সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতায় নামার চেষ্টা করলে রক্ষা নেই: র্যাব ডিজি
সাতক্ষীরায় রেঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩
স্টাফ রিপোর্টার
সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতায় নামার চেষ্টা করলে কেউ পার পাবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন র্যাবের নতুন মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পিপিএম, বিপিএম। গতকাল রবিবার দুপুরে নগরীর র্যাব-৬’র কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সকালে হেলিকপ্টারে করে তিনি খুলনায় পৌঁছান। এদিকে ২৫জুন থেকে ২৮ জুন সকাল সাতটা পর্যন্ত টানা ৫৭ ঘণ্টা সুন্দরবনে র্যাব-৬ সদস্যদের সঙ্গে নব্য বনদস্যুদের গোলাগুলি হয়েছে। এতে তিন বনদস্যু নিহত হন। পাঁচ বনদস্যুকে গ্রেফতার করে র্যাব। মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত দু’জন জেলেকেও উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধে দু’জন র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। বন্দুকযুদ্ধে নিহত দস্যুরা হলেন সাতক্ষীরার হরদহ এলাকার শরিফুল ইসলাম (২৪), আশাশুনি উপজেলার বসুখালীর হাবিবুর রহমান (২৪) ও অজ্ঞাত (২৫) একজন।
প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, র্যাবের এ অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৩টি গুলি, ১৭টি গুলির খোসা এবং বিপুলসংখ্যক দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ট্রলার উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনার পরপরই র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে বাহিনীটির নতুন মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতায় কেউ নামার চেষ্টা করলে তাদের পরিণতি এরকমই হবে।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৩১মে মাস্টার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করার অগ্রযাত্রার সূচনা হয়। এরপর একে একে সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তিতে থাকা ৩২টি বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গীকার করে। সরকার তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে সহযোগিতা করে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের জীবিকায়ন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষা করতে এলিটফোর্স র্যাব সব সময় কাজ করে যাবে। সুন্দরবনের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যাতে নতুন করে কোন দস্যু বাহিনী গড়ে উঠতে না পারে, সেজন্য র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান র্যাব প্রধান।
র্যাব-৬’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ বলেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। সম্প্রতি সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জে দস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার গোয়েন্দা তথ্যেরভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তরের সহযোগিতায় গত ২৫ জুন সুন্দরবনের দশ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় কর্ডন করে র্যাব-৬ ‘কর্ডন অ্যান্ড সার্চ কম্বিং’অপারেশনে নামে। হেলিকপ্টারসহ দ্রুতগামি আধুনিক নৌযান ব্যবহার করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাবের আলাদা আলাদা টিম করে সুন্দরবনের গহীণে দুঃসাহসিক অভিযান চলে ২৮ জুন সকাল সাতটা পর্যন্ত টানা ৫৭ ঘন্টা। প্রেসব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ারসহ বাহিনীটির কর্মকর্তারা।
নগরীতে সাকের হত্যা মামলায় আপনভাইসহ গ্রেফতার ৭: ৪জন রিমান্ডে
স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর আহসান আহমেদ রোডের বাসিন্দা মো. হোসেন সাকের (৫৫) হত্যা মামলায় আপনভাইসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে গতকাল
রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের একদিন ও ৩জনের ২দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম। বাকী ৩জনকে জেলহাজতে প্রেরনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন নিহত সাকেরের বড় ভাই হাবিব হোসেন শাহিন (৬০), তার স্ত্রী হাসিনা হাবীব (৫৫), কেয়াটেকার সাইফুল ইসলাম (২১) ও সেকেন্দার (৪৮)। জেলহাজতে প্রেরিত আসামিরা হলেন শাহিনের ছেলে লামিম হোসেন (২১), ব্যবসায়ীক পার্টনার শরিফুল ইসলাম (৫৫) ও সোনাডাঙ্গাস্থ বাড়ির কেয়ারটেকার ফরহাদ (৪৪)। নিহত সাকের ওই এলাকার মৃত ডা. আলতাফ হোসেনের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (তদন্ত) দেবাশীষ রায় জানান, গত ২৪জুন সকালে নগরীর আহসান আহমেদ রোডের বাসিন্দা মো. হোসেন সাকের (৫৫) ‘র মৃতদেহ তার বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা। এরপর তারা লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করেন। এরপর ২৬জুন তার স্ত্রী স্বামীর মৃত্যু কারন জানতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের আবেদন করেন। একই সাথে সদর থানায় একটি জিডি করেন নিহতের স্ত্রী সাজিয়া আফরিন হোসেন। এঘটনায় পুলিশ শনিবার ২৭জুন রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর সোয়া ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৭জনকে গ্রেফতার করে। রবিবার এঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
নগরীতে বাপ্পী হত্যা মামলার ১০আসামি গ্রেফতার: কারাগারে প্রেরণ
স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর খালিশপুরে গণপিটুনিতে নিহত বাপ্পী (২৮) হত্যা মামলার ১০আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম ১০ আসামিকেই কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন খালিশপুর ১নং বিহারী ক্যাম্পের আলমের ৩ছেলে মো. সুজন (২৬), মো. পলাশ (২৪), মো. সুমন (৩০), জাহিদের দু’ছেলে শাহিন (৩৫) ও ছেদি (২৩), ফারুকের ছেলে ফারমান (২৪), জামিল সরদারের ছেলে মঈন (২৫), নাছিমের ছেলে নওশাদ (২৫), কালুর ছেলে ইরফান (২০) ও ইব্রাহিমের ছেলে সেলিম (২৬)।
খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার জানান, খালিশপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল রবিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত১৬ জুন দুপুর ১টার দিকে মহানগরীর খালিশপুরের এক নম্বর বিহারী কলোনি এলাকায় বাপ্পী চাপাতি নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির ওপর হামলা চালান। এ সময় স্থানীয় লোকজন তার হাতের চাপাতি কেড়ে নিয়ে তাকে গণপিটুনি দেয়। এতে বাপ্পী গুরুতর আহত হন। পরে গত ১৮ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাপ্পী মারা যান। এদিনই বাপ্পীর স্ত্রী রানী খাতুন বাদী হয়ে খাীলশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং-৩, তাং-১৮/৬/২০।
নগরীতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ৬
স্টাফ রিপোর্টার
মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে
২ লিটার বাংলা মদ, ১০পিস ইয়াবা ও ৯৯০ গ্রাম গাঁজাসহ ৬জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন নগরীর লবণচরা হাজী মালেক কবরখানা রোডস্থ ভাসানীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত. আব্দুল খালেকের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (৪০), আড়ংঘাটা মোড়লপাড়ার মো, মোকছেদ আলীর ছেলে মো. রিপন (৩৭), আড়ংঘাটা উত্তরপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মাষ্টারের ছেলে মো. মইনুল ইসলাম মঈন (৪৭), দিঘলিয়া সেনহাটি স্টার ২নং গেটের সামনের বাসিন্দা মৃত. আব্দুর রহমান মুন্সীর ছেলে মো. ইলিয়াছ মিয়া (৩০), গোপালগঞ্জ জেলার মোকসুদপুর থানার বড় ভাটরা কারিকরপাড়ার মৃত. রশিদ ব্যাপারীর ছেলে মো. এরাদত ব্যাপারী (২৫) ও সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার মাছিয়াড়া গ্রামের মো. খোরশেদ বিশ্বাসেে ছেলে ফারুক বিশ্বাস (৩৫)।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) কানাই লাল সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মহানগর পুলিশ। এসময় ২ লিটার বাংলা মদ, ১০পিস ইয়াবা ও ৯৯০ গ্রাম গাঁজাসহ ৬জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ৯টি মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।
খুলনা ও বাগেরহাটে র্যাবের অভিযানে চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন জাবুসা চৌরাস্তা মোড় ও বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন কুমলাই গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪টি গরু, ২টি ট্রাক ও ৮টি পানির ড্রামসহ গরু চোরচক্রের ৫সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার গরু চোরচক্রের ৫সদস্য হলেন বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার শ্রীফলতলা গ্রামের মো. আব্দুল সালামের ছেলে মো. করিমল ইসলাম (২৪), তেলিখালী গ্রামের মো. শেখ আ. জব্বারের দু’ছেলে শেখ মিজানুর রহমান (২৯) ও মো. শেখ মাহমুদ (২৪), ফকিরহাট থানার বড় খাজুরা গ্রামের মো. আইয়ুব আলী মোড়লের ছেলে মো. তৌহিদুল ইসলাম (২৫) ও খুলনা জেলার রূপসা থানার আইজগাতি উত্তরপাড়ার মৃত. ওবায়দুরের ছেলে মো. হাসিবুল হাসান (৩৫)।
র্যাব-৬ জানায়, খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন জাবুসা চৌরাস্তা মোড় চেক পোষ্ট করাকালীন সময় র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল জানতে পারেন যে, কতিপয় চোরচক্রের সদস্যরা গরু চুরি করে ট্রাকে নিয়ে বাগেরহাটের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে আভিধানিক দল ২৭ জুন রাত সোয়া ১১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বেপরোয়াভাবে চলতে থাকা দুইটি ট্রাক থামতে সিগনাল দেওয়ার পর একটি ট্রাক ঘটনাস্থলে থামলে ট্রাকে থাকা চোরাইকৃত ১টি গরু ও ৫ ট পানির ড্রামসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর ট্রাকটি দ্রুত বাগেরহাটের দিকে চলে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আভিযানিক দলটি বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানাধীন কুমলাই গ্রামস্থ পবনতলা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ৩টি গরু ও ৩টি পানির ড্রামসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা পরস্পর যোগসাজসে খুলনা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জায়গা হতে গরু চুরি করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে রুপসা রামপাল থানায় পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।
ডুমুরিয়ায় জেলা ডিবির অভিযানে আঁধাকেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১
স্টাফ রিপোর্টার
ডুমুরিয়া থানাধীন মালতিয়া গ্রামস্থ টাওয়ার মোড়ে অভিযান চালিয়ে আঁধাকেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২৭জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী হলেন সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার জাতপুর গ্রামের আ. সামাদ বিশ্বাসের ছেলে মো. নাজমুল ইসলাম (৩৬)।
জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া জানান, ডুমুরিয়া থানাধীন মালতিয়া গ্রামস্থ টাওয়ার মোড়ে আমার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন এসআই রাজিউল আমিন। এসময় টাওয়ার মোড়স্থ কামরুলের মুদি দোকানের সামনে থেকে আঁধাকেজি গাঁজাসহ নাজমুল ইসলাম গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গিলাতলা দক্ষিণ পাড়ায় মহা শ্মশান এর উন্নয়ন মুলক কাজ পরিদর্শনে ইউপি চেয়ারম্যান
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের গিলাতলা দক্ষিণ পাড়া ৬ নং ওয়র্ডের শেখ সিমেন্ট সংলগ্ন মহা শ্মশান এর উন্নয়ন মুলক কাজ ২৮ জুন রবিবার সকাল ১০ টায় পরিদর্শন করেছেন আটরা গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম । পরিদর্শন কালে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম আগামী ডিসেম্বর – জানুয়ারীতে সরকারি ভাবে মহা শ্মশান এর সংস্কার কাজে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রতি দেন। এছাড়া তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যক্তিগত অর্থে ২০ বস্তা সিমেন্ট প্রদান করেন । এসময় উপস্থিত ছিলেন মহা শ্মশান কমিটির সভাপতি কমলেশ মজুমদার , সাধারণ সম্পাদক সুভাষ পাল, মিলন মজুমদার, খানজাহান আলী থানা হিন্দু,বৌদ্ধ ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মিহির রঞ্জন বিশ্বাস, গিলাতলা সাখাওয়াত মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস এম রাসেল । সুভাষ দত্ত, ইজাবুল মোল্লা, সোহরাব শেখ , আরিফ মোল্লা , মিন্টু দত্ত, পলাশ মজুমদার, অরুন পাল প্রমুখ।
কিস্তির সম্পুর্ণ টাকা না দিলে মাঠ কর্মিরা বাড়িতে বসে থাকে: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গিলাতলায় বিভিন্ন এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায়
ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধি
দেশের অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব ও ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহকদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী আইন , ২০০৬ এর ধারা ৯ (চ) ও ধারা ৪৮ এ প্রদত্ব ক্ষমতা বলে নির্দেশনা জারী করা হয় যে ৩০ জুন পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে চাপ প্রয়োগ করা যাবে না । কোভিড – ১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্থ এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দির্ঘায়ীত হওয়ার আশংকা দেখা দেওয়ায় শিল্প , সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্য়ক্রম পরিচালনা করতে পারছেনা । এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে গত ২৩ জুন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ন সচিব) লক্ষন চন্দ্র দেবনাথ সাক্ষরিত এক পত্র সকল এনজিও , বিভাগীয় কমিশনার , জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়। উল্লেখিত পত্রে নতুন করে আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের প্রাতদুভার্বের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের কিস্তিপরিশোধে বাধ্য করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু এসকল বিষয় কোন তোয়াক্কা করছেনা খানজাহান আলী থানা এলাকার গ্রামীন , ব্রাক, জাগরনি চক্র , আর আর এফ , দুস্থ স্বাস্থ সংস্থা , টিএমএস সহ বিভিন্ন এনজিও । গিলাতলা দক্ষিণ পাড়ার ক্ষুদ্র ঋন গ্রহিতা রুমিছা বেগম, মৎস ব্যাবসায়ি বাবু এবং ঋনগ্রহিতা ডলি বেগম বলেন, করোনার কারণে আমরা এনজিওর কাজ থেকে ঋণ নিয়ে কোন ব্যসায়ী ঠিক মতো ব্যবসা করতে পারেনি অথচ নতুন ঋন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এনজিও সংস্থা গুলি সুকৌশলে ঋনের কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে । টিএমএস এর শাখা ব্যাবস্থাপক ( ফুলবাড়ীগেট ) মোঃ জালাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা নতুন করে ঋণ বিতরণ করছি যার কারনে পুর্বের ঋণ পরিশোধের জন্য বাধ্যতামুলক টাকা আদায় করা হচ্ছে , তবে সদস্যরা জানান একথা মুখে বললেও করোনার পর থেকে এ পর্যন্ত কোন সদস্যকে টিএমএস নামক এনজিও নতুন ঋণ বিতরণ করা হয়নি। ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভিন সুলতানা বলেন এনজিও দের বার বার বলা হয়েছে কোন ঋণ গ্রহিতাকে চাপ দেওয়া যাবেনা, তারপরও যদি চাপ দেয়া হয় তাহলে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পেলে উক্ত এনজিওদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে ।
উপকূলীয় ১৬’শ জেলে পরিবারকে ত্রাণ বিতরণে সহায়তা প্রদান করল নৌবাহিনী
খবর বিজ্ঞপ্তি
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া এর তত্ত্বাবধানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে মোতায়েনকৃত নৌ কন্টিনজেন্ট বরগুনা জেলা সদর, পাথরঘাটা আমতলী ও তালতলী এলাকায় নিয়মিত সচেতনতামূলক টহল পরিচালনা করে। উপজেলাসমূহের বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সর্ম্পকিত ২০০টি লিফলেট বিতরণ করে। নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট পাথরঘাটা উপজেলায় ১৬০৫টি দরিদ্র জেলে পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে।
পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে কমপক্ষে ৩ ফুট সামাজিক দূরত্ব নিশ্চতকরণ, গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারী নীতিমালা অনুসরণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়ে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পর সকল বাজার, দোকান-পাট, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলকভাবে বন্ধ নিশ্চিত করছে নৌ কন্টিনজেন্ট। নৌবাহিনীর অপর একটি কন্টিনজেন্ট মোংলা উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এবং জনগণের সচেতনতার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার, বুড়িরডাঙ্গা, মিঠাখালী, চিলারহাট, হাসপাতাল চত্ত্বর ও ফেরিঘাট এলাকায় টহল পরিচালনা করে।
এসময় জনগণের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করে। এছাড়া মোংলা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ৮১৭টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার ও মামারঘাট এলাকার বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা প্রদান করে ।
তালায় উপজেলা প্রকৌশলী চিকিৎসকসহ ছয় জন করোনা আক্রান্ত
ইলিয়াস হোসেন, তালা
উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি),উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ছয় জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। করোনায় আক্রান্তরা হলেন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার (৩৬), অফিস সহকারী মোঃ হাফিজুর রহমান (৫৮), উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ মোল্যা (৫৮), দেলোয়ার হোসেন (৪৭), গতশুক্রবার নিহত ব্যবসায়ী বজলুর রহমান (৪৮) ও তার ছেলে রমাসুদুর রহমান (২০)। এরমধ্যে তালা হাসপাতালের করোনা পজিটিভ রিপোর্টের তালিকায় নাম থাকা দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি পাইকগাছা উপজেলায় বলে জানা গেছে। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জয়ন্ত সরকার (রবিবার) ২৮ জুন দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। এদিকে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামের (বর্তমানে তালা সদরে বসবাসরত) লুৎফর রহমান মোড়লের (৪৯) এর করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট হওয়ায় তার বাড়ি থেকে লকডাউন উঠিয়ে নেয়া হয়। এ নিয়ে তালা উপজেলা ৫ নারীসহ মোট ২৯ জন করোনা পজেটিভ রোগি সনাক্ত হলেও দুইনারীসহ ৫ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, রবিবার সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়রে (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে পাওয়া নমুনা রিপোর্ট ১৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ। এরমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, প্রকৌশলীসহ ৬ জন তালা উপজেলার।
মোংলা বন্দরে ফর্ককিপ চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলা বন্দর জেটিতে ফর্ককিপের চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম সন্তোষ মন্ডল (৩৫)। তার বাড়ী বাগেরহাটের রামপালে। রবিবার দুপুরে সন্তোষ জেটির ৯ নম্বর ইয়ার্ডে রং দিয়ে মার্কিংয়ের কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ করে কন্টেইনার বহনকারী একটি ফর্ককিক সেখানে তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী ট্রাফিক অফিসার নাসিরুল হক ওই শ্রমিককে দিয়ে জেটিতে দৈনিক মজুরীতে কাজ করাচ্ছিলেন। আর বন্দরের নিজস্ব ড্রাইভার মিজানুর রহমান টিটু ওই ফর্ককিপটি তখন চালাচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে বন্দরের সহকারী ট্রাফিক অফিসার নাসিরুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয় টেন্ডার ছাড়া সাধারণ বাহিরের শ্রমিক দিয়ে এ ধরণের (রং দিয়ে মার্কিং) কাজ করানো যায় কিনা! প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তো করানো যায়, তা না হলে কর্তৃপক্ষ করায় কিভাবে।
এ ঘটনায় বন্দরের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের ডেপুটি চীপ ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুবুর রহমান মিনা বলেন, জেটির অভ্যন্তরে এক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সোমবার কাজ শুরু করবেন। এরপর প্রতিবেদন পাওয়ার পর ফর্ককিপ চালক মিজানুর রহমান টিটুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত তাকে আমাদের নজরদারীতে রাখা হয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ফর্ককিপ চাপায় নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাইকগাছার সোলাদানায় করোনা আক্রান্ত ছবিরণনেসার বাড়িসহ ১০ বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন চেয়ারম্যান এনামুল হক
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে প্রথম করোনা আক্রান্ত লকডাউনে থাকা ছবিরণনেসা (৭২) বাড়ি সহ পার্শ্ববর্তী ১০ বাড়িতে ফলমুল ও খাবার দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক। রবিবার দুপুরে ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে ছবিরণনেসা সহ লকডাউনে থাকা ১০ বাড়ির লোকজনকে খোঁজখবর নিতে চাল, ডাল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হন চেয়ারম্যান এনামুল হক। এসময় তার সাথে ছিলেন, ইউপি সদস্য ঠাকুর দাশ সরদার, আনিছুর রহমান, কৃষি সহকারী মোঃ এনামুল হোসেন, নুরুল, আল-আমিন রেজা, গ্রাম আদালত সহকারী একরামুল হক সহ গ্রাম পুলিশবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন পূর্বে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তার রিপোর্টে পজেটিভ ধরা পড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার মঙ্গলবার রাতে সে করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। বুধবার সকালে থানা প্রশাসন ও সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান ছবিরণনেসাকে দেখতে যান। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান তাকে নিজ বাড়ীতে রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদানের কথা বলেন। একই সাথে তার আশে পাশের ১০ ঘর বাড়ীগুলো লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসেন এবং আশেপাশের ১০ ঘর বাড়ীগুলো লকডাউনে থাকায় ঔষধ, চাল, ডাল, তরকারী পরিবারের কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন।
মোংলায় দ্বিতীয় দফায় আরো ৫ জন করোনা রোগী সনাক্ত, এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৮
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় দ্বিতীয় দফায় আরো ৫ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর আগে প্রথম দফায় ৩ জন সনাক্ত হয়। এনিয়ে মোংলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জীবিতেষ বিশ্বাষ জানান, গত বৃহস্পতিবার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানের পর রবিবার সকালে আসা রিপোর্টে স্থায়ী বন্দর এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৫১), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৩) ও মেয়ে মেহেরুন মুনতাহা মালিহা (১৯) এর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এছাড়া ইপিজেড হসপিটালের ওয়ার্ড বয় রুহুল আমিন (৩০) এবং পৌর শহরের ময়লাপোতার মোড়ের আজিজুল হক (২২) এরও রিপোর্টে করোনা সনাক্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত রোগীরাও তাদের নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছেন। এদিকে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের বাড়ীঘর লকডাউন করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান। এ সময় মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ নৌবাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বুধবার প্রথম দফায় উপজেলার সোনাইলতলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নে দুইজন এবং পৌর শহরের বাতেন সড়কের একজনের করোনা সনাক্ত হয়।
খ্যাতনামা অধ্যাপক মুহম্মদ কায়কোবাদের ইন্তেকাল
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের প্রাক্তন সদস্য খুলনা বিএল কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব খ্যাতনামা শিক্ষবিদ প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদ রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় গগন বাবু রোডস্থ বাসায় বার্ধক্য জনিত কারনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে …রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মরদেহ বেলা ৩ টায় চাপাইনবাগঞ্জে নিজ গ্রামে দাফনের উদ্দেশ্যে স্বজনেরা নিয়ে রওনা হন। বাদ এশা নামাযে জানাযা শেষে সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। ষাটের দশকের এই কিংবদন্তিতুল্য অধ্যাপক ১৯৩৫ সালে তৎকালীন রাজশাহী জেলার চাপাইনবাবগঞ্জ মহকুমার দূর্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বিএল কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এই কলেজে প্রায় তিনি তিন দশকের বেশী সময় অধ্যাপনায় নিবেদিত ছিলেন। খুলনার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের প্রক্তন সদস্য এবং তাঁর পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি শিক্ষক হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মনে প্রাণে একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক। তিনি প্রগতিশীল আন্দোলন এবং সংস্কৃতির বিকাশে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেন। উপাচার্য তাঁর নিজের এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। অপরদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ তাঁর দীর্ঘদিনের জেষ্ঠ্য সহকর্মী শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদের মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস অনুরুপ শোক প্রকাশ করেছেন।
উপাচার্যের শোক: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনে কর্মরত ল্যাব হেলপার মোঃ সুজন দাঁড়িয়ার মাতা সুফিয়া বেগম রবিবার সকাল ১১ টায় হৃদযন্ত্রেরক্রিয়া বন্ধ হয়ে নগরীর জিন্নাহপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে …রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ৪ পুত্র ও ১ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বাদ আসর খুলনাস্থ হাজী আব্দুল মালেক কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে মরহুমার নামাযে জানাজা শেষে তাঁকে জিন্নাহপাড়া হাজী আব্দুল মালেক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনে কর্মরত ল্যাব হেলপার মোঃ সুজন দাঁড়িয়ার মাতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। অনুরূপভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, সাইটে স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান ড. মোঃ রাশেদুর রহমানসহ ডিসিপ্লিনের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি শোক প্রকাশ করেছেন।
যুবলীগ নেতা রাজ্জাকের শয্যাপাশে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু
খবর বিজ্ঞপ্তি
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মহানগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রাজ্জাক মল্লিককে দেখতে রবিবার (২৮ জুন) দুপুরে হাসপাতালে যান খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। এ সময় তিনি তার শয্যাপাশে কিছু সময় অবস্থান করেন, কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং তার আশু সুস্থতা কামনা করেন। এ সময় এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু’র সাথে ছিলেন খুলনা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন বাবু, জেলা যুবলীগ নেতা শামীম সরকার, উপাধ্যক্ষ এইচ এম নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক শিমুল দেবনাথ ও ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক মনি শংকর মন্ডল।
খুলনায় অনলাইন প্লাটফর্মে ডিজিটাল মেলা উপলক্ষে সেমিনার
তথ্য বিবরণী
খুলনায় ‘অনলাইন প্লাটফর্মে ডিজিটাল মেলা-২০২০’ উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিই হাতিয়ার’ শীর্ষক সেমিনার রবিবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট িি.িশযঁষহধ.মড়া.নফ -এ সোমবার উদ্বোধনের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রম ও সেবাসমূহ উপস্থাপন করা হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশে^ স্থবিরতা নেমে এসেছে। এই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে উন্নত দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশও তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে যাচ্ছে। খুলনা জেলাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘জরুরি চিকিৎসাসেবা খুলনা’ অ্যাপস, বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেলের আওতায় কর্মহীন মানুষদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিতে ‘ডোর টু ডোর’ অ্যাপস, ‘হাতের মুঠোয় কাঁচাবাজার’, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য ‘কৃষকের হাসি’, চাল কেনার জন্য ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপসসহ অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ইউটিউব চ্যানেল চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসকের সকল সেবা ও কার্যক্রমগুলোর তথ্য জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ মিডিয়া সেলের মাধ্যমে দ্রুত ও সহজে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দাপ্তরিক সভাগুলো জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগগুলো ইতোমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে।
সেমিনারে জুম অ্যাপের মাধ্যমে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হোসেন আলী খোন্দকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ইউসুপ আলী। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, খুলনা প্রেসকাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোঃ তকী ফয়সাল তালুকদার।
সেমিনারে জুম অ্যাপের মাধ্যমে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবালসহ খুলনা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ ৭৮ জন অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দের দাবি
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিসেবার পরিধি অত্যন্ত সীমিত ও নাজুক। এই অঞ্চলের মানুষ আধুনিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে করোনা মহামারিতে এ অঞ্চলের মানুষের উপলব্ধি আসছে। এ অঞ্চলের মানুষ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এবং সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না। কোন মারাত্মক রোগী আসলে যারা আত্মসংক্রমনে আছে তাদেরকে ঢাকায় প্রেরণ করতে হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত মূমূর্ষ রোগীদের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা, ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা, পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ’র ব্যবস্থা সরকারীভাবে একটিমাত্র আছে। অবিলম্বে জরুরী ভিত্তিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ, জেনারেল হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলায় পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপন প্রয়োজন। এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ অঞ্চলে আধুনিক চিকিৎসা সেবা শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অতিদ্রুত এ অর্থ বছরের বাজেটে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে দেশে এই মহামারীতে বেসরকারী পর্যায়ে ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান, কোষাধ্যক্ষ মাস্টার বদিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি নিজামুর রহমান লালু, শাহিন জামান পন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম দাউদ আলী, মীনা আজিজুর রহমান, অধ্যাপক আবুল বাশার, শেখ আব্দুল্লাহ, মামুনুরা জাকির খুকুমনি, যুগ্ম মহাসচিব মো: মনিরুজ্জামান রহিম, মিজানুর রহমান বাবু, মিজানুর রহমান জিয়া, আফজাল হোসেন রাজু, এডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, রকিব উদ্দীন ফারাজি, এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান টিংকু, এসএম আক্তারউদ্দিন পান্নু, শেখ মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ এনামুল হাসান ডায়মন্ড, মো: খলিলুর রহমান, সরদার রবিউল ইসলাম, মো: মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো: আজম খান, এস এম দেলোয়ার হোসেন, রসু আক্তার, সরদার জিহাদুল ইসলাম প্রমুখ।
শোক: বরেণ্য শিক্ষাবীদ প্রফেসর মো: কায়কোবাদ স্যারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন বিবৃতি দিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান, কোষাধ্যক্ষ মাস্টার বদিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি নিজামুর রহমান লালু, শাহিন জামান পন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম দাউদ আলী, মীনা আজিজুর রহমান, অধ্যাপক আবুল বাশার, শেখ আব্দুল্লাহ, মামুনুরা জাকির খুকুমনি, যুগ্ম মহাসচিব মো: মনিরুজ্জামান রহিম, মিজানুর রহমান বাবু, মিজানুর রহমান জিয়া, আফজাল হোসেন রাজু, এডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, রকিব উদ্দীন ফারাজি, এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান টিংকু, এসএম আক্তারউদ্দিন পান্নু, শেখ মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ এনামুল হাসান ডায়মন্ড, মো: খলিলুর রহমান, সরদার রবিউল ইসলাম, মো: মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো: আজম খান, এস এম দেলোয়ার হোসেন, রসু আক্তার, সরদার জিহাদুল ইসলাম প্রমুখ।
৩৬ দফা দাবীতে মোংলা বন্দরে সিবিএর বিক্ষোভ
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
৩৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মোংলা বন্দরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘ’। রবিবার দুপুরের বন্দর এলাকায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘ চত্বরে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। এ সময় সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মো: ফিরোজ বক্তৃতায় বলেন, বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে ইতিমধ্যে তাদের এ দাবী নামা পেশ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তিনি এনিয়ে সিবিএ এবং কর্মচারীদের সাথে কোন ধরণের আলাপ-আলোচনায় বসছেন না। বরং নানা কৌশলে তিনি সিবিএকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি যে বেশ কয়েকটি পন্টুন ও বয়া ক্রয় করেছেন তাও অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্তি অর্থ ব্যয়/অপচয় করেছেন। এছাড়া তারা বক্তৃতা ও শ্লোগানে বন্দর চেয়ারম্যান ও পরিচালক প্রশাসনের কর্মকান্ডের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের অপসারণ দাবী করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সিবিএর সভাপতি সাইজউদ্দিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান শাকিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহাজাহান বলেন, সিবিএর দাবীর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ওই দাবীর মধ্য হতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু দাবী বাস্তবায়নও করা হয়েছে। আর পরিচালক প্রশাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিষয়ে কেউ কখনও তাকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানাননি, ফলে তার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এছাড়া পন্টুন ও বয়া ক্রয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো তিনি আসার আগে ক্রয় করা হয়েছে। এখানে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করে চলতে হবে: তালুকদার আব্দুল খালেক
তথ্য বিবরণী
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘মানবিক সহায়তা কর্মসূচির’ আওতায় রবিবার সকালে খুলনা নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় চত্বরে ঘরে থাকা চারশত ২৮ কর্মহীন নি¤œআয়ের শ্রমজীবী, অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে সাত কেজি করে চাল ও নগদ অর্থসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এসব খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করে চলতে হবে। সরকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। করোনায় ঘরে থাকা কোন অসহায় মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সকলের দায়িত্ব। করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে মানিবক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এমডি মাহফুজুর রহমান লিটনসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘মানবিক সহায়তা কর্মসূচির’ আওতায় নগরীর ১১, ২৯, ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের চারশত ২৮ জন করে মোট এক হাজার দুইশত ৮৪ ঘরে থাকা কর্মহীন নি¤œআয়ের শ্রমজীবীদের মাঝে সাত কেজি করে চাল ও সবজি ক্রয়ের জন্য নগদ একশত করে টাকাসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য বৃক্ষ রোপন অপরিহার্য: এ্যাড. সুজিত অধিকারী
ফুলতলা প্রতিনিধি
খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী বলেছেন, আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নিজ নিজ আঙিনায় একটি করে গাছ লাগাতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য বৃক্ষ রোপন অপরিহার্য।
গাছ লাগাও, পরিবেশ বাঁচাও-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রোববার বিকালে ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে বৃক্ষরোপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আসলাম খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পী, জেলা নেতা অসীত বরণ বিশ্বাস, শেখ মোঃ আবু হানিফ, এম এ রিয়াজ কচি, মৃনাল হাজরা, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুইয়া শিপলু, শহিদুল ইসলাম মোল্যা, অজয় নন্দী, শহিদুল্লাহ প্রিন্স, আশারফুল আলম কচি, এস কে মিজানুর রহমান, রবিন বসু, মঈনুল ইসলাম নয়ন, নূর হোসেন অঞ্জন, শিহাব হোসেন, তাসমীর আহমেদ প্রমুখ।
প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদ-এর মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন
খবর বিজ্ঞপ্তি
শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদ (৮৫) রবিবার বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে খুলনা বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেনÑবাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমান, মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা ও মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, কমরেড গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কমরেড শেখ মিজানুর রহমান, কমরেড মনির আহমেদ, কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য শেখ সাহিদুর রহমান, কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড সন্দীপন রায়, কমরেড রেজাউল করিম খোকন, কমরেড কৌশিক দে বাপী, কমরেড আঃ হামিদ মোড়ল, কমরেড মোঃ আলাউদ্দিন, কমরেড মনির হোসেন, কমরেড আরিফুর রহমান বিপ্লব, কমরেড আনোয়ার হোসেন, কমরেড এড. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার, কমরেড অজয় দে, কমরেড বাবুল আখতার, কমরেড হাফিজুর রহমান, কমরেড গৌরী ম-ল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ভাড়া নিয়ে তর্ক, যাত্রীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল চালকের
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের বাঘারপাড়ায় ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে ছুরিকাঘাতে এক ট্যাক্সিচালকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ঘাতক বরকতকে পুলিশে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। রবিবার (২৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনায় নিহত হন ট্যাক্সিচালক রিপন হোসেন (৩০)। নিহত রিপন যশোরের বাঘারপাড়া পৌরসভার মহিরন এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘাতক বরকতের নামে কোতোয়ালি থানায় আগেই একটি মামলা রয়েছে। সে যশোর শহরের মোল্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের সামনে দুপুর ১টার দিকে বরকত ও তার স্ত্রী ভাড়া নিয়ে তর্ক করে রিপনের সঙ্গে। ওই সময় তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বরকত তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে রিপনের বুকে আঘাত করে। এই সময় রিপনকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন ওষুধ ব্যবসায়ী হিরু। পরে বেলা ২টার দিকে গুরুতর অবস্থায় রিপনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. এনাম উদ্দিন জানান, ওই যুবককে হাসপাতালের আনার আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আহত ওষুধ ব্যবসায়ী হিরু আহমেদ বলেন, ‘ফার্মেসির কাছেই একটি মোটরসাইকেলে বরকত ও ভ্যানে একটি মেয়ে বসে কথা বলছিল। পরে দেখি, স্ট্যান্ডের ড্রাইভার হাসিবুল ও বরকত কী নিয়ে যেন আলাপ করছে। হঠাৎ তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে বরকত। পরে স্ট্যান্ডের অন্য ড্রাইভারদের সঙ্গে রিপনও এগিয়ে যায়। তারা কী কারণে হাসিবুলকে মারধর করছে জানতে চাইলে বরকত ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি বের করে। সেই সময় আমিও দোকান থেকে বের হয়ে যাই তাদের থামাতে। ভীড়ের মধ্যে বরকত আমার বাম হাতে ছুরিকাঘাত করে। পাশে ফিরে দেখি রক্তের মধ্যে কাতরাচ্ছে রিপন। এই সময় উত্তেজিত ড্রাইভাররা বরকতকে ধরে পিটিয়ে পুলিশে দেয়। পুলিশ তাকেসহ স্থানীয় দুই যুবককে ধরে নিয়ে যায়।’ এদিকে, রিপনের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। স্থানীয়রা রিপনের খুনির শাস্তি এবং নিরীহ দুই যুবককে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান।
ওসি সৈয়দ আল মামুন বলেন, ‘কী কারণে রিপনকে ছুরিকাঘাত করা হয়, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবক বরকতকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হবে।’
কয়রায় নদী গর্ভে ১০০ মিটার সড়ক, সংকটে ৬ গ্রামের মানুষ
কয়রা প্রতিনিধি
জোয়ারের পানির চাপে খুলনার কয়রায় ১০০ মিটার সড়ক ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে আশপাশের ৬টি গ্রামের মানুষ সংকটে পড়েছেন। মহারাজ পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, স্কুল বাউন্ডারি সংলগ্ন উওর পাশে শাখবাড়িয়া নদী সংলগ্ন অর্জুন খালের গোড়ায় সড়কের প্রায় ১০০ মিটারের অধিক নদী গর্ভে চলে গেছে। শনিবার (২৭ জুন) নদীর ভাঙনে সড়ক ধসে পড়ে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বাঁধ দ্রুত সংস্কার করা না হলে ক্ষতি হবে কয়েক হাজার বিঘা জমির আমন ফসল এবং ঘেরের মাছ।
স্থানীয় স্হানীয় লোকজন জানায়, ওই স্থানের আশেপাশের ৬টি গ্রামের বাসিন্দারা এই রাস্তাটি ব্যবহার করে যাতায়াত করে। দ্রুত সময়ের মধ্য রাস্তাটি সংষ্কার করা না হলে স্কুলের সম্পদও নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে। এ সড়কটি দিয়ে কয়রা সদর থেকে উত্তর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের কাঁচা মালামাল ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রব্য পরিবহন করা হয়। সড়কটি ভাঙনের কারণে এখন সব ধরনের যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়েছে। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, খালে পানি বেড়ে যাওয়ায় ইট সোলিং রাস্তার কিছুটা ধ্বসে গেছে। সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়নি। ফলে মানুষের দুর্ভোগ হওয়ার কিছু নেই। তবে, উপজেলা পরিষদের পক্ষ দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গৃহহীন সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর দিলো সেনাবাহিনী
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে গৃহহীন সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রোববার (২৮ জুন) দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. শুকুর আলীর হাতে টিনশেড পাকা ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন ৫৫ পদাদিক ডিভিশন যশোর সেনানিবাসের কর্নেল আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসমাইল হোসেন, মেজর রাজিব হাসানসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। পরে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আকরামুজ্জামান, চিতলমারী উপজেলার শিবপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল মো. হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়াচ অফিসার কমল চন্দ্র দাসকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা মো. শুকুর আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন চাকরি করলেও তেমন কিছু করতে পারিনি। একটি ঘরও নির্মাণ করতে পারিনি। আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাকা ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি।’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ও ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সিইওসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। কর্নেল আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে গৃহহীন সেনা সদস্যদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। সেনাবাহিনীর কল্যাণ তহবিল থেকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বাগেরহাটে আমরা আজকে চারজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধার কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেছি। এ জেলায় আরো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ঘর দেওয়া হবে। সেটা নির্মাণাধীন আছে।’
সুন্দরবনে দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ হচ্ছে
বাগেরহাট প্রতিনিধি
সুন্দরবনের সব নদী ও খালে ১ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। এ দুই মাস বেশিরভাগ মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৪ জুন থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ পাস ও পারমিট বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ। গত বছরেও এ দুই মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেছেন, ‘সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানস (আইআরএমপি) অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সুন্দরবন বন বিভাগ একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের (পূর্ব ও পশ্চিম) সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। ফলে সুন্দরবনের নদী খালে যেমন মাছ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অন্যান্য প্রাণি, উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিবছর এ সময়ে সুন্দরবনের ভেতরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে চোরা শিকারিরা যাতে তৎপর হতে না পারে সেজন্য বনে টহল জোরদার করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ২৪ জুন থেকে জেলেদের পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছি। ২৩ তারিখ পর্যন্ত যাদেরকে পারমিট দেওয়া হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই ৩০ জুনের মধ্যে ফিরে আসতে হবে। ৩০ জুনের পরে কাউকে বনের মধ্যে পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দেবহাটা পারুলিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের পায়তারা
কে এম রেজাউল করিম
যখন বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ছোবলে বাংলাদেশের মানুষ আতংঙ্কিত । এই ভাইরাসের প্রভাব থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রশাসনের সবাই যখন ব্যস্থ তখন সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওয়াধীন পারুলিয়ার প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে ওয়াজেদ আলী খান নামের এক ব্যক্তি। বুকের পাটা বটে! পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাইন বোর্ডের নেই কোন তোয়াক্কা ! সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সদ্য খননকৃত পারুলিয়া সাপমারা খালের পার্শ্ববর্তী এবং পারুলিয়া ইছামতি হল সংলগ্ন সড়কের পাশে অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি পুকুর এবং উপরি ভাগের অংশ মিলে বেড়া দেওয়া আছে। যেখানে একটি গাছের উপরে সাতক্ষীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাইন বোর্ড মারা আছে। সাইন বোর্ড অনুযায়ী জমিটি পারুলিয়া মৌজার এসএ কেস নং ৮০/৬০-৬১ যার সাবেক দাগ নং ৩৭১৫,৩৭১৬,৩৭১৭ এবং ৩৭১৮। আর এ সাইন বোর্ড মারা থাকলেও কোন তোয়াক্কা না করে দখল করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের মৃত বাকার কন্যা বেবীর স্বামী ওয়াজেদ আলী খান। সে দীর্ঘ দিন ঐ এলাকায় ঘর জামাই হিসাবে পরিচিত। এ ব্যাপারে ওয়াজেদ আলী খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এটি অন্য লোকে দখল করে নিচ্ছিল তাই বেড়া দিয়েছেন এমনটি জানান। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও সাইদুর রহমান জানান,এই জায়গাটি অনেক আগে এক ব্যক্তি দখল করছিল এমন খবর পেয়ে সাইন বোর্ডের ব্যবস্থা করি। তবে সরকারী সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি অতি দ্রুত লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
মণিরামপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাকির হাসান
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের মণিরামপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সৈয়দ জাকির হাসান। রোববার (২৮ জুন) বিকেলে সদ্য বিদায়ী ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফীর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। এসময় মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানমসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সৈয়দ জাকির হাসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ইউএনও অফিসের স্টাফ। দীর্ঘ ১৮ মাস মণিরামপুরে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদন্নোতি পান আহসান উল্লাহ শরিফী। রোববার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ছাড়পত্র নিয়েছেন তিনি। করোনাকালীন দুর্যোগে মণিরামপুরে তার কর্মকা- বেশ প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।
ইউএনও হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া সৈয়দ জাকির হাসান মণিরামপুরে যোগ দেওয়ার আগে সর্বশেষ ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শেখ রাসেল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ইউএনও হিসেবে পদায়নের লক্ষ্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ন্যাস্ত করা হয়। এরআগে তিনি যশোর সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ৩৩তম বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হন সৈয়দ জাকির হাসান। এরপর তিনি নড়াইল কালেক্টরেট ও যশোর কালেক্টরেটে বিভিন্ন পদে চাকরি করেন।
তেরখাদায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩ লক্ষ টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান
তেরখাদা প্রতিনিধি
বর্তমান সরকারের মহানুভবতায় করোনা, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গতকাল বেলা ১২ টায় উপজেলা চত্বরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ৪৮ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ প্রদান করেন। বিতরন অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণু পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শারাফাৎ হোসেন মুক্তি, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোমতাজ বেগম, অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা, সংগঠনের সভাপতি গদাই কুমার, সাধারন সম্পাদক প্রভাষ কুমার রাজবংশী, অধ্যক্ষ মধুসুদন বিশ্বাস, ভূমি অফিসের নাজির মোঃ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোদাচ্ছেরুল হক হুদার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নিবেদিত সচ্ছ জ্ঞানী আদর্শবান দলটির সকলের প্রিয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং জেলা যুবদলের সফল সভাপতি ও যুগ্ন- আহবায়ক মোদাচ্ছেরুল হক হুদা (৫৬) আর নেই। মৃত্যুকালে ২ কন্যা ১ স্ত্রী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।তিনি রবিবার(২৮শে জুন) দুপুর ২.৩০ মিনিটে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। তার মৃৃত্যুতে গভীরভাবে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জেলা বিএনপির আহবায়ক এড্যা. সৈয়দ ইফতেখার আলী, সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, কামরুল ইসলাম ফারুক, রহমতুল্লাহ পলাশ, তারিকুল হাসান, রউফ চেয়ারম্যান, হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, মেয়র আক্তারুল ইসলাম, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, আবু জাহিদ ডাবলু, হাফিজুর রহমান মুকুল, আইনুল ইসলাম নান্টা, কামরুজ্জামান কামু, সোহেল আহমেদ মানিক, আনারুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, আব্দুর রাজ্জাক, আহসানুল কাদির স্বপন, এড্যা. সৈয়দ ইখলেছার আলী বাচ্চু, ফারুক হোসেন, স.ম.ইয়াছিন উল্লাহ সহ জেলা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক পল্লী চিকিৎসকসহ দুই জনের মৃত্যু
খান নাজমুল হুসাইন সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক পল্লী চিকিৎসকসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে ও শনিবার রাতে তারা মারা যান। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের মারকা গ্রামের মৃত বাহার আলী গাজীর ছেলে পল্লী চিকিৎসক ওমর ফারুক (৬০) ও তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনি গ্রামের আবুল খায়ের বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫ ) ।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈবুর রহমান জানান, পল্লী চিকিৎসক ওমর ফারুক সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন নমুনা পরীক্ষার জন্য। নমুনা সংগ্রহের পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ভর্তি হতে না হয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তার স্বজনরা তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বরও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনি গ্রামের রবিউল ইসলাম আজ রোববার সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে আইসোলেশনে নেয়া হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পরে তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের তত্বাবধায়ক। তবে, মৃত দুই জনেরই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি বলে তারা জানান। এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকীদের নিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ৪১৭ পরিবারে কয়রায় শর্তবিহীন অর্থ বিতরণ করেছেন প্রদীপন
কয়রা প্রতিনিধি
কয়রা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৪১৭ টি পরিবারে শর্তবিহীন নগত অর্থ বিতরণ করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রদীপন। দাতা সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন এর অর্থায়নে প্রদীপন ৪ টি ইউনিয়নের ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি পরিবারে নগত ৪,৫০০ টাকা বিতরণ করেন। রবিবার সকাল ১০ টায় উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদে ১০১ টি পরিবারে স্থানীয় চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলামের উপস্থিতিেিত এই অর্থ বিতরণ করেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এসময় সেভ দ্যা চিলড্রেনের প্রতিনিধি প্রজেক্ট অফিসার আব্দুল বাতেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রদীপনের মোঃ মনির হোসেন, মোঃ জেনারুল হক, দেবাশিষ মন্ডল, ,কয়রা প্রেস কাবের সভাপতি এসএম হারুন অর রশীদসহ একাধিক সাংবাদিক। এসময় চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, আম্পান পরবর্তী আজ ৩৮ দিন অতিবাহিত হলেও তার ইউনিয়নের ১২ হাজার মানুষ পানি বন্দী জীবন যাপন করছেন। এছাড়া নিজ ভিটায় ফিরতে পারিনি ২০০ শতাধিক পরিবার। তিনি বলেন, বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় নির্ঘম রাত কাটাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ, তাই এ দূঃসময়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা একটি পরিবারের জন্য লক্ষ টাকার সমান। তিনি সংস্থার প্রতিনিধিদের এই মহুর্তে আরও নগত অর্থ ও খাদ্য এবং গৃহ নির্মাণ করার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে ১৮ জুন বাগালী ইউনিয়নে ৫০ এবং ২০ জুন মহারাজপুর ইউনিয়নে ১৩৬ ও কয়রা সদর ইউনিয়নে ১৩০ পরিবারে শর্তবিহীন নগত অর্থ বিতরণ করেছেন প্রদীপন। অপর দিকে বিভিন্ন ইউনিয়নে নগত অর্থ বিতরণকালে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরগন উপস্থিত ছিলেন এবং এসময় চেয়ারম্যানগণ সংস্থার প্রতি দাবী করে বলেন, মহামারি করোনার পর মরার উপর খাড়ার ঘাঁ ঘূর্ণিঝড় আম্পান। যে কারনে উপকূলীয় এলাকা কয়রার মানুষ দিশেহারা, সেজন্য ৮০ ভাগ পরিবার বর্তমান ক্ষতিগ্রস্থ। তাই এই দূর্যোগকালীন সময়ে বেশি বেশি সহযোগিতা করার দাবী জানিয়েছেন চেয়ারম্যানরা।
শরণখোলায় চিকিৎসক সহ নতুন তিন জনের করোনা সনাক্ত
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় চিকিৎসক সহ নতুন করে তিন জনের করোনা সনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে শরণখোলায় ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন জানান, গত ২৪ ও ২৫ জুন এদের নমুনা সংগ্রহ খুলনার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। রবিবার সকালে তাদের তিনজনেরই করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। এরা হচ্ছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সালের স্ত্রী ডাঃ আকলিমা আক্তার শিল্পী (২৮), সোনালী ব্যাংক রায়েন্দা বাজার শাখার কর্মকর্তা বিশ্ব নাথ (৫৩) ও রাজাপুর গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের স্ত্রী শাহিনুর বেগম (২৭)। এদের মধ্যে ডাঃ আকলিমা আক্তার শিল্পী (২৮) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়াটারে আইসোলেশনে রয়েছেন। এ ছাড়া ব্যাংক কর্মকর্তা বিশ্বনাথ তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে এবং শাহিনুর বেগম রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের আইসোলেশনে রয়েছেন। এনিয়ে শরণখোলায় এ পর্যন্ত ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে তিনি জানান।
সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়নে ॥ ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের আর্থিক সহায়তা প্রদান
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগে শামিল হওয়ার জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফেসবুক ভিত্তিক সমাজ সেবামূলক সংগঠন ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ। রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গ্রুপের পক্ষ থেকে ৭০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের সভাপতি সাংবাদিক আসিফ কাজলের নেতৃত্বে ও গ্রুপ ক্রিয়েটর আমেরিকা প্রবাসী তরিকুল ইসলাম মিঠুর সার্বিক নির্দেশনায় গ্রুপের কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের হাতে নগদ এই অর্থ তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফ উজ-জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ, ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের সাইফুল ইসলাম লিকু, মাসুদ রানা, সাইদুল ইসলাম টিটো, নিপা জামান মনিরা আক্তার, ফিরোজা জামান আলো ও হামিদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুদান গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের দেখাদেখি অন্যান্যরাও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ হবেন। তিনি বলেন করোনা হাসপাতাল এ সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপন করা হলে মুমূর্ষু রোগী রা উন্নত চিকিৎসার নিশ্চয়তা পাবেন। তিনি আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য ঝিনেদার আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন আপনাদের এই সহায়তা মানবতার কল্যাণে ব্যায় হবে।
থানায় জিডি করার অপরাধে পাইকগাছায় প্রতিপক্ষের হমলায় একই পরিবারের ৩জন রক্তাক্ত জখম
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে থানায় জিডি করায় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে একই পরিবারের ৩জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি উপজেলার সোলাদানা ইউপির জামাইপাড়া নামকস্থানে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দাখিল হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ভিলেজ পাইকগাছার মৃত সামছুর গাজীর ছেলে মফিজুল গাজী (৪০) এর সাথে একই এলাকার মোসলেম সানার পুত্র লিটন সানার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত বুধবার জমিতে ঘেরা-বেড়া দিতে গেলে প্রতিপক্ষ লিটনরা বাঁধা দিলে মফিজুল থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। বিষয়টি জানার পর একই দিন বিকেলে প্রতিপক্ষ লিটন, রাসেল, জাহানারা, রেশমা, আফিল সানা, আফজাল শেখ ও পারভিন বেগম অতর্কিতভাবে দা ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষ লিটন গাজী ও রাসেলের দায়ের কোপে মফিজুল গাজী, তার ছেলে মাসুম পারভেজ, মা রাজিয়া রক্তাক্ত জখম হয়। আহতরা পাইকগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মফিজুল বাদী হয়ে বুধবার থানায় অভিযোগ দাখিল করেছে। ওসি এজাজ শফী জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফকিরহাটে করোনা আক্রান্ত নতুন রুগী ১২জন সহ মোট ৫০জন
ফকিরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাটের সর্বত্র স্বাস্থ্য বিধি না মানার করণে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা। নতুন ১২জন সহ এপর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা ৫০জন। রবিবার দুপুরে উপজেলা স্থাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ অসিম কুমার সমাদ্দার এ বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। সুত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিধি না মানার করণে উপজেলার সর্বত্র হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা। নতুন আক্রান্ত রুগীর মধ্যে বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি। সেখানে ২জন জনপ্রতিনিধি সহ মোট ৬জন। এছাড়া কৃষি ব্যাংকের ২কর্মকর্তা, গৃহিনী সহ মোট ১২জন নতুন করে করোনা রুগী সনাক্ত হয়েছে। এদিকে উপরোক্ত আক্রান্ত ছাড়াও এ উপজেলায় মোট ১৯জন রুগী নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে সম্পুর্ণ সুস্থ্য হয়েছেন। তার মধ্যে ১জন চিকিৎসায়ক ইতি মধ্যে মৃত্যু বরণ করেছেন। করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন বেশ কয়েকটি বাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার এলাকায় লকডাউন ঘোষনা করে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন। নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সাতবাড়িয়া গ্রামের ২জন, লালচন্দ্রপুর গ্রামের ১জন, হুচলা গ্রামের ২জন, আট্টাকা গ্রামের ১জন, দোহাজারী গ্রামের ১জন, সৈয়দ মহল্লা গ্রামের ১জন, কৃষি ব্যাংকের ২কর্মকর্তা, ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের ১জন ও আট্টাকী গ্রামের ১জন সহ মোট ১২জন। উল্লেখ্য উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য উপজেলা ব্যাপী দফায় দফায় মাঠে ময়দানে থেকে নির্দ্দেশ প্রদান সহ বা ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করলেও অধিকাংশ সাধারন জনগন তা মানছে না। যে করণে এ উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা।
ঝিনাইদহে ফেন্সিডিলসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে ফেন্সিডিলসহ বিউটি খাতুন (৩৫) নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। শনিবার রাতে শহরের বাইপাস সড়কে ঢাকাগামী জেআর পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ফেন্সিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বিউটি খাতুন চুয়াডাঙ্গা দর্শনার মোহাম্মদপুর গ্রামের রনির স্ত্রী।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, শনিবার রাতে কোটচাদপুর থেকে বিউটি খাতুন জেআর পরিবহনে ফেন্সিডিল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের বাইপাস সড়কে চেকপোষ্ট বসায় পুলিশ। এসময় ওই পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে বিউটি খাতুনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ৪৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
ঝিনাইদহে মহাসড়ক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ জন গ্রেফতার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে মহাসড়ক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের ডাকবাংলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম সদর উপজেলার বাদ-পুকুরিয়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে ও তারা মিয়া একই উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রী-মহনি এলাকায় রাস্তায় গাড়ি ঠেকিয়ে শ্রমিকদের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে এমন একটি লিখিত অভিযোগে দেয় ভোলা জেলার এক ট্রাক ড্রাইভার। তিনি আরো জানান, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নির্দেশনা মোতাবেক রাতে অভিযান চালানো হয়। এসময় হাতে নাতে জাহাঙ্গীর আলম ও তারা মিয়া নামের ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পালিয়ে যায় আরও ২ জন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ২০ জন করোনায় আক্রান্ত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১৮৫ জন। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, রোববার সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ঝিনাইদহে ৬৭ টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ২০ টি পজেটিভ। আক্রান্তরা হলেন, সদর উপজেলায় ৮ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৯ জন, শৈলকুপা উপজেলায় ৩ জন। আক্রান্ত ১৮৫ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৭৮ জন।
জলমা ইউনিয়নে বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি
ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা থেকে
বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের রোগের। যে কোন মুহুর্তে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারনে বিভিন্ন ধরনের রোগ মহামারি আকার ধারণ করার আশংকা দেখা দিতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের মন্তব্য।
জেলা শহরের সাথে জলমা ইউনিয়নের সম্পৃক্ততা থাকায় এ ইউনিয়নের গুরুত্ব শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাসহ ভূমিদস্যুদের কাছে বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ইউনিয়নের জমির মূল্য রাতারাতি আকাশচুম্বি হয়ে গেছে। যা নি¤œ মধ্যবিত্তদের কাছে আলাদ্বীনের আশ্চর্য প্রদীপের শামিল। আর ঐ সকল শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাসহ ভূমিদস্যুদের শ্যেন দৃষ্টি এখানকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ নিশ্চিৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে ভূমিদস্যুরা সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধ প্লট ব্যবসা ও অপরিকল্পিত নগরায়ন করায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যা দেখার কেউ নেই। সরকারী ১৯৫০ সালের প্রজাস্বত্ব আইনের ৫৭ ধারায় আছে কৃষি জমি অকৃষকের নিকট ক্রয়-বিক্রয়, নামজারী, শ্রেণী পরিবর্তন কোন কিছু করা যাবে না। আর কোন কিছু করতে হলে কালেক্টারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি নিয়ে করা যেতে পারে। অথচ উক্ত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এক শ্রেণীর ভূমি ব্যবসায়ী নামধারী অবৈধ প্লট ব্যবসায়ীরা ভূমি ব্যবসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এ ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১ হাজারের বেশি ভূমি ব্যবসায়ী চক্র বা সিন্ডিকেট রয়েছে। আর এদের নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল দালাল ও লাঠিয়াল বাহিনী। ভূমি ব্যবসায়ী নামে খ্যাত ওই সকল বাহিনী প্রাথমিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমিতে কৃত্রিম সমস্যা সৃষ্টি করা ও পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কম টাকায় জমি ক্রয় করা। এ ছাড়া রয়েছে সরকারী ভরাটি খাস খাল ও ভিপি সম্পত্তি দখল পূর্বক শ্রেণী পরিবর্তন করে প্লটের রাস্তা ও পজেশান বিক্রী করে তা থেকে কোটি কোটি টাকার মুনাফা অর্জন করছে। যে কারনে জলমা ইউনিয়নে ভিপি ও সরকারী ভরাটি খাস খালগুলো সরকারী খাতা-কলমে থাকলেও বাস্তবে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। অপর দিকে ঐ সকল অবৈধ প্লট ব্যবসায়ীরা সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কৃষি জমিতে লবণ পানি সহ বালু ভরাট করায় মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সহ নানা ধরনের রোগের। সম্প্রতি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল হোসেনের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাশেদুজ্জামান সরকারী ভিপি সম্পত্তি ও ভরাটি খাস খাল আয়ত্বে আনতে ইতিমধ্যে অভিযানে নেমেছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাশেদুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে জানান, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে সরকারী ভরাটি খাস খাল ও ভিপি সম্পত্তির অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে সরেজমিনে গিয়ে ভিপি সম্পত্তির তালিকা প্রস্তত করে ভিডিও করে কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে এবং দ্রুত ভিপি সম্পত্তিতে সরকারীভাবে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোন সময়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জলমা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দারা প্রতিকার চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ ইসলামী আন্দোলনের
খবর বিজ্ঞপ্তি
ঘেষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের অবশিষ্ট ২৫টি পাটকল আধুনিকীকরণের বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ না করে অলাভজনক আখ্যা দিয়ে মিল বন্ধ করার ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর নেতৃবৃন্দ।
গতকাল রবিবার গনমাধ্যমে এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাভাইরাসে জাতি যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে সুযোগ সন্ধানী দুর্নীতিবাজ আমলারা পাটকলসমূহ বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বেকায়দায় ফেলতে গভীর যড়যন্ত্রে লিপ্ত। নেতৃবন্দ অবিলম্বে পাটকল শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি কমিশনসহ সকল পাওনাদি পরিশোধ করে পাটকলসমূহকে আধুনিকীকরণপূর্বক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুলাহ, সহ সভাপতি মাওঃ মোজাফ্ফার হোসাইন, মুফতী মাহবুবুর রহমান, সেক্রেটারী শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম সজীব মোলা, সহ সাংগঠনিক মোলা রবিউল ইসলাম তুষার, প্রচার সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, সহ প্রচার আব্দুর রশীদ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, সহ দপ্তর মুফতী আমিরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সহ অর্থ আলহাজ্ব মোমিনুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী ইসহাক ফরীদি, সহ প্রশিক্ষণ মাওঃ হাফিজুর রহমান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক মাওঃ ইমরান হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ইঞ্জিনিয়ার এজাজ মানসুর, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস ছালাম, মহিলা ও পরিবার বিষয়ক ডাঃ মাওঃ নাসির উদ্দিন, সংখ্যালঘু বিষয়ক আলহাজ্ব আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য মাওঃ শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
কমরেড আনোয়ারের মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক ও সমবেদনা
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি, খুলনা মহানগর কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কমরেড আনোয়ার হোসেন গতকাল ২৭ জুন শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর ৭ সাত। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র, ২ কন্যা, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ রবিবার সকাল ৯টায় চানমারী মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ চত্বরে মরহুমের জানাজা শেষে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজা ও দাফনকালে উপস্থিত ছিলেন পার্টির খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড মনির আহমেদ, রূপসা শাখা কমিটির নেতা কমরেড মোঃ বাবুল হোসেন।
এদিকে কমরেড আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেনÑবাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, খুলনা জেলা সভাপতি কমরেড এড. মিনা মিজানুর রহমান, মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনসার আলী মোল্লা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক কমরেড এস এম ফারুখ-উল ইসলাম, জেলা ও মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য কমরেড দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, কমরেড গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায়, কমরেড শেখ মিজানুর রহমান, কমরেড মনির আহমেদ, কমরেড খলিলুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার মোল্লা, কমরেড নারায়ণ সাহা, কমরেড আমিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য শেখ সাহিদুর রহমান, কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড সন্দীপন রায়, কমরেড রেজাউল করিম খোকন, কমরেড কৌশিক দে বাপী, কমরেড আঃ হামিদ মোড়ল, কমরেড মোঃ আলাউদ্দিন, কমরেড মনির হোসেন, কমরেড আরিফুর রহমান বিপ্লব, কমরেড আনোয়ার হোসেন, কমরেড এড. কামরুল হোসেন জোয়ার্দ্দার, কমরেড অজয় দে, কমরেড বাবুল আখতার, কমরেড হাফিজুর রহমান, কমরেড গৌরী ম-ল প্রমুখ।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ দৌলতপুর থানা শাখার কমিটি গঠন
খবর বিজ্ঞপ্তি
রবিবার সকাল ৭টায়, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আলী আহমাদ এর সভাপতিত্বে দৌলতপুর মধ্যডাঙ্গা মাদ্রাসায় থানা কমিটি গঠন হয়। নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশের অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে, দেশের মধ্যেবিত্ব ও নিন্মমধ্যেবিত্ত্ব পরিবার গুলি চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন। বিত্তবানদেরকে সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত এবং মাজলুম মানুষের পক্ষে কাজ করা, বিশেষ করে গরিব-দুঃখী মানুষের সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করা এবং আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসার আহবান জানান। ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য মসজিদ সমূহে দু’আ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠন সম্প্রসারণ এবং মুজবুতি অর্জনের দিকনির্দেশনা দেন। সকল পরিস্থিতে ধৈর্য ধরনের আহবান জানান। প্রধান অতিথি ছিলেন আইম্মা পরিষদ মহানগর সভাপতি মুফতী গোলামুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুফতী আব্দুর রহিম, মুফতী মাহবুবুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন আইম্মা পরিষদ খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মুফতী রশীদ আহমাদ, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মুফতী জাকির আশরাফ, মুফতী ইমরান হুসাইন, হাফেজ মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, মুফতী আবু সালেহ, মুফতী ইমরান বিন হুসাইন, মাওলানা নাসির উদ্দীন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা ইলিয়াস মাঞ্জুরী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মুফতী মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মিরাজুল ইসলাম, মুফতী আল আমীন, মুফতী আব্দুল মান্নান, হাফেজ মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা সাদ্দাম হোসেন, মুফতী আব্দুল্লাহ, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা মোঃ আকরাম হুসাইন, মাওলানা আইয়ুব আলী, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা আছাদুজ্জামান, মাওলানা সাইদুর রহমান, মাওলানা ইকবাল, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মুফতী আমানুল্লাহ আশরাফী, মাওলানা আনওয়ার হুসাইন, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা হুসাইন মোহাম্মাদ জুম্মান, মাওলানা বশির উদ্দিন, মাওলানা সাব্বির হোসেন, মাওলানা আবুল হাসান, মাওলানা মুফতী মুহিববুল্লাহ, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মুফতী তরিকুল ইসলাম, মুফতী ফারুক আহমাদ, মাওলানা ইমাম হাসান, মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা মিরাজুল ইসলাম, মুফতী মুহিববুল্লাহ প্রমূখ। সভায় পরামর্শক্রমে মাওলানা ইলিয়াস মাঞ্জুরী কে সভাপতি, মুফতী রফিকুল ইসলাম কে সহ-সভাপতি, হাফেজ মাওলানা মুফতী মাহমুদুল হাসান কে সাধারণ সম্পাদক, মুফতী আল আমীন কে সাংগঠনিক সম্পাদক। মুফতী রশীদ আহমাদ কে দৌলতপুর থানা শাখার জিম্মাদার করে আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন-সৎকারে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গোপালগঞ্জ সেল
খবর বিজ্ঞপ্তি
গোপালগঞ্জে করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন-সৎকারে কাজ করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গোপালগঞ্জ সেল। গতকাল রোববার জেলার কোটালীপাড়া শুয়াগ্রামের নিত্যানন্দ বল্লভ (৬৭) মরদেহ যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গোপালগঞ্জ শ্মশানে সৎকার করা হয়।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৬ জুন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন কৃষক নিত্যানন্দ বল্লভ। চিকিৎসারত অবস্থায় গত ২৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সৎকার কালে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুর রহমান খান এবং সিভিল সার্জন অফিসের ডা. মোঃ সাকিব।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গোপালগঞ্জ সেলের আহ্বায়ক মো: মুহসীন শেখ জানান, গোপালগঞ্জে করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন এবং সৎকারে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছাসেবক দল। করোনা অথবা করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত যে কারোদাফনের প্রয়োজনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গোপালগঞ্জ সেলের ০১৭১২-৯১৮৬৬২ অথবা ০১৯১১-০২৩৬০৭ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদের মৃত্যুতে খুবি শিক্ষক সমিতির শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সাবেক সদস্য, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদের মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে খুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আশিস কুমার দাশ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদের মৃত্যুতে খুবি স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের শোক
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সাবেক সদস্য, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহম্মদ কায়কোবাদের মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে স্বাশিপের সভাপতি প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. আশিষ কুমার দাশ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
মোংলা পোর্ট পৌরসভার ১শ ২ কোটি ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৬ টাকার বাজেট ঘোষণা
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলা পোর্ট পৌরসভার ২০২০-২০২১ইং অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২ টায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষের মিলনায়তনে ১শ ২ কোটি ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৬ টাকার এ বাজেট ঘোষণা করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ জুলফিকার আলী। বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ১শ ২ কোটি ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৬ টাকা আর ব্যয়ও ধরা হয়েছে ১শ ২ কোটি ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৬ টাকা। বাজেটে উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫০৬ টাকা। এ বছরের বাজেটে করোনাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া সংস্থাপন ও শিক্ষাসহ ৯ টি খাতকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এ অর্থ বছরের বাজেট পরিকল্পনায়। এছাড়া ট্যাক্সেস ও উন্নয়নখাত ব্যতিত সরকারী অনুদানসহ ৯ টি খাতে সর্বোচ্চ আয় ধরা হয়েছে। বাজেট অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌরসভার সচিব অমল কৃঞ্চ সাহা। অনুষ্ঠানে পৌর কাউন্সিলর মো: আলাউদ্দিন, মোঃ রাজ্জাক, মো: ইমান হোসেন, মো: ইউনুছ আলী, মো: খোরশেদ আলম, পৌর কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ফুলতলায় প্রফেসর মুহাম্মদ কায়কোবাদের মৃত্যুতে শোক
ফুলতলা প্রতিনিধি
সরকারি বিএল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মুহাম্মদ কায়কোবাদ (৮৫) এর মৃত্যুতে ফুলতলা শহীস আসাদ-রফি গ্রস্থাগার এর নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিদাতারা হলেন গ্রস্থাগার সভাপতি মোঃ মোস্তাকিম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ শফিউল্লাহ, আনছার আলী মোল্যা, সহকারী অধ্যাপক আঃ রউফ, ডাঃ সরোজ কুমার সুর, শাহিনুর কবির, আঃ হামিদ মোড়ল, আরিফুজ্জামান বাবলু, মানিক কুন্ডু, পিজুষ কুন্ডু প্রমুখ।