেই।

সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সহ অধীনস্থ সকল আদালতে গত ২৯ কার্যদিবসে আইনজীবীগন ৪৯৭ টি মামলায় আবেদন করলেও ৪৭৫ টি মামলায় শুনানী গ্রহন করেন আদালত। এর মধ্যে ২০৫ টি মামলায় ২৯০ জন আসামী জামিন প্রাপ্ত হন। এছাড়া সকল আদালতে রিমান্ড ও জিম্মার আবেদন সহ বিভিন্ন মামলায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহন, ভিকটিমের ২২ ধারায় জবাবন্দি গ্রহন, মেডিকেল সনদ তলব সহ চেকের মামলায় ফাইলিং গ্রহন করা হয়। এককথায় সাতক্ষীরার মানুষের কাছে ভার্চুয়াল আদালত এখন সরকারের যুগোপযোগী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা দিয়েছে।

সাতক্ষীরায় মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়ন কল্পে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়ন কল্পে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত এ সব চেক বিতরন করেন, প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু। এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা’র চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম মারুফ তানভীর হোসাইন সুজন, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার চীফ এডিটর শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি মসজিদের জন্য ৪ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ও ৪টি মন্দিরের জন্য ৪০ হাজার টাকা ও অনুদান মঞ্জুরীর চেক বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি এমপি রবি এ সময় বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জনবান্ধব ও উন্নয়নের সরকার। অগ্রগতি ও উন্নয়নের মহাসড়কে বর্তমান সরকার। দেশ ও জাতির উন্নয়নে সাফল্য ধরে রাখায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরপর চার বার জনগণের ভালবাসায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদককে গ্রেফতারে ছাত্রদলের নিন্দা

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন বাবু করোনা পজেটিভ হওয়ায় দির্ঘ্যদিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় বসে চিকিৎসা নিয়ে কয়েক দিন হলো করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। শারীরিক ভাবে তিনি এখনও খুবই অসুস্থ। এরই মধ্যে আওয়ামী পুলিশের প্রতিহিংসার রাজনীতির অংশ হিসেবে আবু হোসেন বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন অসুস্থ মানুষ এবং একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের পদধারী নেতাকে বাসা থেকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু, সিনিঃ সহ সভাপতি তারেক হাবিবুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের সিনিঃ সহ সভাপতি জুলকার নাঈম, ইফতেখার জামান নবীন, শামীম আশরাফ, মুনিমুর রহমান নয়ন, শরিফুল ইসলাম সাগর, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, আব্দুল্লাহ কিমিয়া সাদাত, মফিজুল ইসলাম মিঠু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মল্লিক জাহিদুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, রবিউল আলম, মোঃ ফিরোজ আহমেদ, হুমায়ুন আজিজ ডাবলু, সৈয়দ আব্দুল্লাহ, শাকিল আহমেদ, আশিকুর রহমান আশিক, সোহাগ আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ, শেখ মসফিকুর হাসান অভি, আরিফুর রহমান আরিফ, মাহিম আহমেদ রুবেল, হেলাল উদ্দিন, আশিকুজ্জামান তুফান, আজিজুর রহমান, মামুনুর রহমান, রাজিবুল আলম বাপ্পী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহমুদুল হাসান মুন্না, রাজু শেখ, আতাউর রহমান তাজ, ইমরান হোসেন, আব্দুল আহাদ শাহীন, ইসরাফিল বাবু, ইসমাইল হোসেন খান, মাসুদ রানা, রাজু আহমেদ রাজ, আরিফুর ইসলাম, শরীফ চৌধুরী সোহেল, হৃদয় হোসেন রিপন, মিজানুর রহমান শাকিল, শামীম রেজা, আশিক মাহমুদ নকিব, ফারহান শিকদার, কৃষ্ণ বিশ্বাস, হাফিজুর রহমান সাগর, মোঃ ইমরান খান, শেখ আল আমিন হোসেন, শাহিন আলম, খালিদুর রহমান, আলী আজগর অন্তু, আবু হানিফা সুমন, মোঃ নাজিম উদ্দিন, মশিউর রহমান তুষার, তুহিন ইসলাম, শেখ আল মামুন, এবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন, মাহমুদুল আলম লোটাস, তানভীর আলম, সাব্বির খান, রায়হান খান, মোঃ আলী নেওয়াজ, রুবেল ফকির, আতাউর রহমান, আবরার হোসেন সৈকত, বায়েজিদ হোসেন প্রমুখ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর নিন্দা ও প্রতিবাদ

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-সম্পাদক আবু হোসেন বাবু গতকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে আজ সকালেই পুলিশ তাকে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গ্রেফতার করেছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সদ্য নেগেটিভ হওয়া আবু হোসেন বাবুকে পুলিশ কর্তৃক আমানবিকভাবে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জুলুমবাজ বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী রুপদানের জন্য করোনা ভাইরাসের এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য বিরোধী দলের ওপর এই করোনা কালেও ধারাবাহিক নিপীড়ন-নির্যাতনের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে সরকার। এমনকি সদ্য সেরে ওঠা করোনা আক্রান্ত রোগীকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করতে দ্বিধা করছে না। আবু হোসেন বাবু সেই হিং¯্র বর্বতারই নির্মম শিকার হলেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থেকে গতরাতেই তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হয়। বিধানানুযায়ী তাকে আরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। অথচ সেটি না করে তাকে আজ সকালেই গ্রেফতার করে পুলিশ। এতেই প্রমাণ হয়-কী ভয়াবহ কর্তৃত্ত্ববাদী দুঃশাসন চলছে এই দেশে। অসুস্থ বাবুকে গ্রেফতার সরকারের অবিরাম দমন নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। আবু হোসেন বাবুকে সম্পূর্ণ অমানবিকভাবে গ্রেফতারের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।”

খুলনা জেলা বিএনপি’র করোনা আক্রান্ত নেতা আবু হোসেন বাবুকে গ্রেফতারে নেতৃবৃন্দের নিন্দা

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা জেলা বিএনপি’র প্রথম যুগ্ম-সম্পাদক শেখ আবু হোসেন বাবুকে বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) সকালে নিজ বাড়ি থেকে  আটক করে নাশকতার অভিযোগে দায়েরকৃত পুরানো মামলায় গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। করোনা আক্রান্ত আবু হোসেন বাবু হোম আইসোলেশনের ছিলেন; এ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে নিক্ষেপ করাটাকে চরম অমানবিক বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন তারা। একই সাথে অন্য কারাগারে অন্য বন্দীদের জন্যেও চরম ক্ষতিকর।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিধ্বস্ত কয়রা উপজেলায় বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের পরদিন গত ৩ জুন প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হন আবু হোসেন বাবু। এর সপ্তাহখানেক পর কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজেটিভ আসে। মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সরকারি হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থতা বাড়তেই থাকে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর গত দু’দিন আগে প্রথম ফোআপ পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে। চিকিৎসকের পরামর্শ আরও চিকিৎসা অব্যাহত রেখে কয়েকদিন পর দ্বিতীয় ফোআপ পরীক্ষার পর করোনা ঝুঁকিমুক্ত হবেন তিনি; তারপরও তার দ্বারা অন্যদের সংক্রমন রোধে তিন সপ্তাহ ‘হোম কোয়ারান্টাইন’ থাকা বাধ্যতামুলক ছিল তার জন্য। এ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে নিজের ও অন্যদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হলো। তাই অবিলম্বে আবু হোসেন বাবুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান প্রমুখ।

অস্ত্র ও গুলিসহ মিরাজুল ইসলাম গ্রেফতারের পর ২ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে

দিঘলিয়া প্রতিনিধি

দিঘলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ মোঃ মিরাজুল ইসলাম গ্রেফতারের পর ২ দিন রিমান্ড শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশ আদালতে প্রেরন করেছে । সে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চালিতাতলার মোঃ আঃ রাজ্জাক মোল্লার ছেলে মোঃ মিরাজুল ইসলাম মোল্লা। পুলিশ জানায়,গত ২৫ জুন দিঘলিয়ার বামনডাঙ্গা বাজারের বড় ব্রিজ এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ মোঃ মিরাজুল ইসলাম মোল্লা (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ । এ সময় তা কাছ থেকে ১টি ওয়ান স্যুটার গান ও ২ রাউন্ড ওয়ান স্যুটারগানের গুলি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ব্যাব-৬ নায়েব সুবেদার মোঃ রাজু আহমেদ বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোজাহিদুল ইসলাম গত ২৬ জুন খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন । রিমান্ড শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরন করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, অস্ত্র ও গুলিসহ মোঃ মিরাজুলের বলে সে স্বীকার করেন। আর মামলার তদন্তের সার্থে কোন তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। মিরাজুলকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

তবে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, মিরাজুলের গ্রুপ লিডার হলো কাদের মোল্লা। কাদের মোল্লা, রাজিউল মোল্লা, আজাদ মোল্লাসহ গ্রুপটি এলাকায় চাদঁবাজিসহ অনেক অপকর্মের সাথে লিপ্ত আছেন। এলাকায় কাদের গ্রুপ নামে পরিচিতি। কিছু দিন আগে একটি হত্যা মামলার আসামী হয়ে এলাকা এই গ্রুপটি এলাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করেছে । যা আমার কাছেও চেয়েছিলো আমি টাকা দেইনি। মিরাজুল হলো কাদের  গ্রুপের অস্ত্র বহনকারী। এরা সব সময় এক সাথে থাকে ।

সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুলের সুস্থ কামনায় ওয়ার্কার্স পার্টি

খবর বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা সদর থানা সভাপতি ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি’র সভাপতি এ্যাড. মোঃ সাইফুল ইসলাম শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর রোগমুক্তি ও আশু সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি প্রদান করেছেনÑবাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমান, মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা ও মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, কমরেড গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কমরেড শেখ মিজানুর রহমান, কমরেড মনির আহমেদ, কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য শেখ সাহিদুর রহমান, কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড সন্দীপন রায়, কমরেড রেজাউল করিম খোকন, কমরেড কৌশিক দে বাপী, কমরেড আঃ হামিদ মোড়ল, কমরেড মোঃ আলাউদ্দিন, কমরেড মনির হোসেন, কমরেড আরিফুর রহমান বিপ্লব, কমরেড আনোয়ার হোসেন, কমরেড এড. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার, কমরেড অজয় দে, কমরেড বাবুল আখতার, কমরেড হাফিজুর রহমান, কমরেড গৌরী ম-ল প্রমুখ।

অপরদিকে নেতৃবৃন্দ ফটো সাংবাদিক হাকিম শাহ আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন।

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অপরাধে আটক ২

কয়রা প্রতিনিধি

সুন্দরবনের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অপরাধে দুই জনকে আটক করেছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা রেঞ্জের কশিয়াবাদ ফরেষ্ট স্টেশনের আওতাধীন মুরলি খাল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা গ্রামের সাইদুল ইসলাম ও জোড়শিং গ্রামের নুরুল আমীন গাজী। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি ভেশাল জাল, ডিঙ্গি নৌকা, বিষের বোতল ও শিকার করা ৮০ কেজি মাছ উদ্ধার করা হয়। কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাহরাম জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই দুই জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা হয়েছে।

কয়রায় বেড়িবাঁধ মেরামতে অংশ নেওয়া জনসাধারণের পাশে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনার কয়রা উপজেলায় সুপার সাইকোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সর্বদা পাশে থেকে ভেঙ্গে যাওয়া উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাজী পাড়া বেড়িবাঁধ মেরামতে স্থানীয় মানুষের সাথে কাজে সহযোগিতা, পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। গত বুধবার বিকালে স্থানীয়  গ্রামবাসীর সাথে বাঁধ মেরামত কাজে অংশগ্রহন করেন তিনি। এর আগের তিনি ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে গোবরা ঘাটাখালি, হরিণখোলা, হাজত খালি  ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধের অস্থায়ী রিং বাঁধ পরিদর্শন করেন। গাজি পাড়া ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বাঁধ মেরামতে এগিয়ে আসে। যতদিন ভাঙ্গন এলাকা পাবিত থাকবে ও করোনা ভাইরাস মহামারির সঙ্কট না কাটবে, ততদিন সরকার ও নিজ ব্যক্তি উদ্যোগে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাবে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে গ্রামবাসির সাথে বেঁড়িবাধে সহযোগিতা  করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, সঙ্কট যত গভীরই হোক না কেন জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎড়ানো কোন কঠিন কাজ নয়। ঝড়-ঝঞ্ছা-মহামারি আসবে। সেগুলো মোকবিলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সঙ্কট যত গভীরই হোক জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎড়ানো কোন কঠিন কাজ নয়। সরকার জনগণের দুঃখ লাঘবে সব সময় পাশে আছে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্নিঝড়ের আঘাতে কয়রা উপজেলার ২১টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। স্থানীয় মানুষের প্রচেষ্টায় বেশিরভাগ স্থানে অস্থায়ি রিংবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। মাত্র ২ একটি স্থানে এখনও নদীর পানি উঠানামা চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাজি পাড়ার বাঁধটির ভাঙ্গন । গ্রামবাসি স্বনির্ভরে আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। আশা করি দু’এক দিনের মধ্যে বাঁধটি মেরামত করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, কয়রা বাসির স্বপ্ন পূরনে অক্টোবরে কয়রা উপজেলার টেঁকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে ইনশাল্লাহ। অপপ্রচারে সাধারন মানুষের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কমলেশ চন্দ্র সানা, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হারুন অর রশিদ,  উপাধ্যক্ষ এইচ এম নজরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী, হুমায়ুন কবির, জেলা যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ, শামীম সরকার, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক গণেশ মন্ডল, জেলা ছাত্রলীগ সহ- সভাপতি মারুফ হোসাইন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক  আরাফাত খান, ছাত্রলীগ নেতা শিমুল দেবনাথ, যুবলীগ নেতা আছাফুর রহমান প্রমুখ।

করোনা টেস্টের ফি ধার্য, পাটকল বন্ধ এবং জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে বাম জোটের অবস্থান কর্মসূচি পালিত

খবর বিজ্ঞপ্তি

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা, করোনা টেস্টের ফি ধার্য করা, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ করে পিপিপি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দেয়া এবং জ্বালানীর মূল্য বছরে যতবার ইচ্ছে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট, খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বামজোট খুলনা জেলা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা নেতা জনার্দন দত্ত নাণ্টু’র সভাপতিত্বে বেলা ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেনÑবাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি ডাঃ মনোজ দাশ, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. রুহুল আমিন, খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, জেলা নেতা মিজানুর রহমান বাবু, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ খুলনা জেলা সম্পাদকম-লীর সদস্য মোস্তফা খালিদ খসরু, কাজী দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা সদস্য কোহিনুর আক্তার কণা, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন খুলনা জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালী, টিইউসি খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মোল্লা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা সদস্য মোঃ কামাল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট খুলনা জেলা সদস্য মাহিলা আক্তার আনিকা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন খুলনা নগর সদস্য আরমান হোসেন প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারীকালে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতি আজ প্রকাশ হয়ে পড়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলো অপ্রতুল বরাদ্দের কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। স্বাস্থ্য খাতকে ব্যবসার পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। এই সংকটকালে সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ, অক্সিজেন সরবরাহে সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সর্বসাধারণের যাওয়ার সামর্থ নেই এবং হাসপাতালগুলো করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতেও নারাজ। এমতাবস্থায় করোনা টেন্টের ফি ধার্য করার সিদ্ধান্ত মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে এসেছে। এখন সকল নাগরিককেই টেস্টের আওতায় আনা প্রয়োজন। ফি ধার্য করলে শ্রমজীবী নি¤œবিত্ত মানুষ আর টেস্ট করতে আসবে না। তাতে মহামারী পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে। বক্তারা আরো বলেন, দেশে যখন শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, দারিদ্র্যতা বাড়ছে, সে সময় সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ করা এবং বছরে যতবার খুশি জ্বালানি তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জনস্বার্থ বিরোধী। স্কপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করা সম্ভব। অথচ সরকার তা না করে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে মিলগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে। আর এরজন্য মূল্য দিতে হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিককে। একই সাথে জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ১ বছরে একাধিকবার মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ার পরও সরকার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। নেতৃবৃন্দ সরকারের এই সকল অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা আইনজিবী সমিতির সভাপতি এবং বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সদস্য এ্যাড. মো: সাইফুল ইসলাম বর্তমানে অসুস্থ তার আশু রোগ মুক্তি কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব শেখ আশারাফ উজ জামান, কোষাধ্যক্ষ মাষ্টার বদিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি নিজামুর রহমান লালু, শাহিন জামান পন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম দাউদ আলী, মীনা আজিজুর রহমান, অধ্যাপক আবুল বাশার, শেখ আব্দুল্লাহ, মানমুরা জাকির খুকু মনি, যুগ্ম মহাসচিব মো: মনিরুজ্জামান রহিম, মিজানুর রহমান বাবু, মিজানুর রহমান জিয়া, আফজাল হোসেন রাজু, এ্যাড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, রকিব উদ্দিন ফারাজী, এস,এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান টিংকু, এস,এম, আক্তার উদ্দিন পান্নু, শেখ মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ এনামুল হাসান ডায়মন্ড, মো: খলিলুর রহমান, সরদার রবিউল ইসলাম, মো: মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো: আজম খান, এস,এম, দোলোয়ার হোসেন, রসু আক্তার, সরদার জিহাদুল ইসলাম প্রমুখ।

ফকিরহাটে লকডাউন শিথিল

ফকিরহাট প্রতিনিধি

ফকিরহাটে টানা চৌদ্দ দিনের লকডাউন তিনদিনের মাথায় এসে শিথিল হচ্ছে।সাপ্তাহিক হাটের দিন রবিবার ও বুধবার সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত বাজারের সকল দোকানপাট খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (০৩ জুলাই) থেকেই বলবৎ হবে এ সিদ্ধান্ত।সপ্তাহের অন্য পাঁচদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত শুধুমাত্র মাছ, কাঁচাবাজার ও মুদী দোকান খোলা রাখা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আগামী ১৩ই জুলাই পর্যন্ত চলাচল ও প্রয়োজনীয় কেনাকাটার তাগিদ মেটাতে বলা হয়েছে ফকিরহাটবাসীকে।

পরিস্থিতি ও প্রয়োজন বিবেচনায় বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত জরুরী সভার এ সিদ্ধান্তে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে- ব্যাবসায়ীসহ ফকিরহাট বাজার নির্ভর ক্রেতাসাধারণ।

সিটি মেয়রের অভিনন্দন

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেককে খুলনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে কেসিসি মেয়রকে শারিরীক দুরত্ব বজায় রেখে ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নবনির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে, অগ্রযাত্রা শুরু করেছেন জন প্রতিনিধিগণকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এর সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের মহামারী শুরু হয়েছে। এ সংকট মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। সিটি মেয়র বলেন দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকলকে শারিরীক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। সংকট উত্তরণের জন্য সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা একান্তভাবে প্রয়োজন। এসময় খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম, ডি এ বাবুল রানা, খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশসহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের মৃত্যু

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আব্দুল ওহাব নামে অবসরপ্রাপ্ত এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ( ১ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি। এরআগে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসায় গত শনিবার (২৭ জুন) তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ডা. আব্দুল ওহাব যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউপির হাঁসাডাঙা গ্রামের মৃত ফজলুল করিমের ছেলে।

হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক ৩৬ বছর টানা ঢাকা হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। এরপর তিনি ধানমন্ডি এলাকায় ডক্টরস ডায়াগনস্টিকস সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখতেন।

শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন মণিরামপুরের সন্তান ডা. আব্দুল ওহাব। করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসায় গত শনিবার তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত একটা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে ডা. আব্দুল ওহাবের মরদেহ মণিরামপুরে আনা হয়। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়, যোগ করেন চেয়ারম্যান মনি।

ডা. আব্দুল ওহাব মণিরামপুরের মানুষের কাছে গবিবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এই এলাকার কোন রোগী তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি বিনা পয়সায় তাদের সেবা দিয়েছেন।

এছাড়া ডাক্তার ওহাব নিজ এলাকায় কয়েকটি মসজিদ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি স্থানীয় নাগরঘোপ হাইস্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বুধবার রাতে সদর উপজেলার শালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য কবির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিল। এর আগে বেশ কয়েকবার রাতে ওই নারী ঘরে গেলেও সে দফা রক্ষা পায়। বুধবার রাত ১২ টার দিকে আবারো ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে হাতে নাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করে। ইউপি সদস্য কবির হোসেনের ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি এ ধরনের কর্মকান্ডের শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী। কাতলামীর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই আনিছুজ্জামান বলেন, গ্রামবাসী কবির মেম্বরকে আটক করে আমাদের কাছে দিয়েছে। তাকে নিয়ে থানায় যাচ্ছি।

ঝিনাইদহে উপসর্গ নিয়ে মৃত আরও ২ জনের করোনা পজেটিভ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত আরও ২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৬ জনে। সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, ২৮ জুন করোনার উপসর্গে মারা যান কালীগঞ্জ উপজেলার হেলাই গ্রামের মোস্তাক হোসেন ও ৩০ জুন মারা যান আব্দুর রশিদ।  বৃহষ্পতিবার তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায়  করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হলো। আর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালে ২৩৬ জন।

বিএনপি নেতা এ্যাড. মোহাম্মদ আলির পিতার ইন্তেকাল : বিএনপির শোক

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলি বাবুর পিতা শেখ আব্দুল রশিদ (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…..রাজিউন)। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ অবস্থায় শহীদ মেখ আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল বাদ যোহর গোয়ালখালি ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাযা এবং পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে গভীর শোক, শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা  করে  বিবৃতি প্রদান করেছেন  নগর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউলাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পরিবারের পাশে থাকবে খুলনা মহানগর বিএনপি

খবর বিজ্ঞপ্তি

বিনামুল্যে অক্সিজেন সেবা, খাদ্যসামগ্রী সহয়তা ও এ্যাম্বুলেন্স সহায়তাকে সামনে রেখে নগরীতে একটি কলসেন্টার তৈরী করে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় সাবেক মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে প্রধান সমন্বয়কারী করে করোনাকালীন মানবিক  চিকিৎসা  সহয়তা কমিটি গঠন করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি।

নগরীর ৫ থানা বিএনপি ও নগরীর সকল অঙ্গ সংগঠনের প্রধানদের সমন্বয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা মহানগর বিএনপির এ সেবা কার্যক্রম চারটি মোবাইল নম্বরে কল দিলে সেবা পাওয়া যাবে। আসাদুজ্জামান মুরাদ- ০১৭১১-৪৪৩৪৬৬, মহিবুজ্জামান কচি- ০১৭১১-৩৫১৮৭৩, শামসুজ্জামান চঞ্চল- ০১৭১৮-৭৬৭৯২৯ ও  সিরাজুল ইসলাম লিটন- ০১৭১১-২৮০২৩৪।

বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগর বিএনপির করোনা ভাইরাস সেলের আহবায়ক নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, ইউসুফ হারুন মজনু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, শরিফুল ইসলাম বাবু, আবু বক্কর ও শফিকুল ইসলাম শফি। সভা থেকে এ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণের সাথে থাকার আহবান জানানো হয়।

জেলা বিএনপি নেতা আবু হোসেন বাবুকে গ্রেফতারে মহানগর নেতৃবৃন্দের তীব্র নিন্দা

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা জেলা বিএনপি’র প্রথম যুগ্ম-সম্পাদক শেখ আবু হোসেন বাবুকে বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) সকালে নিজ বাড়ি থেকে  আটক করে নাশকতার অভিযোগে দায়েরকৃত পুরানো মামলায় গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, করোনা আক্রান্ত আবু হোসেন বাবু হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন; এ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে নিক্ষেপ করাটাকে চরম অমানবিক বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে জেলা বিএনপি নেতা আবু হোসেন বাবুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন তারা।

বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ভাষাসৈনিক এম নুরুল ইসলাম, নগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউলাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।

ট্রলির চাকা বিস্ফোরণ, ছিটকে পড়ে পিষ্ট হলেন চালক

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পাওয়ার ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে চালক আব্দুল মালেক (৫০) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বারাদি কামারপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মালেক একই উপজেলার দর্শনা সরাবাড়িয়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল মালেক তার পাওয়ার ট্রলি নিজেই চালিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার বারাদী এলাকা থেকে শিয়ালমারীর দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় কামারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ট্রলির চাকা বিষ্ফোরণ হয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি ট্রলি থেকে ছিটকে পড়ে পেছনের চাকায় পিষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ট্রলিচালক আব্দুল মালেক।

কালীগঞ্জে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে সাগর (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে কালীগঞ্জ উপজেলার ভাতঘরা গ্রামের বিলায়েত হোসেনের ছেলে। এবার সে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছিল। বৃহষ্পতিবার কালীগঞ্জ উপজেলার বুুজিডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাগর একটি ট্রাক্টরে করে  মাটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তার উপর বিদ্যুতের তার সরাতে গিয়ে বিুদ্যত স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে এ্যাড. আকবর আলীর সদস্যপদ বাতিল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্য্যনির্বাহী কমিটির এক সভা ২ জুলাই বেলা ১টায় অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ এম, শাহ আলম। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি এ্যাডঃ গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, যুগ্ম-সম্পাদক এ্যাডঃ মোস্তফা জামান সহ সকল কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য, বর্তমান কার্য্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এ্যাডঃ মোঃ আকবর আলী মামলা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পেশাগত নৈতিকতা লঙ্ঘন করায় তার সদস্যপদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয় এবং বর্তমান কার্য্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ পদ শুন্য ঘোষনা করা হয়। অনতিবিলম্বে উক্ত কোষাধ্যক্ষ পদে পুনঃনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়। আইনে বলা আছে এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নিয়মাবলী অনুযায়ী একজন আইনজীবী একটি মামলায় বাদী ও আসামী উভয়পক্ষে ওকালতি করতে পারবেন না। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য (বর্তমান কার্য্যনির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ) এ্যাডঃ আকবর আলী সাতক্ষীরা নারী ও শিশু আদালতের নারী শিশু ৬২/২০২০ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অপরদিকে একই আইনজীবী একই মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী এবং আসামীর জামিন আবেদন করে জামিন লাভ করে জামিননামা সম্পাদন করেছেন। বিষয়টি সাতক্ষীরা বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে ৭ জুন শো-কজ করেন। বিজ্ঞ আইনজীবী লিখিত জবাবে ৯ জুন জানান বাদী পক্ষের স্বাক্ষর তার নহে। একই জবাবে আইনজীবী তার কৃতকর্ম ও ভুলের জন্য ক্ষমা চান। বিষয়টি সুস্পষ্ট করার জন্য এবং বাদী পক্ষের স্বাক্ষর আইনজীবীর কিনা এবিষয়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কার্য্যনির্বাহী কমিটি ম্যাজিষ্ট্রেট কোট, জজ কোর্ট, নারী শিশু কোর্ট সহ অন্যান্য আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীর ১৫টি মামলা নথি, হাজিরা, জামিনের আবেদন ও জামিননামা পরীক্ষা নিরীক্ষা অন্তে আইনজীবীর স্বাক্ষর ও সীল পর্যালোচনা করে লিখিত ভাবে তদন্ত রিপোর্টে জানান যে, আইনজীবী তার জবাবে মিথ্যা কথা বলেছেন। কথিত নারী শিশু ৬২/২০২০ (ভার্চুয়াল কোর্ট ২০/২০২০) মামলার বাদী পক্ষের স্বাক্ষর এ্যাডঃ আকবর আলীর। সুতরাং উক্ত আইনজীবী সত্য গোপন করে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা জবাব দাখিল করেছেন। আইনজীবী সমিতির তদন্ত রিপোর্টদৃষ্টে উক্ত আইনজীবী পারফেক্ট ল প্রাকটিসের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং নিজ স্বার্থ হাসিলের ও আর্থিক লাভবানের জন্য আইনের অপপ্রয়োগ করিয়া সৃষ্ঠ বিচার কার্যক্রম ও আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিঘœ সৃষ্টি করা এবং আইনজীবী হিসাবে পেশাগত নৈতিকতা চরমভাবে লঙ্ঘন করার অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আইনজীবীর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় সচিব, সভাপতি, সহ-সভাপতি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বরাবর ১৮২ নং স্মারকে চিঠি প্রেরণ করেন মাননীয় বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাতক্ষীরা মহোদয়। পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নিকট গঠনতন্ত্র মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন। সেমোতাবেক অদ্য উক্ত মিটিংয়ে আইনজীবী সমিতির সদস্য এ্যাডঃ আকবর আলীর সদস্যপদ বাতিল হয়। কোষাধ্যক্ষ পদ শুন্য হয় এবং নারী শিশু ৬২/২০ মামলা সহ অপর একটি মামলা সংক্রান্ত বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তিনি উক্ত মামলা দুটি পরিচালনা করতে পারবেন না এবং আইনজীবী সমিতির ওকালতনামা সহ কোন কাগজপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।

প্রকাশ থাকে যে, ২০১০ সালের বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিআর ৯৬২/২০১০ (সাতক্ষীরা থানা) মামলায় এ্যাডঃ মোঃ আকবর আলী পেশাগত অসৎ আচরণ, অনৈতিক কার্য করায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি উক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিটিং সহ রেজুলেশন করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে পাঠিয়ে ছিলেন। আদালত চত্বর ও সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি নিকট থেকে জানা যায় উক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে ১ ডজন অভিযোগ আছে।

গিলাতলা নজরুল থিয়েটার কাবের পক্ষ থেকে ঘাটের যাত্রী ছাউনির সংস্কার

ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি

গিলাতলা নজরুল থিয়েটার কাবের উদ্যোগে গিলাতলা বাজার – সোনাতলা খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনির সংস্কারের কাজ সম্পন্ন। নজরুল থিয়েটার কাবের সাধারণ সম্পাদক খান রিয়াজুল ইসলাম রাজার তত্ত্বাবধানে দির্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে যাওয়া যাত্রী ছাউনীটির সংস্কারের কাজ করা হয়।  উল্লেখ্য নজরুল থিয়েটার কাব বিভিন্ন সময়ে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও অসহায় হতদ্ররীদ্রদের  সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। 

ফুলতলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ

ফুলতলা প্রতিনিধি

ফুলতলা উপজেলার কলেজ, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাংস্কৃতি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনও পারভীন সুলতানার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী জাফর উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র নন্দী , খাদ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাস, মহাসিন বিশ্বাস, প্রেমচাঁদ দাস, গোলাম মোস্তফা, সহকারী অধ্যাপক মোঃ নেছার উদ্দিন, প্রভাষক হাবিবুর রহমান, প্রভাষক প্রদ্যুৎ রুদ্ধ চৈতি প্রমুখ। 

মোড়েলগঞ্জে এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের দেওয়া মাস্ক বিতরণ

 মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতৃষপুত্র বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি’র পক্ষ থেকে মোড়েলগঞ্জের পুটিখালী ইউনিয়নে এক হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়নের মঙ্গলেরহাট বাজার এলাকায় এ সব মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৩নং পুটিখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল  কাদের, সাধারণ সম্পাদক  শাকিল হাওলাদার, অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান  শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুর রাজ্জাক, ছাএলীগ নেতা খলিলুর রহমান, শান্ত  খাঁনসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি  সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। উল্লেখ্য, মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় ১৬ হাজার মাস্ক দিয়েছেন সংসদ সদস্য।

ক্রিকেটার রুবেলের পার্কে হরিণ শাবকের মৃত্যু

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের লিজ নেওয়া বাগেরহাট শহরের পৌর পার্কে একটি হরিণ শাবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে পার্কের অভ্যন্তরে হরিণ শাবকটিকে মাটি চাপা দেয় পার্কের কর্মীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের অভ্যন্তরে হরিণ থাকার ঘরে শাবকটিকে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। শাবকটির মুখ থেকে লালা বের হচ্ছে দেখতে পেয়ে পার্কের কর্মীরা ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে জানান। পরে বাগেরহাট জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান পার্কে এসে সাবকটিকে মৃত ঘোষনা করেন।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন বলেন, সখের বসে সরকারি অনুমতি নিয়ে পার্কে হরিণ পালনের ব্যবস্থা করি। দর্শনার্থীদের সাথে আসা শিশুরা হরিণ দেখে আনন্দ পায়। আমি ৪টি হরিণ এনেছিলাম। কয়েকমাস আগে একটি হরিণ দুটো বাচ্চা দিয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ বাচ্চাটি আজ মারা গেল। মারা যাওয়া সাবকটির বয়স ছিল ৪ থেকে ৫ মাস। খুব সখের ও আদরের ছিল হরিণগুলো। বাচ্চাটি মারা যাওয়ায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছি।

রুবেল আরও বলেণ, মারা যাওয়া বাচ্চাটির পায়ে একটি লাল ফোলা চিহ্ন রয়েছে। আসলে কিভাবে কেন মারা গেল, তা বলতে পারছি না। জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানের পরামর্শে শাবকটিকে পার্কের এক পাশে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, হরিণের সাবকটি আমি পার্কে পৌছানোর আগেই মারা গেছে। আসলে কেন মারা গেছে তা নির্দৃষ্ট করে বলা যায় না।হরিণ খুব সেন্সেটিভ প্রানী। তাই যেকোন সমস্যায় মারা যেতে পারে। তবে পার্কের সাবকটি ফুড পয়জোনিংয়ের কারণে মারা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

দুই নামে ভাতা উত্তোলনকারীর মেয়ে ইউপি সদস্যকে বহিস্কারের সুপারিশ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের (৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড) নারী ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম লতাকে বহিস্কার ও অপসারণের সুপারিশ করেছে উপজেলা ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি। ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম লতা তার মায়ের নামে দুটি বিধবা ভাতার কার্ড ইস্যু করে ১৭ থেকে ২১ বছর ধরে টাকা উত্তোলন করছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে নেয়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুর আলীকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপজেলা ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান স্বপন কুমার দাসের কাছে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন।পরবর্তীতে উপজেলা ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সভায় ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম লতাকে বহিস্কার ও অপসারণের সুপারিশ করা হয়।এর সাথে অবৈধভাবে উত্তোলনকরা ৬৩ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য লতাকে চিঠি দিয়েছে উপজেলা ভাতা বাস্তবায়ন কমিটি। বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) তদন্ত রিপোর্টসহ উপজেলা ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুর আলী।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুর আলী বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পরে আমরা তদন্ত শুরু করি। তদন্তে ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম লতার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ প্রমানিত হয়। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারা মোতাবেক ইউপি সদস্য তাছলিমা বেগম লতাকে বহিস্কার ও অপসারণের সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সুপারিশ অণুযায়ী সকল কাগজপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠিয়েছি।

ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহানাজ পারভীন বলেন, তদন্ত কমিটি ও উপজেলা ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পাঠিয়েছি। স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

বাগেরহাটে ৬০টাকার কাঁচামরিচ ২০০টাকা!

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলায় এক সপ্তাহর ব্যবধানে ৬০টাকা থেকে লাফিয়ে ২০০টাকায় উঠে গেছে কাঁচামরিচের দাম। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে আরো বেশি দামে বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। অন্যান্য তরিতরকারির দামও বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০টাকা করে। এ অবস্থায় নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে জনমনে। বুধবার সকালে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার, পাঁচরাস্তা বাদল চত্বর ও রাজৈর খেয়াঘাট কঁচাবাজার ঘুরে দামের এমন তারতম্য দেখা গেছে। গত সপ্তাহের ৫০টাকার করোলা এখন ৭০টাকা, কাঁকরোল ৪০টাকা থেকে ৬০টাকা, পটোল ৩০টাকা থেকে ৫০টাকা, ধুনদল ৩৫টাকা থেকে ৫০টাকা, আলু ২০টাকা থেকে ৩৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. বাদল, শহিদুল খান, বাবুল হাওলাদার জানান, আগে স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ও মাঝের চরের চাষীদের উৎপাদিত কঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি পাইকারী কিনে বিক্রি করা হতো। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানিজমে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন ওইসব এলাকা থেকে কাঁচামাল আসছে না। যার ফলে খুলনা থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। একারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

স্থানীয় গণমাধ্যকর্মী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম আকন জানান, তরিতরকারির দাম বেড়ে নি¤œ আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তিনি মঙ্গলবার সকালে রায়েন্দা কাঁচাবাজার থেকে ১০০গ্রাম কাঁচামরিচ ২০টাকায়, এক কেজি কাঁকরোল ৬০টাকায়, ধুনদল ৬০টাকায়, করোলা ৭০টকায় কিনেছেন। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধিতে তিনি অবাক হয়েছেন।

শরণখোলার কাাঁচামালের পাইকারী ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু হাওলাদার বলেন, খুলনার মোকমেও সব মালের দাম বৃদ্ধি। এক সপ্তাহ আগে যে দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছি সেই দামে এখন পাইকারী কিনতে হচ্ছে। যে কারণে খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাগেরহাটে চাঞ্চল্যকর তানিয়া হত্যা মামলার আসামী আটক হয়নি!

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট চাঞ্চল্যকর ডায়াগনস্টিক নারী কর্মী ও কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তার (২২) হত্যা মমলার এক মাত্র আসামী সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকার রনজিতপুর গ্রামে অরবিন্দু দাসের কুখ্যাত লম্পট পুত্র প্রদীপ (৪২) কে ঘটনার প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আটক করতে পারেনী পুলিশ। ঘাতক লম্পট প্রদীপ কে পুলিশ আটক না করতে পারায় ও মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার পাবার জন্য কখন ও রামপাল থানার ওসির কাছে কখন ও বা বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছেন সন্তানহারা দরিদ্র মা (নিহত তানিয়ার মাতা) তহমিনা বেগম।

 অপর দিকে কুখ্যাত লম্পট পুত্র প্রদীপ কে পুলিশ আটক করতে না পারায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে চুলকাঠি ও মেয়ের বাবার বাড়ী রামপার এলাকার সচেতন মহল, তানিয়ার সহকর্মী, সহপাটি ও আত্তীয়স্বজনদের মনে। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের ১৪ ই জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টার সময় রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারের সুন্দরবন ডায়গনস্টিক সেন্টারের রিসিপশনিষ্ট তানিয়া(২২) নিখোঁজ হয়। তারপর অনেক খুজা খুজির পর ও তানিয়া আক্তারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।এ বছর ১৫ই জানুয়ারী প্রদীপ দাস একটি মোবাইল ফোন থেকে নিহতের বাবা ইউছুব আলীকে ফোন করে বলেন তোর মেয়েকে রূপসা সেতুর উপর ফেলে রেখেছি। সেই খবরের ভিত্তিতে নিহতের পরিবার অচেতন অবস্থায় তানিয়া-কে উদ্ধার করে খুলনার ১টি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ১৬ জানুয়ারী উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেকে ভর্তি করেন এবং ঐ দিনই ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা রামপাল উপজেলার বারূইপাড়া গ্রামের ইছুব আলী বাদী হয়ে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রদীপ দাশের বিরুদ্ধে ১টি মামলা দায়ের করেন, যার নং-০৭।তারপর খুমেকে হাসপাতালে আইসিইউ-তে ৫ দিন মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ২২ জানুয়ারী বুধবার সন্ধা ৭ টার সময় মৃত্যর কাছে হার মেনে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তানিয়া নিহত হবার পর পুলিশ ঐ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করে। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঘাতক প্রদীপ দাশ, চুলকাঠি এলাকার একজন চিহিৃত লম্পট ও প্রতারক। সে বিভিন্ন সময়ে নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার, এনজিও কর্মী সহ নানা পরিচায় দিয়ে প্রতারনা করেই চলছিল। এমনকি একাধিক নারী-কে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে তাদের নারীত্ব লুটে নেওয়ারও গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে।

নিহতের পিতা ইউসুফ আলী অভিযোগ করে বলেন, লম্পট প্রদীপ দুবছর আগে ফয়লা বাজার থেকে তার কন্যা তানিয়া-কে অপহরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে অচেতন করার ওষুধ প্রযোগ করে তাকে যৌন নির্যাতন করেই চলছিল। এই যৌন নির্যাতন করার ফলে তানিয়ার গর্ভে ১টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যে কন্যা সন্তানটি বর্তমানে প্রতারক প্রদীপ এর পিতা অরবিন্দু দাশ ও মাতা শান্তি রানী দাশের কাছে রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামপাল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার বলেন, প্রদীপ দাস কে আটকের জোর চেষ্টা চালাচ্ছি আর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রির্পোট হাতে পেলে আদালতে চার্সীট দাখিল করা হবে।

বাগেরহাটে  কোভিড-১৯ ভলান্টিয়ারদের ওরিয়েন্টেশন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলার ৫  ইউনিয়নের কোভিড-১৯ ভলান্টিয়ারদের কাজের অগ্রগতি নিয়ে  এক ওরিয়েন্টেশনের সভা করা হয়েছে। হাইসাওয়া জার্মান প্রকল্পের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফকিরহাট উপজেলা অফিসার্স কাবে অনুষ্টিত ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার  শাহানাজ পারভিন ও সহকারী কমিশনার ভুমি রহিমা সুলাতানা বুশরা। হাইসাওয়া প্রকল্প কর্মকর্তা  মাহাবুবুর রশিদের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রকল্প এলাকায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে  মাস্ক,  স্যানিটাইজার, সাবান  বিতারন ও জনসচেতনতায়  লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ করা  এবং জনসমাগম এলাকায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা বিষয়ে আলোচনা করেন প্রকল্পের  সরফরাজ আহম্মেদ খান ও  প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর বুলু চাকলাদার প্রমুখ।

দেবহাটায় ইজিবাইক চালক হত্যার ঘটনায় আদালতে ২ আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

কে.এম রেজাউল করিম, দেবহাটা

দেবহাটায় চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক হত্যার ঘটনায় আদালতে ২ আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিলাস মন্ডলের কাছে নিহত ইজিবাইক চালক মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ও রাবেয়ার প্রেমিক উপজেলার কামটা গ্রামের ওহাব সরদারের ছেলে সাইদুর রহমান রাজু পৃথক পৃথকভাবে ১৬৪ ধারা মতে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দীতে কেন, কি কারনে, কোথায় আর কিভাবে মনিরুলকে ঠান্ডা মাথায় প্লানিং করে খুন করা হয়েছে তার প্রকাশ পেয়েছে। মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়ার সাশে রাজুর অবৈধ সম্পর্কের কারনে তারা উভয়ে প্লানিং করে মনিরুলকে হত্যা করেছে বলে তারা আদালতকে জানিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র জানান, মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে জানিয়েছে, মনিরুলের বন্ধু রাজু তাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার সূত্র ধরে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হলে রাজু রাবেয়াকে বিয়ে করার কথা বলে। কিন্তু রাবেয়া তার স্বামী থাকতে তার সাথে বিয়ে করা সম্ভব নয় জানায়। গত ২৫ জুন ২০২০ ইং তারিখে ভোরে সাংসারিক বিরোধে মনিরুল রাবেয়াকে মারপিট করলে সকাল ১০ টার দিকে রাবেয়া রাজুর গাজীরহাট বাজরে যেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মনিরুল কর্তৃক তাকে মারপিটের কথা জানায়। এতে রাজু প্রচন্ড রেগে গিয়ে ঐদিনই মনিরুলকে হত্যা করার কথা জানায়। পরে তাদের প্লানিং মতো রাজু সন্ধ্যার সময় রাবেয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে মনিরুলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে দেবহাটায় যেয়ে মনিরুলকে হত্যা করে। ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র আরো জানান, এছাড়া সাইদুর রহমান রাজু তার ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দীতে বলেছে, রমজান নামে একজনকে সাথে নিয়ে সে দেবহাটাতে আসে। রমজান মনিরুলের ইজিবাইকে যায় আর রাজু মোটর সাইকেলে করে দেবহাটায় যেয়ে বৌদির দোকানের সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। আগে থেকে রাজু দড়ি কিনে কাছে রেখে দেয়। পরে তারা এক হয়ে মনিরুলের ইজিবাইকে সখিপুরের দিকে আসার সময় সখিপুরের চাতালের কাছে এসে পিছন দিক থেকে দড়ির ফাস দিয়ে ২ জনে মিলে জোরে টান দেয়। এতে মনিরুল হাত পা ছোটাছুটি করতে থাকলে একপর্যায়ে হাত পা নিথর হয়ে পড়লে রাজু ইজিবাইক থেকে দ্রুত নেমে সখিপুরের দিকে পায়ে হেটে যাওয়ার সময় একটি ব্যাটারি ভ্যানে করে সখিপুরে চলে যায়। সখিপুর মোড় থেকে সে মোটর সাইকেলে গাজীরহাট চলে যায়। যাওয়ার সময় রাজু রমজানকে বলে যায়, যেহেতু এলাকাটা তার তাই লোকজন তাকে চিনে ফেলতে পারে। রমজান যা পারে তাই করে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করার কথা বলে। পরে রমজান মনিরুলের লাশটা রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। ওসি (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার মৈত্র আরো জানান, মামলার তদন্ত এখনো চলমান। যতটুকু কু উদঘাটন করা হয়েছে তার থেকে প্রতিয়মান হত্যাটি প্রেমঘটিত কারনে পূর্ব পরিকল্পিত। তবে তদন্ত এখনো অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ২৬ জুন ২০২০ ইং তারিখ ভোরে দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইসমাঈল গাজীর ছেলে ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলাম (৩৩) এর লাশ উদ্ধার করে দেবহাটা থানা পুলিশ।

কেশবপুরে মেছো বাঘকে পিটিয়ে হত্যা

আলমগীর হোসেন,কেশবপুর

তিন মাসের ব্যবধানে যশোরের কেশবপুরে আবারও একটি বিলুপ্তপ্রায় মেছো বাঘকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের বরণডালী গ্রামে বুধবার রাতে।

এলাকাবাসী জানায়, খাদ্যের সন্ধানে আসা বিলুপ্তপ্রায় একটি মেছো বাঘ বরণডালী গ্রামের মিরেরডাঙ্গায় বসবাসকারী আব্দুল কুদ্দুসের গোয়াল ঘরে ছাগল খাওয়ার জন্য হানা দেয়। এ সময় কুকুরের ডাকাডাকিতে বাড়ির মালিক কুদ্দুসের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন বাড়ির মালিকের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে। এর মধ্যে আরও ৪-৫টি কুকুর একত্রিত হয়ে বাঘটিকে তাড়া করে। ওই সময় গ্রামবাসী পিছু নিয়ে বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের বাড়িতে একটি মেছো বাঘ ছাগল খেতে এলে একদল কুকুর বাঘটিকে ঘিরে ফেলে। পরবর্তীতে গ্রামের লোকজন বাঘটিকে আঘাত করলে মারা যায়। পরে মৃত পুরুষ মেছো বাঘকে মাটিতে গর্ত করে পুতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ৩ মাস আগে ওই এলাকায় আরও একটি মেছো বাঘকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল মোনায়েম হোসেন বলেন, বিষয়টি তাদেরকে কেউ জানায়নি। খবর নিয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবেক অর্থ সচিব ও শিল্প ব্যংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আর নেই

দিঘলিয়া প্রতিনিধি

সাবেক অর্থ সচিব ও শিল্প ব্যংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী বি এ হামিদ গত বুধবার ঢাকা একটি হাসপাতাল ভ্রেন ষ্টোক করে ইন্তেকাল করেন ।(ইন্নালিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১  বছর। তিনি এক পুত্র ও ১ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ১৯৩৯ সালের ১৭ নভেম্বর  উপজেলার পানিগাতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ফাতেমা মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যাল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে বি এ হামিদ ট্যাস্টের  কবরখানায় মরহুমের লাশ দাফন করা হয়।

তিনি ফাতেমা মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যাল ,শিরিনা হামিদ নাসিং কলেজ,শাহিদাতুননেছা কারিগরি, হাসিনিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বি এ হামিদ ট্যান্সসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্টান করেন।, বি এ হামিদ ট্যাস্ট  ফান্ড থেকে পানিগাতী গ্রামের ২শত বয়স্কদের প্রতিমাসে বয়স্ক ভাতা প্রদান করতেন ।

মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে  বিবৃতি প্রদান করেছেন সাবেক দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল, ফাতেমা মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোল্লা সাজ্জাদুল ইসলাম ।

ফটো সাংবাদিক শাহ আলম-এর মৃত্যুতে যুব ইউনিয়নের শোক ও সমবেদনা

খবর বিজ্ঞপ্তি

সিনিয়র ফটো সাংবাদিক হাকিম শাহ আলম-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেনÑবাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালী, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জয়ন্ত মুখার্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক জামসিদ হাসান জিকু, যুবনেতা আফজাল হোসেন রাজু, এড. খান আজরফ হোসেন মামুন, ধীমান বিশ্বাস, তুষার বর্মণ, রিয়াসাত আলী রিয়াজ, ডাঃ গৌরাঙ্গ সমাদ্দার, মিহির সরকার, উজ্জল পাল, অমল ম-ল, আজিজুল ইসলাম, প্লাবন পাল পবন, বাবুল শরীফ বাবু, উজ্জ্বল বিশ্বাস, জামাল হোসেন, নিশিকান্ত ফৌজদার, শঙ্কর ম-ল, বনমালী বৈদ্য, সুখলাল সানা প্রমুখ।

ইনসাব-এর প্রচার সম্পাদক রফিক আকনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা

খবর বিজ্ঞপ্তি

ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব), খুলনা’র প্রচার সম্পাদক রফিক আকন (রাঙ্গা ভাই)-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেনÑইনসাব-এর আইন উপদেষ্টা এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, ইনসাব-এর খুলনা জেলা সভাপতি শেখ হাসান আলী শওকত, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, ইনসাব নেতা সোহেল রানা, লিয়াকত হোসেন, লিটন বেপারী, মোঃ আজম, মোঃ রাজু, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ রফিক আকনের মৃত্যু সংবাদ শুনে তাঁর পরিবারের কাছে যান ও তাদের সান্ত¦না প্রদান করেন।

উপকূলীয় মানুষের অধিকার আদায়ে কয়রায় গঠিত হলো অধিপরামর্শক ফোরাম

কয়রা প্রতিনিধি

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্র্ণ যেখানে, ক্রমবর্ধমান হারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাড়ছে। সাইকোন, জলোচ্ছাস, বেড়ীবাঁধ ভাঙন, অধিক বৃষ্টিপাত, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, খরা ও লবনাক্ততা বৃদ্ধি ইত্যাদি নিত্যদিনের সঙ্গী। উপকূলীয় এলাকার জনগন বিভিন্ন সময়ে তাদের স্থানীয় সমস্যা নিয়ে দাবী উঠালেও উপকূলীয় জনগণের সমস্যা সমাধানে সেটা তেমন কোন ভূমিকা রাখেনি। উপকূলীয় এলাকার জনগনের দাবী স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে তুলে ধরার জন্য ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড এর সহযোগিতায় লিডার্স বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা “জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগনের জীবন-জীবিকা নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ কার্যক্রমের” উদ্যোগে লিডার্স কয়রা জলবায়ু পরিষদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৩০ জুন ২০২০ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০ টায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অধিপরার্শক ফোরাম গঠন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব কেরামত আলী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ফোরাম গঠন সভায় সকলের সম্মতিক্রমে জনাব মোঃ শাহাবাজ আলীকে আহবায়ক, সাংবাদিক জনাব হারুন অর রশিদ এবং নিলীমা চক্রবর্তীকে যৌথভাবে যুগ্ম আহবায়ক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত কমিটিতে মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার জনাব কেরামত আলী, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, জনাব চম্পাবতী তরফদার, জনাব আমেনা আক্তার ও জনাব শাহজাহান সিরাজকে সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। উক্ত অধিপরার্শক ফোরাম গঠন সভায় উপস্থিত ছিলেন লিডার্স এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব মোঃ সুলতানুজ্জামান ও সিরাজুল ইসলাম।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খালিশপুর থানা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

খবর বিজ্ঞপ্তি

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায়,  জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খালিশপুর থানা শাখার সভাপতি মুফতী আবু সালেহ এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুফতী জাকির আশরাফ এর পরিচালনায় গোয়ালখালী মাদ্রাসায় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল। প্রধান বক্তা ছিলেন আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী গোলামুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুফতী আব্দুর রহিম, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া। উপস্থিত ছিলেন মুফতী আলী আহমাদ, মুফতী রশিদ আহমাদ, মুফতী জাকির হুসাইন, মাওলানা আনওয়ারুল আজম, মাওলানা ইলিয়াস মাঞ্জুরী, মুফতী মাহমুদুল হাসান, মুফতী জাহিদুল ইসলাম হক্কানি, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মুফতী ইসহাক ফরিদী, মাওলানা নাসির উদ্দীন, মুফতী খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুর সত্তার, মাওলানা নাজমুস সাআদাত, মাওলানা হুসাইন আহমদ, মুফতী নূরুল আমীন, হাফেজ কাওছার আহমাদ, মাওলানা তাউহিদুল ইসলাম, মুফতী সা’আদ আহমাদ, মুফতী আব্দুল আজীম, মুফতী আবুল কাশেম, মাওলানা হাসিবুর রহমান, মুফতী মাছুম বিল্লাহ সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম গণ উপস্থিত ছিলেন। করোনা সংক্রমণে ওলামায়ে কেরাম ও ইমামদের করনীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা  দেওয়া হয়।

শরণখোলায় নারী ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

শরণখোলা (বগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ

শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আরিফুন্নাহার বিউটির বিরুদ্ধে ফেয়ার প্রাইজের চাল আত্মসাতের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন তিনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রতিপক্ষ মোসাঃ নাছিমা বেগম তাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য তুলে ধরেন।

আরিফুন্নাহার বিউটি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নাছিমা বেগম পরাজিত হয়ে হিংসাত্বক মনোভাব নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা-কাল্পনিক ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে যে সব সুবিধাভোগীর চাল আত্মসাতের কথা বলা হয়েছে তারা প্রতিমাসে চাল উত্তোলন করে ভোগ করেছেন। যার প্রমাণ হিসেবে ওই সকল সুবিধাভোগীরা লিখিত প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে চাল গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমাজে ও আমার নির্বাচনী এলাকায় হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে ।

এব্যাপারে সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী যারা একাধিক সরকারী সহায়তা পায় তাদের নাম ফেয়ার প্রাইজের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে যাদের কার্ড নাই তাদের নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে চাল দেয়া হচ্ছে। এখানে ইউপি সদস্যের কোন দোষ নেই।

মণিরামপুরে ফের সাত জনের করোনা সনাক্ত

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মণিরামপুরে আবারো একই দিনে নতুন সাতজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে এই তথ্য জানানো হয়। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে একযোগে মণিরামপুরে সাত জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এই নিয়ে মণিরামপুরে করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৩৮।

ডা. শুভ্রা বলেন, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসা সাতজনের সবাই জ্বর বা সদি কাঁশি উপসর্গ নিয়ে গত ২৮,২৯ ও ৩০ জুন মণিরামপুর হাসপাতালে এসে নমুনা দেন। পরে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে নমুনাগুলো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তাদের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

আক্রান্ত সাতজন হলেন, মণিরামপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্টাফ সুচন্দা খাতুন, হাসপাতালের সামনের বাসিন্দা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান সিদ্দিকুর ইসলাম, হাকোবা গ্রামের মিলন কু-ু, খানপুর গ্রামের জুলফিকার আলী, পাতন গ্রামের বজলুর রহমান, উত্তর লাউড়ী গ্রামের আবু সাইদ ও জুড়ানপুর গ্রামের সুসান্ত দাস।

ড. শুভ্রা বলেন, নতুন আক্রান্ত সাত জনের সাথে কথা হয়েছে। তারা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে সুস্থ আছেন। তাদের সকলকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।এছাড়া আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করার জন্য তাদের নাম ঠিকানা উপজেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে।

করোনা পরীক্ষা করার জন্য এই পর্যন্ত মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ২৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া এই উপজেলার অনেকেই যশোর সদর হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নমুনা দিয়েছেন। তারমধ্যে এই উপজেলায় মোট ৩৮ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ইতোমধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।

খুলনায় আ. লীগ নেতার সুস্থতা কামনায় মৎস্যজীবী লীগের বিবৃতি

খবর বিজ্ঞপ্তি :

খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাঁর সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দেন খুলনা জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ। বিবৃতিতে তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন মৎস্যজীবী লীগের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন), সহসভাপতি মো. রাজু আহমেদ, কাজী তারিক আহমেদ, বিকাশ চন্দ্র বিশ^াস, মো. বাহাদুর শেখ, রাশিদুল হাসান রাজা, মন্মথনাথ সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুজ্জামান লাবু, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সরোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক শেখ শাকিল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইফতেখার হাসান বাপ্পি, মো. মুরাদ হোসেন, শিক্ষা ও মানবকল্যাণ সম্পাদক জুলফাত উল্লাহ আগা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হাসান শিপার, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস,

আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ জলিল, সমবায় ও কৃষি সম্পাদক মোদাচ্ছের আলী মাস্টার, মহিলা বিষয় সম্পাদক বুলু রাণী ম-ল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক তপন কুমার পাল, উপদপ্তর সম্পাদক শেখ ওবায়দুর রহমান, কামরুল হাসান চাঁন, সাগর কুমার নাগ, সিরাজুল ইসলাম বেপারী, রিফাতুল জান্নাত, বঙ্কিম সাহা, শেখ মোস্তাক, তরিকুল ইসলাম, শেখ সবুজ, কাদির, সঞ্চিতা রায়, নিরুপমা গোলদার, কবিতা বেগম, সুফিয়া খাতুন, শেখ সাদ্দাম হোসেন (পাপ্পু), চন্দন রায়, ফাহিম ফেরদাউস, রাজু ম-ল, পৃথ্বিরাজ ম-ল, উৎপল দেবনাথ, পূর্ণিমা ম-ল, মমতাজ বেগম, হাসিনা, বন্যা প্রমূখ।

পূজা কমিটির সাবেক সভাপতি মৃত্যুতে শোক

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা আদি কালীবাড়ি সার্বজনীন পূজা কমিটির সাবেক সভাপতি ও জেলা জুয়েলারী মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি নিমাই চন্দ্র সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিৃবতি দিয়েছেন নের্তৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতার হচ্ছেন খুলনা বাজার কালীবাড়ী মন্দিরের মুরোহীত ও সেবায়েত শীব চন্দ্র ব্যনার্জী, নগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সাগর হালদার, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুন্ডু, সাবেক সভাপতি গোপীকৃষান মুন্ধড়া, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিয়া সামছুজ্জামান স্বপন, সুব্রত হালদার তপা, বিকাশ সাহা, দেবাষীশ কর্মকার, উজ্জ্বল ব্যানার্জী, সুশান্ত ব্যানার্জী, স্বপন সাহা, পলাশ সাহা, দীলিপ সাহা, ননী গোপাল সাহা, স্বপন সরকার, তপন সাহা, মনোরঞ্জন সাহা, অনবিন্দু সাহা, শরৎ মুন্ধরা, মুখেশ রাম, বিকাশ সাহা মদন, তরুন রায় শিবু, তোতন হালদার, রাজু শীল, সোহাগ দেওয়ান, আকাশ ব্যানাজী, ইন্দ্রজিত কুন্ডু গোপাল, রতন দেবনাথ, দিলীপ সাহানী, বিপ্রদাশ, চিত্তদাস, নারায়ন সাহা, রুপান দে, শংকর ঘোষ, ভবেশ সাহা, সৌরভ হাজারা, দেবাশীষ সরকার ভোলা ও বাবুল বিশ্বাস।

নেতৃবৃন্দ নিমাই চন্দ্র সরকারের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।