শামীম খান.মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
কাদা আর পানির কারনে যখন গ্রামের লোকজন চলা চল করতে পারছে না ঠিক সেই সময় গ্রামের মানুষের কথা ভেবে কাদা আর পানি সরিয়ে গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান করে দিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হুদা জিন্টু। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিশ্বাসপাড়া থেকে সদ্দারপাড়া পর্যন্ত ৫০০ মিটারের এই রাস্তাটি ইট-বালি আর খোয়া দিয়ে নির্মান করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান,দীর্ঘ দিন ধরে মহেশপুরের বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নর বিশ্বাস পাড়া থেকে সদ্দারপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি একটু বৃষ্টি হলেই কাদার সৃষ্টি হয়। তখন ঐ রাস্তা দিয়ে আর গ্রামের মানুষেরা আর চলা চল করতে পারেনা। এই রাস্তাটি নির্মানের জন্য আমরা অনেকের কাছে গিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
বিশ্বাস পাড়া গ্রামের হারুন বিশ্বাস জানান, মাত্র ৫০০ মিটার রাস্তার জন্য আমরা পানি আর কাদার কারনে চলা ফেরা করতে কষ্ট করে আসছি র্দর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু কারও চেখে বিষয়টি বাধেনি। তাই এলাকার সন্তান ও আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগনের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হুদা জিন্টু আমাদের এই রাস্তাটি নির্মান করে দিলেন। এখন আর আমাদের এ রাস্তা বৃষ্টির পানিও জনে না আর কাদাও হয়না। তাই আর আমাদের চলাচলের কোন কষ্টও হয়না।
ভৈরবার সদ্দারপাড়া গ্রামের জুলফিকার আলী ভুট্্র জানান, আমাদের গ্রামের মাত্র ৫০০ মিটার রাস্তার জন্য আমরা অনেক নেতার কাছে গিয়েছি লাভ হয়নি। আমাদের এ রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই কাদার সৃষ্টি হতো। যার কারনে আমরা আর চলাচল করতে পারতাম না। অবশেষে আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হুদা জিন্টু নিজ উদ্যোগে আর এলাকাবাসীর সহযোগিতার এই রাস্তাটি নির্মান করে দিয়েছেন। এখন আর আমাদের কোন কষ্ট নেই।
নাজমুল হুদা জিন্টু বলেন, আসনেই বিশ্বাসপাড়া ও সদ্দারপাড়ার লোকজন বাজার ঘাটে আসতে অনেক করতে হতো। আর পানি হলেই ঐরাস্তায় কাদার সৃষ্টি হতো। ফলে দু’গ্রামের মানুষের ভোগান্তির আর শেষ নেই। যার কারনেই আমি এলাকাবাসীকে নিয়ে রাস্তাটি নির্মান করে দিয়েছি। তিনি আরো জানান,ঔই রাস্তা দিয়ে তো আমারই এলাকার জনগনই চলবে।
উল্লেখ্যঃ এবারের হাড় কাপানো শীতে কম্বল,চাদড় ও ঈদুল আজাহার সময় প্রতিটা অসহায় পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর সাথে সেমাই ও চিনি আর করোনা বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের তিন হাজার পরিবারের মধ্যে চল-ডাল থেকে শুরু করে তেল-লবন পর্যন্ত দিয়েছেন বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের জনগনের এ চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হুদা জিন্টু।