স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিলো বলেই বাংলাদেশ ও বাঙালি স্বাধীন হয়েছিলো। শোষিত ও বঞ্ছিত মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিলো। আর এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে নিজের জীবনের বাজি রেখেই পাকহানাদার বাহিনী এবং রাজাকাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর সংবিধানকে বার বার বিতর্কিত করতে ’৭১ এর পরাজিত শত্রুরা ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালিয়েছে। আজ আওয়ামী লীগে কর্মী বেড়েছে।
কিন্তু দু:সময়ের কর্মীদের কথা মনে রাখতে হবে। অনেকেই আছেন দু:সময়ে যারা পাশে থাকবেন তারাই প্রকৃত মুজিব সৈনিক। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের মত তৃণমূলের সংগঠন ছিলো বলেই দেশ ও জাতির উন্নয়নে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আজ কঠিন দু:সময়ে অত্যন্ত সাহসি এক বাজেট জাতির উন্নয়নে পেশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র বিমোচন সহ অসহায় মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে এ বাজেট জাতিকে উপহার দিয়েছেন।
দারিদ্র বিমোচনে এ বাজেট পেশ করায় মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। সরকারকে সহযোগিতা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেকারনে করোনার মত এতবড় দুর্যোগে দুর্গত মানুষের পাশে থাকতে হবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, আর প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
তিনি সমুদ্র সীমা অর্জন করেছেন, সিটমহল সমস্যার সমাধান, পদ্মাসেতু নির্মান, বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট স্থাপন, রহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার সৃষ্টি করে বিশ্বনন্দিত হয়েছেন। তার এই অর্জনকে ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, যার যার এলাকায় সকল মানুষের খোঁজ খবর রাখতে হবে। যারা করোনা আক্রান্ত হবে, তাদের নিজ বাসভবনে নিরাপদে রেখে অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের গৃহিত কর্মসূচি সফল করতে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে।
সোমবার বিকাল ৫টায় খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ৭১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী।
সভা পরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, বিএমএ সালাম, এ্যাড. রজব আলী সরদার, নুর ইসলাম বন্দ, আকতারুজ্জামান বাবু এমপি, মো. আশরাফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জামাল, শ্যামল সিংহ রায়, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যা. মিজানুর রহমান, কামরুল ইসলাম বাবলু, মালিক সরোয়ার উদ্দিন, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, অসিতবরণ বিশ্বাস, মো. মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ মো. আবু হানিফ, এস এম খালেদিন রশিদী সূকর্ণ, হাবিবুর রহমান দুলাল, জামিল খান, কাজী কামাল হোসেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, পারভেজ হাওলাদার, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মো. ইমরান হোসেন, ইখতিয়ার হোসেন মোল্লা, মাহমুদুর রহমান রাজেশ, মাহমুদুল ইসলাম সুজন সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক, জাতীয় চারনেতা, ৭১এর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের এবং করোনায় মৃত্যুসহ সকল নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।