সাতক্ষীরায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার খুলনা বিএনপির একাংশের নিন্দা

2
Spread the love


খবর বিজ্ঞপ্তি:


সাতীরায় ত্রাণ বিতরণ কাজে নিয়োজিত বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর স্থানীয় এমপির ছেলের নেতৃত্বে দুই দফায় হামলা, ১২ নেতাকর্মী আহত হওয়া এবং গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নতৃবৃন্দ। রোবাবার এক বিবৃতিতে দলটির নেতারা বলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের হিং¯্র, বিভৎস্য, কুৎসিত ও জঘণ্য ফ্যাসিবাদী চেহারাটি আর একবার উন্মোচিত করেছে।

বিবৃতিতে খুলনা মহানগর বিএনপি নেতারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে তিগ্রস্থ শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী ইউনিয়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। সাতীরা জেলা বিএনপির আহবাযক সৈয়দ ইফতেখার আলীর নেতৃত্বে ত্রাণবাহী দুটি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি মটর সাইকেলযোগে দলীয় নেতাকর্মীরা সকালে উপজেলা সদরে পৌছায়।

এ সময় স্থানীয় এমপির ছেলে রাজিবের নেতৃত্বে একদল ক্যাডার গাড়িবহরের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় বিএনপির ১০/১২ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসীরা ত্রাণ বহনকারী দুটি মাইক্রোবাস এবং মটরসাইকেল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, বিগত তিন মাস যাবৎ করোনা ভাইরাস আতংকে জনজীবন বিপর্যস্ত।

জীবন ও জীবিকার অনিশ্চয়তায় হতাশায দিন কাটাচ্ছে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ। শুধুমাত্র মধ্যরাতের নির্বাচনে রাষ্ট্রমতা দখলকারী সরকার এবং তার অনুগত লুটেরা গোষ্ঠী জীবন মরণের তোয়াক্কা না করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ, ত্রাণের অর্থ, চাল-ডাল-তেল লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। দেশবাসীর সামনে নিজেদের সর্বগ্রাসী দূুর্নিীতি ও সীমাহীন লুটপাটের বিভৎস রূপ প্রকাশ করেছে।

করোনা পরিস্থিতি এবং আম্ফানের ফলে সৃষ্ট দূর্যোগে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তাদের সাধ্যমতো খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা নানা ভাবে বিএনপিকে কটা করলেও দেশের মানুষ এই দলের নেতাকর্মীদেরকে তাদের দূর্দিনে পাশে পেয়েছে। এই দূর্যোগ সময়ে যারা ত্রাণ বহরে হামলা চালিয়ে ত্রাণকাজে নিয়োজিত মানবতার সেবকদেরকে রক্তাক্ত জখম করতে পারে তাদের এই বর্বরোচিত কর্মকান্ডের ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।

বিবৃতিতে অবিলম্বে সাতীরার পুলিশ এবং প্রশাসনের প্রতি ন্যাক্কারজনক এ হামলার সাথে জড়িতদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। তাদেরকে স্মরণ করিয়ে বলা হয়, প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জনগনের সেবক। কোন বিশেষ দল বা সরকারের আনুগত্য তাদের কাছ থেকে কাম্য নয়।


বিবৃতি দাতারা হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, মহানগর বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, মহানগর বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল হাসান দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু, সহ-প্রচার সম্পাদক কেএম হুমায়ুুন কবির, ইকরামুল কবির মিল্টন, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলাল, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক

মজিবর রহমান, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজা খানম এলিজা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শাহীন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ তারিকুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হিল্টন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নেহিবুল হাসান নেহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহম্মেদ সুমন, কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাসির আল মামুন প্রমূখ।