সার্বিক বন্যা-পরিস্থিতি স্থিতিশীল : ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত

3
Spread the love

খুলনাঞ্চল রিপোর্ট

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে টাঙ্গাইল,মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সরকারিভাবে বন্যাকবলিত দূর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। বগুড়ায় সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি গত ১২ ঘন্টায় (বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ২ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে আজ বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছিল। সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও শাল্লা উপজেলার নি¤œাঞ্চল নতুন করে বন্যা প্লাবিত হয়েছে। কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়িঢলে কালণী নদীর পানি বিপদসীমার ১৮সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পাশাপাশি সোমবার দিবাগত রাত থেকে হাওরের পানি উপচে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

দিরাই পৌরসভাসহ শাল্লা ও দিরাই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে বন্যার পানি উঠেছে। ভেসে গেছে বেশকিছু মৎস্য চাষের পুকুরের মাছ। এদিকে ব্রক্ষ্মপুত্র ও যমুনা অববাহিকার পানি স্থিতিশীল রয়েছে । তবে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

সেখানে যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় চরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে না। তবে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে যাতে কোনো প্রকার ক্ষতি না হয়,সেজন্য স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা কড়া নজর রাখছেন । বানভাসী মানুষের দুর্দশা লাঘবে জেলা ত্রাণ ও পর্নর্বাসন কার্যালয় থেকে ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ, মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার বিকাল ৬ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সারিযাকান্দি পয়েন্টে তা ২ সেন্টিমিটার কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে।

জেলার দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বেশকিছু স্থান নতুন করে বন্যা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েকে হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি। বাড়িতে পানি উঠায় কিছু পরিবার এসব এলাকার বিদ্যালয়ে স্থাপিত আশ্রয় কেন্দ্রে রাত কাটাচ্ছে।

দিরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সফি উল্লাহ জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য জিআর’র ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।