ইন্দুরকানী(পিরোজপুর)প্রতিনিধি ঃ
” স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাই Ñ সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন বাচাঁয়” এই প্রতিবাদ্য কে সামনে রেখে ইন্দুরকানীর সদর বাজারে আদি মিষ্টান্ন ভান্ডারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিস্টি তৈরি কারখানা । সাধারন মানুষ নাজেনে না বুঝে মিষ্টি খেয়ে থাকে তাতে এমনিই রোগ ব্যাথি দেখা দেয় । বর্তমানে বাংলাদেশে ( কোভিট- ১৯) করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ার রোগীদে আইসোলশনে থাকতে হয় । এদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেয়ে অসুস্থ হলে বিভিন্ন রোগে দেখা যায় । স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার গভির রাতে আদি মিষ্টান্ন ভান্ডার দোকানের পিছনে পাখের ঘরে আগুন লাগে । আমরা খবর পেয়ে আগুন নিবাতে নিয়ন্ত্রনে আনি । তারা আরো জানান তার পাখের ঘরে মিস্টি সিরা চুলাই পড়লে সেখান থেকে আগুন ধরে যায় । এভাবে আরো তার দোকানে পাখের ঘরে প্রায় সময় আগুনে ধরে থাকে । উল্লেখ্য আছে যে ইন্দুরকানী বাজারে ২০০৬ সালে মধ্যগলি সোনার দোকানের কারখানা থেকে আগুন ধরলে প্রায় ৫০/৬০টি দোকান পুড়ে যায় । ২০০৭ সালে ঘুর্ণিঝড় সিডরে অনেক দোকানই সিডরে বিধ্বস্ত হয়ে যায় এবং ২০১৬ সালে আদম আলী রোডে মিস্টি দোকান থেকে আগুন সুত্রপাত হলে সেই আগুনে ৩০/৪০ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাতে অনেক ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এভাবে যদি আগুন লাগে বাজারে ব্যবসায়ীরা নিঃশ্ব হয়ে যাবে । আমরা ধার, ঋন নিয়ে ব্যবসা করে স্ত্রী, ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন রকম বেচে আছি । তাই আমরা এই থেকে পরিবার চাই ।
আদি মিষ্টান্ন ভান্ডারে মালিক রিপন সাহা জানান, আমাকে ইউএনও স্যার বলেন দোকান বন্ধ রেখে পিছনে পাখের ঘর মেরামত করতে বলছে এবং বাজারে বণিক সমিতিরা বলছে পাকের ঘরটি অন্য স্থানে নিয়ে যেতে ।
ইন্দুরকানী বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ সোহাগ জানান, আমরা রিপন সাহাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বাজার বনিক সমিতি নির্দেশে পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ থাকবে এবং ১সপ্তাহ ভিতরে পাখের ঘর আলাদা নিতে বলছি । আপনার ঘরে পাশে থাকা ১টি কেমিক্যালের দোকান ও ১টি কেরোসিনের দোকান আছে, আপনার দোকান থেকে প্রায় সময় পাখের ঘরে আগুন লাগে । এভাবে আগুল লাগলে পরবর্তিতে বাজারে বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।