করোনাভাইরাস মোকাবেলায় করণীয় ঠিক করতে গিয়ে পুরো বিশ্ব নাজেহাল। ভ্যাকসিন, ওষুধ নাকি টোটকা, কী হবে করোনার চিকিৎসা? এই চিন্তা এখন পুরো বিশ্ববাসীর। এই যখন পরিস্থিতি তখন জানা গেল, করোনাভাইরাস দেশে স্থায়ী হতে পারে আরো দুই বা তিন বছর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, কিছু সময় পর বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের উচ্চহার কমে আসতে পারে। কিন্তু করোনার পরীক্ষা সংখ্যা বৃদ্ধি করলে লুকায়িত এবং মৃত কেসও শনাক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা পরিবর্তন, দৃষ্টিগোচর নাও হতে পারে। করোনা পরিস্থিতি এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। এটি দুই থেকে তিন বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় স্থায়ী হবে। যদিও সংক্রমণের মাত্রা উচ্চহার নাও থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক। বিষয়টি নি:সন্দেহে জাতির চিন্তাকে আরও গভীর করেছে।
করোনাভাইরাসে দেশে আজ (১৮ জুন) পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,০২,২৯২ জনে। আর মোট মৃতের সংখ্যা ১৩৪৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪০,১৬৪ জন। আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার থেকে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জোন ভিত্তিক যে ধরণের লডকাউনে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সফলতা এসেছে, সে ধারাতে দেশেও শুরু হয়েছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে রেড জোন বলে উল্লেখ করা বিভিন্ন জায়গায় জীবনযাত্রা আগের মতই আছে বলে সামাজিক মাধ্যমসহ গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এদিকে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্র-ব্রাজিল-ইউরোপে করোনার ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সচেতন হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই আপাতত। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে করোনা আক্রান্তদের উপযোগী চিকিৎসা ব্যবস্থা, যেমন- আইসিইউ, অক্সিজেন সরবরাহসহ নানা পদক্ষেপ নেয়াও খুবই দরকারি। সরকারি-বেসরকারি নানা চিকিৎসা উদ্যোগে জাতি করোনা মোকাবেলা করে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে, এই আমাদের আশাবাদ।