ডা. রকিব হত্যায় আরও দু’আসামির স্বীকারোক্তি : ওসি প্রত্যাহার

11
Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার

নগরীর রাইসা কিনিকের মালিক ডা. মো. আব্দুর রকিব খান হত্যা মামলার আসামি মো. আব্দুল কুদ্দুস ও গোলাম মোস্তফা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অপর চার আসামিদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার তাদেরকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ধারায় দু’জন আসামির জবানবন্দি রেকর্ডসহ ৬আসামিকেই কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে ডা. রকিব খান হত্যাকান্ডের পর খুলনার চিকিৎসক সংগঠণ গুলোর দাবি অনুযায়ী খুলনা থানার ওসি আসলাম বাহার বুলবুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ কমিশনার (ডিসি সাউথ) মো. এহসান শাহ এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এসআই বিএম মনির হোসেন জানান, এনিয়ে আলোচিত এ হত্যা মামলায় পুলিশ ৬জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ৪জনই আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা সকলেই বর্তমানে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এরা হলেন, জমির শেখ, আব্দুর রহিম, আবু আলী ও গোলাম মোস্তফা, খাদিজা ও মো. আব্দুল কুদ্দুস। আসামিদের দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করায় মামলার চার্জশিট শিঘ্রই প্রস্তুত করে আদালতে দাখিল করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪জুন সিজারের জন্য রাইসা কিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫জুন সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরাও রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান। ১৫ জুন রাত সাড়ে ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা কিনিকে এসে ডা. রকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথার পিছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. রকিবের মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহত ডা. রকিব খান এর ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে জমির, কুদ্দুস, আবুল আলী শেখ ও রহিমসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০জনের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং-৬।