বাবুল আকতার পাইকগাছা থেকে:
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সুপার সাইকোন ঘুর্নিঝড় আম্ফান আর করোনার মত মহাদুর্যোগ প্রতিদিনই খুব কাছে থেকে সবকিছু মোকাবেলা করছেন পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক। এসব কাজ করেই বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন উপাধিতে ভুষিত হয়েছেন। মাসখানেক আগে ঘুর্নিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধ নির্মান করেছেন গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে। শুধু যে তার সোলাদানা ইউনিয়ন, তা নয়, পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন দেলুটিরও কয়েকটি বেড়িবাধ নির্মাণ করেছেন এ জনপ্রতিনিধি।
এধরনের অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি ফাটাকেষ্ট উপাধি পেয়েছেন সাধারণ জনগনের কাছে। বুধবার রাতে সোলাদানা ইউপির করোনায় আক্রান্ত ছবিরন বিবির (৭২) পরিবারসহ লকডাউনের আওতায় আনলেন ১০টি পরিবার। যতদিন ওইসব পরিবারগুলো লকডাউনে থাকবেন; ততদিন পরিবারগুলোর যাবতীয় দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। এরআগে করোনায় আক্রান্ত পাইকগাছা পৌর কাউন্সিলার কামাল আহম্মেদ সেলিম নেওয়াজের ক্ষেত্রেও একই ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসবের কারনে তিনি করোনাযোদ্ধা উপাধি পেয়েছেন।
পাইকগাছার একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করলে তারা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল একজন ভিন্নধর্মী মানুষ, তিনি নিজেকে দিন দিন নতুনভাবে আবিস্কার করছেন এবং নতুনভাবে জনগনের মাঝে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।
তারা বলেন, এনামুল চেয়ারম্যান দক্ষিনাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত। করোনা আতঙ্কে যখন জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের গুটিয়ে রাখছেন তখন আপনি এ ধরনে কাজ করছে প্রশ্নের জবাবে সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বাঁচবো ক’দিন? চরম বিপদের মুহুর্তে মানুষের পাশে থাকতে না পারলে কেমন জনপ্রতিনিধি আমরা?
করোনা রোগীদের পাশে দাড়ানোর কারনে যদিও তার নিজ পরিবারের সদস্যরা তার ওপর অসন্তষ্ট তবুও তিনি নেমে পড়েছেন এ যুদ্ধে। সহযোদ্ধা হয়েছেন তার পরিষদের সদস্যরা। তিনি বলেন, আল্লাহ যা করে মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো। চেয়ারম্যান এনামুল হক সকলের দোয়া চেয়েছেন।