বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফ গুলিতে মাদক ব্যবসায়ি নিহত

2
Spread the love

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ

বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর সীমান্ত থেকে মোঃ রিয়া নামে এক বাংলাদেশী মাদক ব্যবসায়ির বিএসএফ এর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় লাশের পাশ থেকে প্রায় ৬-৭ কেজির মত এক টুপলা গাজাও উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল বিজিবির টুআইসি মেজর নজরুল ইসলাম ও বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান পরিদর্শন করেছেন।

শুকবার সকাল ১০ টার সময় লাশটি উদ্ধার করে। রিয়া বেনাপোল পোর্ট থানার বাহদুপুর গ্রামের কাঠু মোড়লের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায় রিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ি। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে। সে রাত্রে এখানে বিজিবি টহলে থাকা সত্বেও কি ভাবে গাঁজা আনতে যায়। বিজিবির সহ সহযোগিতায় এই সীমান্তে গাজা ও ফেনসিডিল এর ব্যবসা হয় রাত্রের অন্ধকারে।

স্থানীয় শাহরিয়ার হোসেন প্রান্ত বলেন, রিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ি । তার নামে এর আগে থানায় কমপক্ষে দুই তিনটা মাদক মামলা রয়েছে। রিয়ার বাবা কাঠু মোড়ল বলেন আমরা তাকে অনেকবার নিশেধ করেছি সে নিশেধ শোনে না। সে গাঁজার মহাজনের একজন বহনকারী হিসাবে যায়। গাঁজার মহাজন কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জানি না।

বিজিবি জানায় রাত সাড়ে তিনটার সময় বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে। টহল পার্টি গুলির শব্দে বাহাদুরপুর সীমান্তের ২৬-থ্রি- টি- মেইন পিলার থেকে ১৪০ গজ দুরে যেয়ে দেখে গলায় গুলিবিব্ধ এক যুবকের লাশ পড়ে রয়েছে।

ধান্যখোলা ক্যাম্পের সুবেদার ছরোয়ার এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কিছু বলার নেই। যা শুনার তা টুআইসি স্যারের কাছে শোনেন। আপনি এ ক্যাম্পের দায়িত্ব আছেন বলতে পারবেন না আবার আপানার এলাকায় ঘটনা ঘটেছে যশোর থেকে টুআইসি কি ভাবে বলবে এ প্রশ্নে তিনি বলেন আমার নিশেধ আছে আমি কিছু বলতে পারব না।

ধান্যখোলা সীমান্তে লাশ দেখতে আসা হাজার হাজার জনগন বলেন, মাঠের মধ্যে একেবারে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত রাত্রে বিজিবি টহল দেয়। কিভাবে সেই পথে গাজা আসে। নিশ্চয় বিজিবির সহযোগিতা ছাড়া চোরাকারবারি সম্ভব না। তবে স্থানীয়রা বিজিবির ভয়ে তাদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পেয়ে বলে আমাদের নাম প্রকাশ করলে রাত্রে বিজিবি আমাদের ধরে নিয়ে ফেনসিডিল দিয়ে চালান দিবে।

ঘটনাস্থলে লাশের ও মাদকদ্রব্যর ছবি তুলতে গেলে বিজিবি বার বার বাধা দেয়। এই বাধার কারনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার কয়েকজন যুবক বলেন রিয়া গাজা আনাতে যায় বিজিবির সাথে চুক্তিতে। এর জন্য বিজিবির হয়ত ছবি নিতে দিচ্ছে না।

৪৯ বিজিবি টুআইসি বলেন কিছু জানতে চাইলে আপনারা সিও স্যারের সাথে কথা বলেন। আমি কিছু বলতে পারব না।

বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মাসুম বলেন, লাশের পাশে যখন গাজা পাওয়া গেছে তখন সে একজন মাদক ব্যবসায়ি হিসাবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।  লাশ উদ্ধার করে যশোর মর্গে ময়না তদন্তর জন্য পাঠানো হযেছে।

এ ঘটনায় রিয়ার বাড়ি যেয়ে দেখা যায় রিয়ার মা বাবা আতœীয় স্বজনের কান্নায় আকাশবাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।