ঝিকরগাছায় এলকোহল পানে ৬ জনের মৃত্যু

11
Spread the love

যশোর অফিস

যশোরের ঝিকরগাছায় গত ২৪ ঘন্টায় বিষাক্ত এলকোহল পানে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো চার জন। মৃত্যুর কারণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে লুকোচুরির অভিযোগও পাওয়া গেছে।

মৃতরা হলো, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের হাবিল গাজী (৬০), বর্ণি গ্রামের ফারুক হোসেন (৪০), হাজীরআলী গ্রামের আসমত আলী (৫০), পুরন্দরপুর গ্রামের হামিদুর রহমান (৫৫), রাজাপুর গ্রামের নুর ইসলাম খোকা (৫৫) ও ঋষিপাড়ার নারায়ন (৫৫)।

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে কাউরিয়ার রিপন দাস (৪০) ও কিশোর দাস (৩২)। সকালে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে সেলিম হোসেন (৩৪)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কিশোর দাস জানায়, সোমবার সকালে সে রাজাপুর গ্রামের হাবিল গাজীর কাছ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায় এক বোতল এলকোহল কিনে বাড়িতে এসে কাকী দুখিনি দাস ও সে পান করে। তার কিছুক্ষণ পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পূর্বেও সে তার বাড়ি থেকে নেশাজাতদ্রব্য কিনেছে বলে জানায়।

গুরুতর অসুস্থ নাফিজ হোসেন নামে আরেকজন জানিয়েছে, সোমবার সকালে রাজাপুর গ্রামের মিন্টুর নিকট থেকে এলকোহল কিনে সে, নুর ইসলাম খোকা, নারায়ন ও হামিদুর পান করে। বাড়িতে আসার কিছুক্ষণের মধ্যে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুর ইসলাম খোকা, হামিদুর ও নারায়ন মারা যায়। ওই দিন গভীর রাতে তাদেরকে দাফন করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিল গাজী, ফারুক হোসেন ও আসমত আলী মারা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাশিদুল আলম জানিয়েছেন, সোমবার ৪জন বিষাক্ত এলকোহল পান করে হাসপাতালে ভর্তি হন। একজনের অবস্থা অবনতি হলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর একজন আজ (মঙ্গলবার) সকালে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে।

থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, মৃতরা সকলেই কমবেশি বিষাক্ত এলকোহল পান করেছিল বলে খবর শোনা গেছে। তবে তাদের পরিবার বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিল। মৃত হাবিল গাজী কিছুদিন আগে মাদকসহ সস্ত্রীক আটক হয়েছিল। তার নামে একাদিক মামলা আছে। কিন্তু মৃত ব্যক্তিদের সকলকে হাসপাতাল থেকে হৃদরোগে মৃত্যু দেখিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।