দিঘলিয়া প্রতিনিধি:
গতকাল বিকাল ৪.০০ টায় ষ্টার জুট মিলের ১ নং গেটে শ্রমিকদের পাওনাদি নিয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক এর সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ হেলাল হোসেন জানান শ্রমিকদের আগামী এক সপ্তাহের ভিতর বকেয়া সব মজুরী প্রদান করা হবে, সেপ্টেম্বর ২০২০ এর ভিতর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা-২৬ এর উপধারা (৩) অনুযায়ী নোটিশ মেয়াদের অর্থাৎ ৬০(ষাট) দিনের মজুরী, চাকুরী বিধি অনুযায়ী প্রাপ্য গ্রাচ্যুইটি (জাতীয় মজুরী কাঠামো- ২০১৫ অনুযায়ী), পি এফ তহবিলে জমাকৃত সমুদয় অর্থ, নির্ধারিত হারে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার সমুদয় অর্থ সরকার শ্রমিকদের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অর্ধেক টাকা নগদে পরিশোধ করা করা হবে। বাকী অর্ধেক সঞ্চয় পত্রের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকরা মাসিক ১১.০৪% হারে প্রতি তিন মাস অন্তর একবার করে মুনাফা উওোলন করতে পরবেন। দুই (২) ল টাকা বা তার কম প্রাপ্য শ্রমিকরা এককালীন টাকা পাবেন। এছাড়াও সরকার পরবর্ততে ব্যাক্তি মালিকানা ও সরকারের যৌথ অংশীদারিত্বে মিল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। মিল চালু করলে কর্মম শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ও জানান।

এছাড়া মিলের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় চালু থাকবে বলে জেলা প্রশাসক মহদয় জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ হেলাল হোসেন, জেলা পুলিশসুপার মোঃ শফিউল্লাহ বি পি এম, খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাফিজ আল আসাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খুলনা এস এম রাজু আহম্মেদ, ষ্টার জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোল্যা আকরাম হোসেন, সেনহাটী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও

সাবেক শ্রমিক নেতা গাজী জিয়াউর রহমান, ষ্টার জুটমিলের শ্রমিক ইউনিয়নে সাধারন সম্পাদক আঃ মান্নান, সাবেক প্রেসিডেন্ট এস এম গোলাম রহমান, সাবেক শ্রমিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আজগর আলী, মিলের শ্রমিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শ্রমিকরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টিমুখ করেন।