স্টাফ রিপোর্টার
জালিয়াতি করে জামিন নেওয়া দিঘলিয়ার টিপু শেখ (৫০) হত্যা মামলার ৫আসামি থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল রবিবার দুপুর ১টায় দিঘলিয়া থানায় তারা আত্মসমর্পণ করেন। আসামীরা হলেন, দিঘলিয়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের কায়েম শেখের ৪ছেলে লুৎফর শেখ, সোহাগ শেখ, জুয়েল শেখ ও সেলিম শেখ এবং মুসলিমডাঙ্গা গ্রামের এসকেন মোল্লার ছেলে আবদুল্লাহ মোল্লা।গতকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাস তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে জালিয়াতি করে জামিন নেওয়ার অভিযোগে দিঘলিয়ার টিপু শেখ হত্যা মামলার ৫ আসামির জামিন ১০জুন বাতিল করে উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে তারা যদি জামিনে বেরিয়ে যান তাহলে সাত দিনের মধ্যে ৫ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে আইনজীবীকে শোকজ করা হয়। আর তারা যদি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে তাদের গ্রেফতারে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। এছাড়াও তাদের পরে আইনজীবী ভার্চ্যুয়াল কোর্টে আপাতত মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না মর্মে নির্দেশনা দেয় আদালত। বিষয়টি রাষ্ট্রপ আদালতের নজরে আনার পর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর পুলিশ আসামীদের ধরতে তৎপর হয়। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানোয় আসামীরা ভয়ে তটস্থ হয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করে। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৬সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে গাজিরহাট ইউনিয়নের পদ্মবিলা গ্রামের টিপু শেখ বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। ওই সময় ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা প্রথমে ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থলে তার ডান পা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বাম পা-ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরে তার ছেলে আলমগীর শেখ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ৩২ আসামির মধ্যে ৫ আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। গত ১৮ মে ভার্চ্যুয়াল আদালত তাদের নিয়মিত আদালত খোলা হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। তাদের আইনজীবী ছিলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।