আসাদুজ্জামান ইমন, ঢাকা
চলতি মৌসুমে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছিল। এ বছর আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন।
বুধবার (১ জুলাই) কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন। াউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে সরকারি সহায়তা হিসেবে কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগণ করোনার দুর্যোগের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সহায়তা করেছেন। পাশাপাশি, যথাসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবহাওয়া আবাদের অনুকূলে ছিল এবং বোরো ধানের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে আমন আবাদের প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫৯ লাখ হেক্টর এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৫৬ লাখ মেট্রিক টন। আমন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কম ফলনশীল জাতের আবাদ কমিয়ে আধুনিক/উফশী জাতের সম্প্রসারণ ও হাইব্রিড জাতের এলাকা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। এর সাথে মানসম্পন্ন বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, সুষম সারের নিশ্চয়তা, পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা, সেচ খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আমনের উৎপাদন বাড়াতে এবারই সরকার প্রথম বীজে ভর্তুকি দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিএডিসির ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আমন ধানবীজ চাষি পর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। বিএডিসি তাদের ঘোষিত নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ১০ টাকা কম দামে উফশী আমন ধানবীজ ও হাইব্রিডের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ৫০ টাকা কম দামে চাষি পর্যায়ে বীজ বিক্রি করেছে।
