স্টাফ রিপোর্টার
খুলনায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে ১০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটাই একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত। এ নিয়ে খুলনা জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮৯ জনে। আর জেলায় করোনায় মারা গেছেন ১০ জন। অপরদিকে, খুলনা বিভাগের দশ জেলায় বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) পর্যন্ত করোনা পজিটিভের সংখ্যা মোট এক হাজার ৭৭৭জন। মোট মৃতের সংখ্যা ২৫ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫০৭ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, বুধবার খুমেকের পিসিআর ল্যাবে ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে খুলনা মহানগরীসহ জেলার নমুনা ছিল ২৭০টি। পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১০২টি। যার মধ্যে ৯৭ জনই মহানগরীসহ খুলনা জেলার। এছাড়া বাগেরহাটের দুজন, যশোরের দুজন ও নড়াইলের এক জন রয়েছেন। খুলনা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, খুলনায় একদিনে করোনা শনাক্ত হওয়ার দিক থেকে এটিই সর্বোচ্চ। এর আগে গত মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৪৯ জন শনাক্ত হয়। এনিয়ে খুলনা মহানগরী ও জেলায় এ পর্যন্ত ৫৮৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭৫ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে খুলনা জেলার অবস্থান খুলনা বিভাগের দশ জেলার মধ্যে শীর্ষে।
সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘খুলনায় বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর অবস্থায় রূপ নিচ্ছে। এখন সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। খুলনাকে করোনার ছোবল থেকে বাঁচাতে ২১ দিনের কঠোর লকডাউন করার জন্য করোনা প্রতিরোধ কমিটির কাছে সুপারিশ করা হবে। কঠোরভাবে লকডাউন না করা হলে প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের রেকর্ড হবে।’
অপরদিকে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সূত্র জানান, খুলনা বিভাগের দশ জেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৭৭৭ জন। এর মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৫৮৯ জন, বাগেরহাটে ১০০, সাতক্ষীরায় ৮৬, যশোরে ২৮৩, ঝিনাইদহে ১১৯, মাগুরায় ৫৬, নড়াইলে ৭১, কুষ্টিয়ায় ২৭৩, চুয়াডাঙ্গায় ১৬৪ এবং মেহেরপুর জেলায় রয়েছেন ৩৬ জন।
ওই সূত্র মতে, আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যেই ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেও খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ১০ জন রয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটে দুই, যশোরে এক, ঝিনাইদহে দুজন, মাগুরায় দুই, কুষ্টিয়ায় দুই, নড়াইলে দুই, চুয়াডাঙ্গায় এক ও মেহেরপুরে তিন জন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘‘দ্রুত পরীক্ষার জন্য অধিকহারে নমুনা সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, যত নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে, তত দ্রুতই রোগী শনাক্ত করা যাবে। ‘খুলনা বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বশি হলেও সুস্থও হচ্ছেন রোগীরা। এ পর্যন্ত বিভাগে ৫০৭জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।