মোংলায় শ্রমিক সংঘ দখলের চেষ্টায় ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় আটক শাহাবুদ্দিনকে জেলহাজতে প্রেরণ

6
Spread the love

>> সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:

মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ দখলের চেষ্টা, আসবাবপত্র ভাংচুর, ত্রাণ লুট, সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক সেন্টুকে মারধর ও হত্যার হুমকিসহ বন্দর অচলের চক্রান্তের ঘটনায় ৪ জনের পরিচয় উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর উত্তেজিত শ্রমিকেরা মামলার ১ নম্বর আসামীকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। মামলার বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী। এ সকল আসামীদের বিরুদ্ধে বিগত দিনের অপতৎপরতার ঘটনার বিষয়ে থানায় অন্তত ডজনখানেক সাধারণ ডায়েরীও রয়েছে।

এদিকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মীদেরকে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন আসামীরা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক সেন্টু শ্রমিকদের ত্রাণ দেয়ার জন্য খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করছিল। এ সময় আসামী একেএম শাহাবুদ্দিন (৫৬), মোঃ মাহাবুবুর রহমান মানিক (৪৮), মোঃ ফরিদুল আলম মজুমদার (৫৭), মোঃ মাহাবুবুর রহমার শেখ (৪৬) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠি-সোঠা নিয়ে ত্রাণ প্রস্তুতকারীদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর, ভাংচুর ও ৩০/৪০ বস্তা ত্রাণের মালামাল লুট করে। এছাড়া আসামীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় বন্দর অচল করে দেয়ার হুমকিসহ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক সেন্টুকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সংঘের সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর মামলার প্রধান আসামী একেএম শাহাবুদ্দিনকে শনিবার বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, একেএম শাহাবুদ্দিন বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিলুপ্ত মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।