শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের শরণখোলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে দিনমজুর শাহ-আলম নিহতের পর প্রায় দু’ মাস অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের পরিবার জানায়, শরণখোলা থানায় দায়ের করা মামলায় নারী-পুরুষ সহ- প্রতিপক্ষের ৬ জনকে আসামী করায় তারা এখন মামলা তুলে নিতে নানাভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছেন। জানা গেছে, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শাহ-আলম খন্দকারের বাড়ীর সীমানা নির্ধারনের মাত্র তিন হাত জমি নিয়ে প্রতিবেশিদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে চলতি বছরের ৮মে, প্রতিপক্ষ মনিরুজ্জামান দুলাল খন্দকারের নেতৃত্বে ৬/৭ জন একজোট হয়ে শাহ আলম খন্দকার (৬০) কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ঘটনার দুই দিন পর মারা যান দিনমজুর শাহ আলম।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোসাঃ সাহিদা বেগম (৫০) বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মনিরুজ্জামান দুলাল খন্দকার (৪০), শাহজাহান খন্দকার (৫৫), আঃ লতিফ খন্দকার (৫২), নাইম হোসেন লিমন খন্দকার (২০), মাহাবুবা সুলতানা শাবানা (৪২) এবং মোসাঃ নাছিমা বেগম (৪০)কে অভিযুক্ত করে ১০মে, রাতে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার পর ইতোমধ্যে প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কাউকেই আটক করতে পারেনি শরণখোলা থানা পুলিশ।
নিহত শাহ-আলমের মেয়ে শারমিন আক্তার বলেন, মামলার আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখন মামলা তুলে নিতে আমাদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে, আসামী পক্ষের একজন বলেন, আমরা শাহ-আলমের পরিবারকে কোন হুমকি-ধামকি দিচ্ছি না। তারা আমাদের নামে নুতন করে গুজব রটিয়েছে।
এ বিষয়ে শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।